You are currently viewing End Times : বরফ গলার Effect

End Times : বরফ গলার Effect

হঠাৎ করে হাজার লাখ বছর আগের ভয়ংকর সব ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া বের হয়ে পড়ে বেশি তাপমাত্রা পেয়ে এবং সক্রিয় হয় তাহলে এর দ্বারা সংক্রমিত হবে , যাদের দ্বারা আগে কখনো আক্রান্ত হইনি.

শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে বরফ-জমাট মাটিতে সমাধিস্থ হয়েছে মানুষসহ অন্যান্য প্রাণী। কাজেই এটা সংক্রামক জীবাণুরা পুনরায় ফিরে আসতে পারে।যেমন আলাস্কার গণকবরে বিজ্ঞানীরা খুঁজে পান ১৯১৮ সালের স্প্যানিশ ফ্লু। গুটিবসন্ত ও প্লেগের জীবাণু লুকিয়ে রয়েছে সাইবেরিয়ায়।

জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে হাজার লাখ লাখ বছর ধরে বরফ-জমাট অবস্থায় থাকা মাটি (পারমাফ্রস্ট সয়েল) গলতে শুরু করেছে।আর ওই মাটিতে সুপ্ত অবস্থায় রয়েছে অনেক পুরানো কালের ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া। গলতে শুরু করায় সুপ্ত অবস্থায় থাকা এসব জীবাণু নতুন করে প্রাণ ফিরে পাচ্ছে এবং ছড়াতে শুরু করেছে।

Process of ব্যাকটেরিয়া ইনফেকশন Spread in Nature

অ্যানথ্রাক্সের জীবাণু​ দশকের পর দশক বেঁচে থাকতে পারে
২০১৬ সালে আগস্টে সুমেরু বৃত্তের (আর্কটিক সার্কেল) মধ্যকার রাশিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় দুর্গম অঞ্চল সাইবেরিয়ান তুন্দ্রায় অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত হয়ে মারা যায় ১২ বছরের এক বালক। আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন আরও কমপক্ষে ২০ জন লোক। ওই অ্যানথ্রাক্স সংক্রমণের কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, ৭৫ বছরের বেশি সময় আগে অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত হয়ে কোনো বলগা হরিণ মারা যায়। এরপর ওই পশুর বরফ-জমাট মৃতদেহ বরফ-জমাট মাটির একটি স্তরে আটকা থাকে। ২০১৬ সালের গ্রীষ্মে উষ্ণ বায়ু প্রবাহিত হওয়ার আগ পর্যন্ত ওই মৃতদেহটি সেখানেই ছিল। উষ্ণ বায়ু প্রবাহিত হওয়ার পর বরফ গলতে শুরু করলে ওই মৃতদেহ থেকে ছড়িয়ে পড়ে অ্যানথ্রাক্স। প্রথমে ওই জীবাণু আশপাশের পানি ও মাটিতে ছড়ায়। পরবর্তী সময়ে খাবারের মধ্যে ছড়ায়। ওই অঞ্চলের দুই সহস্রাধিক বলগা হরিণ ওই অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত হয়।

তাহলে পৃথিবী বরফ-জমাট মাটির উপরিস্থ ৫০ সেন্টিমিটার স্তর গলে যায় প্রতি গ্রীষ্মে।

ফ্রান্সের এক্স-মারসেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবর্তনবাদী জীববিজ্ঞানী জ্যঁ-মিশেল ক্লেভারি বলেন, ‘ঠান্ডা, অন্ধকার এবং কোনো অক্সিজেন না থাকায় বরফ-জমাট মাটি জীবাণু ও ভাইরাসের খুবই ভালো সংরক্ষণাগার। বরফ-জমাট মাটির স্তরে থাকা ভাইরাস দ্বারা মানবজাতি ও পশু আক্রান্ত হতে পারে।এর মধ্যে এমন কিছু ভাইরাস রয়েছে, যেগুলো অতীতে বৈশ্বিক মহামারি সৃষ্টি করেছে।’
বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে ১০ লাখের বেশি বলগা হরিণ অ্যানথ্রাক্সে মারা যায়। আর এসব পশুর মরদেহ মাটির খুব বেশি গভীরে পুঁতে ফেলা সহজ ছিল না। এসব মরদেহ রয়ে যায় মাটির উপরিভাগেই।

২০১১ সালের এক গবেষণা প্রতিবেদনে গবেষক বরিস রেভিচ ও মারিনা পোডোলনায়া উল্লেখ করেন, বরফ-জমাট মাটি গলে যাওয়ার মাধ্যমে অষ্টাদশ ও ঊনবিংশ শতাব্দীর ভয়ংকর সব সংক্রামক জীবাণু ফিরে আসতে পারে।

বিশেষ করে সেসব সমাধিস্থল-সংলগ্ন এলাকাগুলোতে সংক্রমণ দেখা দিতে পারে, যেখানে ওই জীবাণুর সংক্রমণে মারা যাওয়া মৃতদেহ সমাধিস্থ করা হয়েছে।

১৮৯০-এর দশকে সাইবেরিয়ায় গুটিবসন্তের বড় মহামারি হয়। একটি শহরের ৪০ শতাংশ মানুষ এই রোগে মারা যায়। কলিমা নদীর তীরে বরফ-জমাট মাটির উপরিভাগেই এসব মৃতদেহ সমাধিস্থ করা হয়। ১২০ বছর পর কলিমা নদীর পানি উপচে বন্যার সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে মাটির উপরিভাগ ক্রমান্বয়ে ক্ষয়ে যাচ্ছে।

২০০৫ সালে নাসার বিজ্ঞানীরা আলাস্কার বরফ-জমাট পুকুর থেকে ৩২ হাজার বছর আগের প্লেইস্টোসিন যুগের একটি ব্যাকটেরিয়াকে পুনর্জীবিত করেন। এর দুই বছর পর ২০০৭ সালে বিজ্ঞানীরা অ্যান্টার্কটিকার একটি হিমবাহের উপরিভাগ থেকে ৮০ লাখ বছর আগের একটি সুপ্ত ব্যাকটেরিয়াকে পুনর্জীবিত করেন। যদিও বরফ-জমাট মাটিতে সুপ্ত থাকা সব ব্যাকটেরিয়া পুনরায় জীবন ফিরে পায় তা নয়। তবে অ্যানথ্রাক্স, টিটেনাসসহ অন্য অনেক ব্যাকটেরিয়া দীর্ঘ সময় পরেও সুপ্ত অবস্থা থেকে পুনর্জীবিত হতে পারে। কিছু ছত্রাকও দীর্ঘ সময় পর পুনর্জীবিত হতে পারে। যদিও বৈশ্বিক উষ্ণতা এখানে সরাসরি হুমকি নয়,

Leave a Reply