You are currently viewing মিশর সম্পর্কিত ভবিষ্যৎবাণী।

মিশর সম্পর্কিত ভবিষ্যৎবাণী।

প্রিয় ভাই ও বোনেরা। সিরিয়া যুদ্ধের নেপথ্য কি, নামীয় একটি শিরোনামে আপনাদেরকে আসহাব ও আবকা জাতির সংক্ষিপ্ত পরিচয় তুলে ধরে ছিলাম, আগামী পর্বে এ দুই জাতির বিস্তারিত তুলে ধরব, ইনশাআল্লাহ। মিশর থেকে যে আবকা জাতির উত্থানের কথা হাদীসে যে ভবিষ্যৎবাণী করা হয়েছিলো, তা হয়তো খুব শীঘ্রই প্রকাশ পাবে (আল্লাহ সকল বিষয় জ্ঞাত)। সিরিয়ার দামেস্কসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নগরী আসহাব (কালো পতাকাবাহী) ও আবকা (হলুদ পতাকাবাহী) জাতি যখন দখলে নিবে তখন সুফিয়ানীর প্রকাশ পাবে এবং সুফিয়ানী তাদেরকে পরাজিত করে সিরিয়া তার দখলে নিবে, যা ইমাম মাহদী আগমনের পূর্ব শর্ত।

ইথিওপিয়ার ব্লু নেইল নদের উপর নির্মিত গ্রান্ড ইথিওপিয়ান রেঁনেসা বাঁধটি কারণে সম্প্রতি মিশরের নীল নদের পানির স্তুর দিন দিন শুকিয়ে যাচ্ছে। কারণ নীল নদের প্রায় ৯০ শতাংশ পানি আসে “তানা লেক” থেকে ব্লু নেইল নদ হয়ে, যা নীল নদের শাখা নদী।

ইথিওপিয়া বাঁধের কাজ শুরু করার পর ব্লু নেইলের পানি দৈনিক ৯ কোটি কিউবিক মিটার কমে গেছে। ফলে সুদান ও মিশরের একমাত্র জলপ্রবাহ নীল নদের উপর প্রভাব পরবে। ইথিওপিয়া সরকার মনে করে এ বাঁধটি তাদের অর্থনৈতিক মুক্তি এনে দিবে, এ বাঁধে তৈরি করবে জলবিদ্যুৎ যা আফ্রিকার মহাদেশের সর্ববৃহৎ বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র হিসাবে প্রতিষ্ঠা লাভ করবে।

মিশর ও সুদান ১৯৫৯ সালের জাতিসংঘের পানি বণ্টনের চুক্তিনামার উপর স্থির থাকলেও ইথিওপিয়া সেখান থেকে সরে এসেছে, এ নিয়ে জাতিসংঘ শান্তি আলোচনার ব্যবস্থা করলেও ইথিওপিয়া নিজের অবস্থান চ্যূত হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে, ফলে এ ৩ দেশের মধ্যে একটি সংঘাতের সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। মিশরের পানি সংকট নিয়ে সংঘাতই আবকা জাতির উত্থানের প্রধান আলামত।

চলবে,,,

Leave a Reply