You are currently viewing শয়তানদের গোপন রহস্যভেদ!! পর্বঃ০৩

শয়তানদের গোপন রহস্যভেদ!! পর্বঃ০৩

গতকাল আপনাদের জানিয়েছিলাম সামুদ্রিক ঝড়ের কথা!! তা হল এক মাস ওখানে ঝড় হল কেন? তারপর হাদিসে বর্ণিত কেন এক অজানা দ্বীপে নোংগর করতে বাধ্য হল তামিমদারী রাঃ ত্রিশ জন খ্রিস্টান সংগী সাথী নিয়ে।

যখন তিনি নিজেও অমুসলিম ছিলেন। আর সেই জাস্সাসা এই কথা বলল কিভাবে গির্জা বা আশ্রমে এক লোক আছে যে তোমাদের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। তার মানে এটা কি অসম্ভব যে, এই ঝড় দাজ্জালের ইচ্ছায় হয়েছে তথা অজানা দাজ্জালী দ্বীপে এরিয়াতে প্রবেশ করলে দাজ্জালের ইচ্ছায় ইবিলীশি জীনেরা এই ঝড় তৈরী করে। কেননা জাস্সাসা ইবলিশী জীনই আমার মতে যা পূর্বে বর্ণনা করেছি।

আর দাজ্জাল যেহেতু গির্জায় শিকলে বাধা তাই তার পক্ষে তা করা সম্ভব নয় বরং সে তার বন্ধু ইবলিশ জীনদেরকে তা নির্দেশ দিয়েছে। আর ইবলিশ ও অনুগত জীনদের একটি দল দূর থেকে দাজ্জাল যে দ্বীপে অবস্থান করছিল সেই এরিয়া গুলোতে নজর রাখাই তাদের কাজ ছিল ও সেই এরিয়াতে প্রবেশ করলেই ইবলিশী জীন তথা demonএরা এইরকম ঝড় তৈরি করে একমাস পর্যন্ত তাদের অন্তরে ভয় ঢুকিয়ে দেয় ও অবশেষে তাদের কাঙ্খিত অজানা দ্বীপে নোঙ্গর করতে বাধ্য করে। আর এর জন্য দাজ্জালের কাছে পরামর্শ ও অনুমতি নেয়। নতুবা বলত না যে সে (দাজ্জাল) তোমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। কিন্তু তখন যদি তারা মুসলমান থাকত তবে এই অজানা দ্বীপে আসার আগে যে একমাস বিক্ষুব্ধ তড়ঙ্গমালায় মোকাবিলায় করতে হয়েছে তেমনটি করতে হত না। কেননা কুরআনের আয়াতের বরকতে ইবলিশী জীনেরা কিছুই করতে পারত না। কিন্তু আল্লাহ যেমনিভাবে জায়গাটিকে কেয়ামতের পূর্বে ঈমান পরীক্ষার জন্য গোপন রেখেছেন তেমনই থাকত। আর তাই উত্তাল তরঙ্গমালা দ্বারা দিকভ্রান্ত করার ক্ষমতা আল্লাহ তাআলা দিয়ে দিয়েছিলেন ইবলিশী জীন ও তার অনুগত বংশধরদেরকে কেয়ামতের আগ পর্যন্ত। কিন্তু নিশ্চিত দাজ্জালের অবস্থান পেত না মুসলিমরা বরং সমুদ্রের এইরূপ উত্তাল তরঙ্গমালা মুসলমানদেরকে দিকভ্রান্ত না করে তাদেরকে দাজ্জালের এরিয়ার প্রকৃত লোকেশন থেকে দূরে সরিয়ে রাখত।

এবার আশা যাক সেই প্রশ্নের ব্যাখ্যা তামিমদারী রাঃ ও তার সংগীদেরকে করা প্রশ্ন ,আমার পরিচয় জানতে পারবা তবে আগে বল যে, তোমাদের পরিচয় কি? তখন উত্তরে বলা হল যে, আমরা খ্রিস্টান। ও এরপর তাদের বিস্তারিত পরিচয় দিল। তার মানে দাজ্জাল ও উক্ত জীনেরা পূর্বে জানত না যে তারা খ্রিস্টান। যেহেতু তখনও তারা ঈমান আনয়ন করে নি ও কুরআন অন্তরে ছিল না তাই তারা ইবলিশী জীনদের কবলে পড়েছেন এমনটি ভাবা অস্বাভাবিক কিছুই নয়। আর এর দ্বারা বুঝা গেল যে দাজ্জালের পক্ষে পৃথিবীর কোথায় কি হচ্ছে সেই খবর জানা শিকল পরিহিত অবস্থায় তা সম্ভব নয়।বরং পূর্বেই বলেছি তার ইবলিশী সংগীরাই এই খবর এনে দিয়েছে যে তারা এদিকে আসছে।কিন্তু দাজ্জাল নিশ্চিত ছিল না যে তারা কোন ধর্মের কিন্তু এতটুকু সে বুঝেছে যে কোন মুসলিম অবশ্যই এই উত্তাল তরঙ্গমালার দাজ্জালের সংগী ইবলিশের পাতানো ফাঁদে পা দিবে না তাই সে অন্য ধর্মের হওয়াই স্বাভাবিক তাই তৎকালীন বিশ্ব পরিস্থিতির সংবাদ জানতে তাদেরকে ইবলিশী জীনদের দ্বারা উদ্ভুট পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে।

যাইহোক আগে দাজ্জাল তাদের পরিচয় জেনে নিল যাতে সে নিজের পরিচয় দিতে পারে দ্বিধা সংকোচে। এছাড়াও তাদের কাছ থেকে খবর সংগ্রহ করতে পারে যা তার জানা নাই। তাই জিজ্ঞেস করল যে, বাইসানের খেজুর বাগানের অবস্থা, তারবিয়া হ্রদের অবস্থা ও যৌরী ঝর্ণার অবস্থা ও রাসুল্লাহ সাঃ ও আরবের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে। তার মানে দাজ্জাল আসলে বিশ্বের খবর দ্বীপে বসে সব গাইবের দেখার মত করে জানে না বরং তাকে আসলে জানানো হয় এইভাবে মানুষের মাধ্যমে ও ইবলিশী জীনদের মাধ্যমে যারা সমুদ্রে রাজত্ব বিস্তার করে হাদিসানুযায়ী। ফলে তারাই দাজ্জালের এরিয়ার পৌছানোর আগে দাজ্জালী সমুদ্রে উত্তাল ঝড় তৈরি করে কেননা ইবলিশের সিংহাসন সমুদ্রে।।

তারমানে দাজ্জালকে বিশ্বের পরিস্থিতির খবর দিতে এভাবেই ইবলিশী জীনেরা অমুসলিমদেরকে ধরে এনে হাজির করে। তারপর দেখবেন যে দাজ্জাল তাদেরকে পরামর্শ দিল, আরবদের উচিত রাসুল্লাহ সাঃ এর অনুগত হওয়া থাকা। তার মানে দাজ্জাল অমুসলিমদেরকে দ্বীপে শিকলে বা়ধা অবস্থায়ও উপদেষ দিতে সক্ষম।দাজ্জালের সাথে দ্বীপে দেখা করতে যদি জাহাজের মত যানবাহন চলে তবে দাজ্জালের এরিয়াতে ফ্লাইং সোসারও চলতে পারবে যেটি জলে ও স্থলে উভয় দিকেই অবিশ্বাস্য দ্রুতগতিতে চলাচল করতে পারদর্শী। আর দাজ্জালের কাছে প্রতিনিয়ত খবর দিতে উন্নত প্রযুক্তির এই রকম যানই প্রয়োজন যেগুলো ফ্রি মেসন ও ইলুমিনিটির প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই গোপনভাবে জীনদের সাথে যোগসূত্র তৈরী করতে সক্ষম। যেগুলো জীনেরা দাজ্জালের কাছে বিশ্ব পরিস্থিতির সংবাদ ও নিউ ওয়াল্ড অর্ডার বাস্তবায়নের জন্য করণীয় ও পরামর্শ পৌছানোর জন্য ও শেষ জামানার দাজ্জাল আত্মপ্রকাশের পূর্বে তাদেরকে মিথ্যা নবী মানার জন্য তারা এমনটি করে।

কেননা দাজ্জাল প্লথমে নিজেকে খোদা দাবি করবে না বরং সে মিথ্যা মাসীহ দাবি করবে। আর খোদা দাবি করবে তখন যখন পৃথিবীতে ৪০দিনের জন্য আল্লাহর নির্দেশে বের হবে ইয়াজুজ মাজুজের মত কিয়ামতের পূর্বে নিদর্শন হিসেবে।

অমুসলিমদের গোপন সংগঠনের লোকদের সাথে সাক্ষাৎ করে ইবলিশী জীনেরা ফ্লাইং সোসারে করে। আর এই সাক্ষাৎ ঘটে এরিয়া ৫১ (এই সংক্রান্ত আমার একটা লেখা আছে যা স্পষ্টতর এরিয়া ৫১ এ মানুষ ও জীনের সাক্ষাৎকার) সহ বিভিন্ন গোপন জায়গায় যেখানে সাধারণ মানুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ। সমুদ্রগুলোতে যদি শয়তানের রাজত্ব তথা ইবলিশের হেডকোয়াটার থাকে তবে অবশ্যই পৃথিবীর পূর্ব দিকের দ্বীপগুলোতে দাজ্জালের অধিনস্থ থাকবে শিকলে আবদ্ধ দাজ্জালের পরামর্শ অনুযায়ী ইবলিশী জীনদের কার্যক্রম দ্বারা। আল্লাহ সবচেয়ে ভালো জানেন।

চলবে,,

Leave a Reply