দাব্বাতুল আরদ ও সোলাইমান আলাইহি ওয়াসাল্লামের রহস্যময় আংটির সমাধান!!

মাশিহ আদ দাজ্জাল হলো পৃথিবীর ফেতনা গুলোর মধ্যে অন্যতম এক প্রলয়ংকারী ফিতনা । । নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বারবার তাঁর উম্মতগণকে এই দাজ্জালের ফিতনার ব্যাপারে সতর্ক করে গেছেন। তিনি বলেন–

“পৃথিবীতে যত নবী রাসূল প্রেরিত হয়েছেন তাঁরা প্রত্যেকেই নিজ নিজ উম্মতকে মিথ্যাবাদী কানা দাজ্জাল সম্পর্কে সতর্ক করেছেন। দাজ্জাল কানা হবে। আর তোমাদের রব অবশ্যই কানা নন। আর দাজ্জালের দু চোখের মাঝখানে লেখা থাকবে ‘কাফিরুন’।

সহিহ বুখারীঃ ৬৫৯৮”

অর্থাৎ এমন কোনো নবী বাদ যাননি যিনি তাঁর উম্মতগণকে দাজ্জালের ফিতনা হতে সতর্ক করে গেছেন। দাজ্জাল হলো এমন এক মানুষ যে অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী হবে আর সে সবার কাছে গিয়ে নিজেকে স্রষ্টা বলে দাবি করে বেড়াবে। দুর্বল ঈমানের সকলে তার ফিতনায় পড়ে তাকে স্রষ্টা হিসেবে মেনে নিবে আর ঈমান হতে খারিজ হয়ে যাবে। সহিহ মুসলিম হাদিসে এসেছে, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন–“দাজ্জালের বাম চক্ষু কানা হবে। সে এলোকেশী হবে। তার হাতে কৃত্রিম জান্নাত আর জাহান্নাম থাকবে। তার জান্নাত হবে জাহান্নাম আর জাহান্নাম হবে জান্নাত।” আর তার আগমন হবে ইস্পাহেন ইয়াহুদিয়া নামক একটি অঞ্চল থেকে।

দাজ্জালের আগমন ও তার মৃত্যুর বেশ পরের ঘটনা। পৃথিবীতে আল্লাহ সুবাহাওয়াতায়ালা একটা প্রাণী পাঠাবেন। পবীত্র কুরআনে যাকে বলা হয়েছে “দাব্বাতুল আরদ”। এই দাব্বাতুল আরদ সম্পর্কে আমাদের দেশের মুসলিমদের প্রায় ৮০% মানুষই জানেন না। দাব্বাতুল আরদ কিয়ামতের নিকটবর্তী হওয়ার একটি ভয়াবহ আলামত। কেউ কেউ মনে করে, এটি হলো সেই সাপ যা পবিত্র কাবার দেয়ালে ছিল। কুরাইশরা যখন কাবা ঘর নির্মাণ করার ইচ্ছা পোষণ করল, তখন ঐ সাপটিই তাদের নির্মাণ কাজ শুরু করতে মূল বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। সূর্য যখন পশ্চিম দিকে উদিত হবে-তওবার দরজা বন্ধ হয়ে যাবে, তখন এই জন্তুটি জমিন থেকে বেরিয়ে আসবে। তার মাথায় দুটো শিং থাকবে, মুখটা হবে বকরির মতো। তার এক হাতে থাকবে হযরত মুসা (আঃ)-এর লাঠি এবং অন্যহাতের আঙুলে থাকবে একটি আংটি যা হযরত সুলাইমান (আঃ)-এর ছিল। সে মানুষের সঙ্গে কথা বলবে এবং ইসলামের দাওয়াত দিতে থাকবে। মুমিন আর কাফিরদের মাঝে চিহ্ন বসিয়ে দিবে। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে বলেছেন–

“যখন প্রতিশ্রুতি (কেয়ামত) সমাগত হবে, তখন আমি তাদের সামনে ভূগর্ভ থেকে একটি জীব নির্গত করব। সে মানুষের সঙ্গে কথা বলবে। এ কারণে যে মানুষ আমার নিদর্শনসমূহে বিশ্বাস করত না।

(সূরা: নামল, আয়াত: ৮২)”

হাদিস থেকে জানা যায়–সূর্য পশ্চিম দিকে উদিত হওয়ার পর যে সত্যিই তওবার দরজা বন্ধ হয়ে গেছে, তার চুড়ান্ত প্রমাণ হবে এই দাব্বাতুল আরদ। নিম্নে থাকা ছবিটি দাব্বাতুল আরদের বর্ণনা অনুযায়ী অ্যানিমেশন দ্বারা তৈরি করা। আমাদের একাডেমিক বইতে এসব সম্পর্কে কিছুই লেখা হয় না। ফলে যখন আমরা এগুলো শুনি, তখন সবকিছুকে কেবল মাত্র রূপকথা মনে হয়। রূপকথা ছাড়া কিছু না!

দাব্বাতুল আরদ,একটি ভয়ংকর প্রানী ভূমি থেকে বের হয়ে মানুষের কপালে চিহ্ন দিয়ে দেবে,তার এক হাতে থাকবে মুসা আঃ এর লাঠি আর অন্য হাতে থাকবে সুলাইমান আঃ এর আংটি।