২০২২ এর মাঝমাঝি সময় আমার সাথে দেখা হয়েছিলো এক আগন্তকের।পূর্বে ও তাকে দেখেছিলাম কিন্তু উপলব্ধি হয়নি। আমি আল্লাহর কাছে একটা ফরিয়াদ করছিলাম। আল্লাহ আমার সে চাওয়াটা সম্ভবত কবুল করেছে।
দ্বীনের প্রতি আমার আবেগ জন্মেছিল আমার বাবা-মা থেকেই।তবে দ্বীনটা এখনো পরিপূর্ণ আঁকড়ে ধরতে পারেনি যেমনি ভাবে আঁকড়ে ধরেছেন আমাদের সালাফরা। কৃতজ্ঞতা আমার আন্দোলনের ভাইদের প্রতি। তারা আমার পিছনে যথেষ্ট ইনভেস্ট করেছেন। আল্লাহ ভাইদের উত্তম প্রতিদান দান করুক।
আমার জীবনে দুটি ঘটনা বড়ই নেয়ামত ছিলো। প্রথম নেয়ামত ছিলো আমার জেল জীবন। মাত্র ১৭ বছর বয়সে বোমা পেটানোর মিথ্যে অভিযোগে আমাকে কারাবরণ করতে হয়েছিল। আর এই এক ঘটনা আমার জীবন বদলে দেয়। আল্লাহকে খুব কাছ থেকে দেখেছি তখন । আল্লাহর সাহায্য কতো সুন্দর তা প্রতিটি পদক্ষেপেই বুঝতে পেরেছি এবং উপলব্ধি করেছি। আলহামদুলিল্লাহ আমি ছাত্রশিবিরের মত নেয়ামতের সংগঠন করার সুযোগ পেয়েছিলাম।
আর দ্বিতীয় ঘটনাটি সেই আগন্তক।তিনি আমাকে নসিহত করেননি,দাওয়াত ও দেন নি। এ এক বড়ো নেয়ামত। যাকে কেন্দ্র করে আল্লাহ আমাকে অনেক সংশোধন করেছে। পথ দেখিয়েছে। ওয়ালাহি আমি আল্লাহকে আরো ভালোভাবে চিনেছি।এ এক কাকতালির বিষয় ছিল।আমি আমার জীবনি লেখার সুযোগ পেলে অবশ্যই বিস্তারিত লিখব।লিখব একটা স্বপ্ন যা ছোটবেলা থেকেই বয়ে বেড়িয়েছি । আমার জীবন আচরণ কারো দ্বীনের মজবুতি স্ট্রং করছে কিনা সেটা হয়তো একদিন জানবো।
আমাদের হয়তো ইবনুল আরাবী নেই।নেই শায়েখ এদেবালি, ইবনুল কাইয়ুম অথবা ইবনে তাইমিয়ার মত মানুষরা। কিন্তু আমাদের মাথার উপর একজন রব্ব আছেন। জীবনের কিছু মুহূর্ত সুন্দর,কিছু বিপদ নেয়ামত। কিছু সাক্ষাৎ আশীর্বাদ। আল্লাহ এ আগন্তুকদের হৃদয় থেকে কখনো মুছে না ফেলুক। তাদের কাছে অনেক ঋণ জমা। আল্লাহ তাদের ভালো রাখুন। ভালো থাকুক দিনের একনিষ্ঠ দায়ীরা।
সাইদুল ইসলাম সজীব
৩১/১২/২০২৩