You are currently viewing দুনিয়ার এই জীবন ধোকা ছাড়া আর কিছুই নয়।

দুনিয়ার এই জীবন ধোকা ছাড়া আর কিছুই নয়।

সুস্থ হাসব্যান্ডের হঠাৎ করে বুকে ব্যাথা উঠায়, স্ত্রী একাই হ্যাসব্যান্ডকে নিয়ে হসপিটালে রওয়ানা দিলেন। হসপিটালে পৌছার পর স্বামীর অবস্থা আরও অবনতি হলো। স্ত্রী এই অবস্থা দেখে আর সহ্য করতে পারলেন না। স্ট্রোক করলেন এবং আধা ঘন্টা পর ইন্তেকাল করলেন। ওদিকে ডাক্তারদের চিকিৎসায় স্বামী সুস্থ হতে লাগলেন ক্রমশ।

সকালে যেই স্ত্রী অসুস্থ স্বামীকে নিয়ে আসলেন, বিকালে সেই স্বামীই মৃত স্ত্রীকে নিয়ে রওয়ানা দিলেন বাড়ির উদ্দেশ্যে।

গতকিছুদিন আগে চট্টগ্রামের একজন ডাক্তার মারা গেলেন হার্ট এটাকে। আগের রাতেও বল্ধুবান্ধবদের সাথে আড্ডা দিয়েছেন। পরেরদিন সকালে যথারিতি কাজে যোগ দিয়েছেন। সকাল ১১টার দিকে বুকে ব্যাথা, আড়াইটার দিকে চলে গেলেন আল্লাহর কাছে। নিজে ডাক্তার, হসপিটালেই তার অবস্থান। চিকিৎসা সরন্জামাদী সবই রেডি। কিন্তু কিছুতেই কিছু হলো না। চলে যেতেই হলো।

আমাদের মাদরাসার মুফতি তৈয়ব সাহেব মারা গেলেন দুই সপ্তাহ আগে। মাগরিবের পর ক্লাস নিচ্ছেন সিসি টিভির রেকর্ডে স্পষ্ট দেখা যায়। প্রাণবন্ত মানুষটি ঈশা পর্যন্ত ক্লাস নিয়ে ঈশার পর চলে গেলেন চীরনিদ্রায়।
_________
আশেপাশের মানুষগুলোর এভাবে হঠাৎ চলে যাওয়ায় আমরা শকড হই, ব্যাথিত হই। কিন্তু এই নাসিহাত খুব কম মানুষেরই নেয়ার সৌভাগ্য হয় যে, এরকম দিন তো আমারও আসবে। যে কোন সময়, যে কোন মুহুর্তে। লম্বা লম্বা আশা, বড় বড় স্বপ্ন দেখা তাহলে কমে যেত অনেক। কিছু পাওয়া নিয়ে খুব বেশি আকাংখাও থাকতো না, না পাওয়া নিয়ে থাকতো না আফসোস।

কে দুরে সরে গেলো, কে কাছে আসলো, খুব একটা ভাবান্তর হতো না তখন আর। কারো সন্তুষ্টি পাওয়ার জন্য লালায়িত না হয়ে একমাত্র রবকে খুশি করাই হত একমাত্র চাওয়া ও পাওয়া।

“দুনিয়ার এই জীবন ধোকা ছাড়া আর কিছুই নয়।” – সুরা হাদিদ।

লিখেছেনঃ- রিজওয়ানুল কবির (সানিন) ভাই

Leave a Reply