You are currently viewing রিকশা থামানো মেয়েটি!!

রিকশা থামানো মেয়েটি!!

মেয়েটি হাতের ইশারায় রিকশা থামালো। বললাম, কোনো প্রবলেম?

সে হাফ ছেড়ে বললো, অনেকসময় ধরে দাঁড়িয়ে আছি। রিকশা পাচ্ছি না। আমার খুব জলদি কাচারি যেতে হবে। প্লিজ! একটু..

বললাম, ঠিক আছে উঠুন! এতটুকু বলে পিছনের সিট ছেড়ে দিয়ে চালকের সাথে বসার জন্য রিকশা থেকে নামলাম। সে বিনয়াবনত হয়ে বললো, আরে সামনে যাচ্ছেন কেনো? এখানেই বসুন! প্রবলেম নেই তো ভাইয়া!

বললাম, প্রবলেম আছে। একে তো আপনি নন মাহরাম। এরপরে আমি পাশেই নামাজ পড়াই। কোনো মুসল্লি দেখলে হুদ্দাই একটা কিলিবিলি লাইগা যাবে। এইবলে, আমি রিকশাচালকের পাশে যেয়ে বসলাম। সে পিছন থেকে বলে উঠলো, হুয়াট কিলিবিলি?

তার কথার কোনো উত্তর না দিয়েই চুপচাপ বসে রইলাম। কারণ এই কিলিবিলির অর্থ আমি নিজেও জানিনা।

রিকশা একটু চলতেই তার ফোন বেজে উঠলো, সে পিনপন করে বলতে লাগলো, বাবু! আর ৫ মিনিট লাগবে। প্লিজ! যাদু না ভালো…

এটা শুইনা পুরাই গগন থিকা পরলাম। উপকার করলাম নাকি আউলাঝাউলা কামে সহযোগিতা করলাম। কিছুই বুঝতেছিনা..হিসেব মিল খাচ্ছেনা মন্ডুতে.. মাথাটা নারায়ণগঞ্জের পাগলা রোডের মত জ্যাম লাইগা গেলো…

এদিক দিয়ে এতক্ষণ কি হয়ছে জানিনা। কাচারি পৌঁছতেই সে বলে উঠলো, ঐ কুত্তা! তুই না থাকলে না থাক। যা কুত্তা যা…

এইবলে সে নেমে গেলো.. রিকশাচালক ফেলফেল করে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আর আমি তাকিয়ে রইলাম, আসলাম সুইটসের সামনে বসা একটা পিং কালার টাইপের কুত্তার দিকে। আর ভাবতে লাগলাম, পৃথিবীর সবচেয়ে জটিল হিসেবটি নিয়ে। কিভাবে বাবু, সোনা, আর যাদু থেকে সহজেই হয়ে যায় কুত্তা…

আলআমিন_আনসারী

Leave a Reply