কিছুদিন আগে আমি আমার একটা লেখায় বলেছিলাম। উনাদের ক্ষমতাচ্যুত করার আন্দোলন করা,এবং সে আন্দোলনে সফলতা আশা মানেই ইন্ডিয়াকে সরাসরি ক্ষমতায় বসানো চাড়া আর কিছুই নয়।অতএব উনাদের ক্ষমতাচ্যুত করার আন্দোলন থেকে দূরে থাকাই ভালো।
যদি আন্দোলন করতে হয়,তাহলে ইন্ডিয়ার মালাউন সেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার মন মানসিকতা নিয়েই আন্দোলন করতে হবে।আর সেই আন্দোলন হবে মহাপরাক্রমশালী আল্লাহ আন্দোলনকে বিজয়ী করার আন্দোলন। আর না হয় খামাকা বাংলাদেশকে আফগানিস্তান বানানোর চেষ্টা না করাই উত্তম।
জ্ঞানীরা নিশ্চয়ই আমার কথা বুঝতে পেরেছেন, আমি কি বুঝাতে ছেয়েছি।জানি আমার কথার আমল হবে না। এবং এটাও জানি সময় আর বেশি দূরে নয়। আপনারা ভাবছেন অনেক দেরি তাই না?
এবার আসুন আমি বিস্তারিত বলি।
প্রসঙ্গ আসে উনাদের নিয়ে।উনারা শুরু থেকেই হিন্দু বান্ধব একটি সংগঠন। অতএব হিন্দুস্তান তথা ইন্ডিয়ার সাথে তাদের সম্পর্ক বেশ পুরনো। পিতা থেকে কন্যা, যদিও পিতা ছিলেন কন্যার ছেয়ে দেশ বান্ধব নেতা।
নানা মেরুকরণের মধ্যে দিয়ে উনারা এ দেশে বর্তমানে একটি শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে এবং বর্তমান ক্ষমতাসীন।উনারা আদর্শিকভাবে একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাজনৈতিক সংগঠন। যা কোরআন-হাদিসের সাংঘর্ষিক।
বিপরীতে বাংলাদেশ সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিমদের দেশ। এখানে ইসলামী শক্তিদের উত্থান,উনারা বা তার সমমনা সব রাজনৈতিক দলের জন্য হুমকি!!এবং কি ইন্ডিয়ার জন্য আরো চরম হুমকি। কারণ ইন্ডিয়ার সাথে প্রতিবেশী কোন রাষ্ট্রের সুসম্পর্ক নেই, পাকিস্তানের সাথে তো দা- কুমড়া সম্পর্ক। কাশ্মীর নিয়ে রয়েছে আরও রিক্স যুনে। সে কেন্দ্রিক ইন্ডিয়া কখনোই চাইবেনা বাংলাদেশে তাদের আতঙ্ক ইসলামের উত্থান হোক।সেজন্য তারা বেছে নিয়েছে উনাদের মত বিশ্বস্ত বন্ধুকে। বিম্পিকে বেছে নেয় নি কারণ বিম্পি একটি জাতীয়তাবাদী সংগঠন। সেটাও তা তাদের জন্যে ফুল বিছানো পঁথ না।
পরিশেষে গুজরাটের কসাইরা উনাদের উপর চেপে বসে।এদেশের ইসলামপ্রিয় মানুষদের দমন নিপীড়ন হত্যা লুটতরাজ,একের পর এক জুলুম চালিয়ে যাচ্ছে। বিরোধীদের দমন নিপীড়ন একসাথে ইন্ডিয়ার প্রভাব বিস্তার!! অন্যদিকে তাদের বন্ধু (উনাদের) ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখার জন্য এদেশের মানুষের উপর অত্যাচারের স্টিম রোলার চালিয়েছে।একের পরে এক দমন নিপীড়ন দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে মজলুম জনতার!!, অপেক্ষা কখন যেন বিস্ফোরিত হয় মাজলুম জনতার পক্ষ হ’য়ে একজন সালাউদ্দিন আইয়ুবী।
বিস্ফোরণ হবে এবং হওয়ারই কথা!!সেটা গুজরাটের কসাই এবং তাদের দালালরাও জানেন।কারণ ক্ষমতা কখনোই চিরস্থায়ী নয়।যার দৃষ্টান্ত ফেরাউন নমরুদরা স্থাপন করে গেছেন। তাইতো বিস্ফোরণের বয়ে কর্মীদের সেভ করার জন্য তারা করেছে মাস্টার প্ল্যান।
সংক্ষেপে বলি!!
হিন্দুস্থানের রাজাকারদের বিরুদ্ধে যখন চরম আন্দোলন গড়ে উঠবে। এবং সে আন্দোলনের সফলতা আসবে। তখন দেখবেন হিন্দুদের মন্দির ভাংচুর করা হচ্ছে, আগুন দেয়া হচ্ছে!!কি ভাবছেন, মুসলমানরা এসব কাজ করবে?
কখনোই না বরং এমন বিধ্বংসী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হবে হিন্দুস্তান রাজাকারেরা। তাদের ক্ষমতা টিকে থাকার জন্য গুজরাটের কসাইদের সাহায্য তো সরাসরি নিতে পারবে না।সেজন্য সফট কর্নার হিসেবে সংখ্যালঘু নির্যাতনের নামে বিশ্বকে দেখাবে এদেশে মৌলবাদের উত্থান।সংখ্যালঘু প্রোটেকশনের নামে। তখন গুজরাটের কসাইরা এ দেশে প্রবেশ করবে,,, তার পরে কি হবে বাকিটা নিজ দায়িত্বে বুঝে নিন। সামনে কিন্তু হাদিসে বলা আছে,,,,,
শেষ কথা বলি।
আমার পোস্ট বুঝতে হলে ভাতের সাথে প্রতিরক্ষা চুক্তির বিষয়গুলো ভালভাবে জানতে হবে!!
আমি কিন্তু কাহারো বিরুদ্ধে বলি নি 😢
sothik bolcen