You are currently viewing তুরস্কের সংগঠিত ভূমিকম্প এটা কি মানুষ দ্বারা সৃষ্ট কোন ভূমিকম্প?সাইদুল ইসলাম সজীব (হাফিজাহুল্লাহ)

তুরস্কের সংগঠিত ভূমিকম্প এটা কি মানুষ দ্বারা সৃষ্ট কোন ভূমিকম্প?সাইদুল ইসলাম সজীব (হাফিজাহুল্লাহ)

তুরস্কের সংগঠিত ভূমিকম্প এটা কি মানুষ দ্বারা সৃষ্ট কোন ভূমিকম্প?গত কয়েকদিন এ নিয়ে বেশ আলোচনা সমালোচনা হচ্ছে। আমি কিচু ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে এটা নিয়ে লিখব লিখব বলে লেখা হচ্ছে না।অবশেষে এটা নিয়ে ক্ষুদ্র আলোচনা করার চেষ্টা করলাম। আশা করি পুরো আলচনায় সাথে থাকবেন।

দেখেন এটা আখিরুজ্জামানের যুগ!অনেক অসম্ভব বিষয় এ সময়ে সম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।বিশেষ করে সাম্রাজ্যবাদিদের নতুন নতুন মরণ অস্ত্রগুলো যা সভ্যতাকে ধ্বংস করে দিতে যথেষ্ট।আমি গত কয়েক বছর থেকে বলতেছি এখন সময়,দেখবেন একদেশ আরেক দেশের প্রতি কিভাবে যুদ্ধে জড়িয়ে যায়।কিছু ক্রিটিক্যাল অভিযোগ আসবে বিশেষ করে,, জীবাণু হামলা নিয়ে ,কিছুদিন অপেক্ষা করেন,,দেখবেন রাশিয়া ও আমেরিকা এক দেশ আরেক দেশের বিরুদ্ধে জীবাণু অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ দিবে।আর এটা সংগঠিত হয়ে গেলে অবাক হওয়ার কিছু নেই।

আর এ মরন খেলার অন্যতম খেলা হচ্ছে আমেরিকার তৈরি হার্প টেকনোলজি।আজকের পর্বে তুরস্কে সংগঠিত ভূমিকম্পের সাথে হার্পের কানেকশন আছে কিনা এ বিষয় কথা বলার চেষ্টা করবো।হার্প মুলত আলচনায় আসছে,হাইতির ভূমিকম্প দিয়ে।২০১০ এ হাইতির প্রচণ্ড ভুমিকম্পের জন্য দায়ি করা হয়েছে হার্পকে । আরো অভিযোগ আছে যে ২০১১র জাপান সুনামির জন্য, ২০১৩ ওকলাহোমা টর্নেডোর জন্য হার্প দায়ি। দু’বছর আগে অস্ট্রেলিয়া থেকে অভিযোগ উঠেছে হার্প ওদের আবহাওয়া ম্যানিপুলেট করছে। ইন্দোনেশিয়ার সুনামির পর ওরাও হার্প কে এজন্য দায়ি করেছিলো। একটাও মনগড়া কথা না।

এখন মুল কথায় আসা যাক হার্প কি আসলেই প্রকৃতি নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম।এ প্রশ্নে যাওয়ার আগে একটু ধর্মীয় কিতাব থেকে ঘুরে আসা যাক।হাদিস শরিফে রাসূলে করীম সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেছেন।

দাজ্জাল আকাশকে আদেশ দিবে বৃষ্টি বর্ষণ করার জন্যে। আকাশ তার আদেশে বৃষ্টি বর্ষণ করবে। জমিনকে ফসল উৎপন্ন করতে বললে করবে। চতুষ্পদ জন্তুকে ডাক দিলে তারা দাজ্জালের ডাকে সাড়া দিবে।” …(মানে প্রকৃতির উপর তার পুরো দখল দেখা যাবে। যে তাকে মানবে সে অসীম পার্থিব সুবিধা পাবে।‌ আর যে ওকে মানবে না, তার ক্ষতির সীমা থাকবে না।)

রাসুল সা: মা আয়েশার ঘর থেকে একদিন বের হয়ে বলছেন, দজ্জাল পূর্বদিকে অবস্থান করছে! পূর্বদিকে অবস্থান করছে! পূর্বদিকে অবস্থান করছে!” (মুসলিম- ২৯৪২) ।

 

টোটাল কথা হচ্ছে!প্রকৃতির অনেক কিছুই দজ্জালের নিয়ন্ত্রণে যাবে। নিজেকে সব কিছুর নিয়ন্ত্রক বলে দাবি করবে। যারা তাকে প্রভু মানবে, ওরা এর বেনিফিট পাবে; যারা মানবে না তাদের চরম দূর্গতি হবে।এখন কথা হচ্ছে দাজ্জালের সাথে হার্পের কি সম্পর্ক? হ্যাঁ সম্পর্ক তো অবশ্যই আছে।হাদিসে বলা আছে দাজ্জাল জীবিত সে সমুদ্রে বন্দি আছে।আর শয়তানের সিংহাসন ও কিন্তু সমুদ্রে!আর দাজ্জাল বন্দী হাদিসে কোথাও বলা হয়নি। তাঁর সাথে কেউ যোগাযোগ করতে পারবে না।সে শয়তান অথবা,অন্য কারো মাধ্যমে তথ্য আদান প্রদান করতেই পারে।আর সবচেয়ে বড়ো কথা হচ্ছে, দাজ্জাল আগমনের আগে তার ফিতনা শুরু হয়ে যাবে।

আলোচনার টোটাল কথা হচ্ছে,হার্প ভুমিকম্প সংগঠিত করতে সক্ষম এটা মোটামুটি পরিস্কার।কিন্তু তুরস্কের ভূমিকম্পের সাথে হার্পের কানেকশন আছে কি-না সে বিষয় আমি কোনো সিদ্ধান্ত দিব না।তবে কিছু প্রশ্ন থেকেই যায়!!স্বাভাবিক ভাবে এ সময় ভুমিকম্প হওয়ার কথা, কিন্তু তুরস্কের ভূমিকম্পটা আমার কাছে অস্বাভাবিকই মনে হয়েছে।

বিশ্ব রাজনীতিতে কিছুদিন থেকেই উত্তপ্ত। তুরস্ক কে কিছুদিন আগে থহমকি দেয়া হয় , খুব শীঘ্রই তুরস্কে বিপর্যর নামবে। নেদারল্যান্ডসের এক বিশেষজ্ঞ কিভাবে বলতে সক্ষম হলেন যে এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে তুরস্কে ও সিরিয়ায় বড়ো ধরনের বিপর্যয় নেমে আসবে। যেখানে বিশ্বের সর্বোচ্চ প্রযুক্তিও ভুকম্পের ৭২ ঘন্টা আগে কোনো পুর্বাভাস দিতে পারে না।

এই ভূমিকম্প হলো সিরিয়া,লেবানন, জর্ডান,তুরস্ক,ইসরায়েল প্লেটের উপরে। এক ইসরায়েল ছাড়া প্রতিটি দেশেই কম বেশি ক্ষতি হয়েছে।সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে প্রথমে তুরস্ক তারপরে সিরিয়ায়।একই প্লেটে অবস্থান ডিজরাইল ( ছদ্মনাম) কিন্তু কোনো ক্ষতি হলো না বিষয়টা আশ্চর্যজনক না?

দ্বিতীয়বারের যেসব দেশগুলোতে আঘাত হানবে বলা হয়েছে তারাও আমেরিকা এবং ডিসরাইল বিরোধী। এটাও একটা আশ্চার্যজনক না?

তুরস্কে অবস্থিত জার্মানি,ইটালি,ইংল্যান্ড সহ অনেক দেশের কনস্যুলট্যান্ট বন্ধ করে তারা নিজ দেশে চলে গেছে এবং তারা যাওয়ার আগে বলে দিয়েছে তুরুস্কে ভয়াবহ ধরনের কোন একটা কিছু ঘটতে যাচ্ছে।তাহলে তারা আগে থেকে কিভাবে জানলো যে তুরস্কের ভয়াবহ ধরনের কোন কিছু ঘটবে?

প্রশ্ন গুলো সত্যিই রহস্যজনক।উত্তর খোঁজার চেষ্টা করুন! কিছুটা হলেও বুঝবেন আশাবাদী। শেষ একটা হাদিসের মাধ্যমে আলচনা শেষ করতে চাচ্ছি আজকের মতো।

আল্লাহর নবী (সাঃ) বলেছেন, “যখন জেরুজালেমের উত্থান হবে এবং মদীনার পতন হবে, তখন আসবে মহাযুদ্ধ । । মহানবী (সাঃ) জেরুজালেমের উত্থান বলিতে ডিসরাঈলের উত্থান অর্থাৎ বেহুদীদের উত্থানকে বুঝিয়েছেন এবং মদীনার পতন বলিতে মুসলমানদের পতনকে বুঝিয়েছেন । বর্তমানে সমগ্র পৃথিবীর রাজনীতি, অর্থনীতি এমনকি ধর্মীয় বিষয়াদি ইহুদীরা নিয়ন্ত্রণ করে। অন্যদিকে এখনকার দুনিয়ার রাজনীতি, অর্থনীতি, ধর্মীয় বা সাংস্কৃতিক কোন ব্যাপারেই মুসলমানদের কোন কর্তৃত্ব নাই । সুতরাং রাসুলূল্লাহ (সাঃ) এর ভবিষ্যতবাণীকৃত সেই যুদ্ধ এখন যে-কোন মুহূর্তেই শুরু হয়ে যাবে । আর তা হবে পারমাণবিক যুদ্ধ । এই অস্ত্রের আঘাতে শতকরা ৯৯ জন মানুষের মৃত্যু হয়। ফলে পৃথিবীর বিরাট একটি অংশ মানুষের বসবাসের অনুপযুক্ত হয়ে যাবে। (সম্ভবত উত্তর আমেরিকা এবং পশ্চিম ইউরোপ) আর ফোরাত হবে তার, প্রথম টোপ!সেই সময়টা নিকটে।

টোটাল কথা হচ্ছে!সামনের দিন গুলো ভয়াবহ!বাংলাদেশে ও যে কোন সময় দুর্ভোগ নেমে আসতে পারে।জুলাইয়ের পরে তো অর্থনৈতিক মেসাকার আছেই।আগামীর দিন গুলো নিয়ে চিন্তা করার সময় চলে এসেছে।

আজকের মতো এখানেই বিদায় নিচ্ছি।কথা হবে আগামী কোনো এক আলচনায়।আল্লাহ আমাদের বুঝার তৌফিক দিক।

সাইদুল ইসলাম সজীব
লেখক ও গবেষক Akhirujjaman – আখিরুজ্জামান

Leave a Reply