You are currently viewing দুই চোখের মাঝখানে কাফির এবং  এর রহস্য

দুই চোখের মাঝখানে কাফির এবং এর রহস্য

দুই চোখের মাঝখানে কাফির এবং ৬৬৬ এর রহস্য

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেছেন, “আল্লাহ তা’আলা তারপর প্রতিটি মানুষকে তার ঈমান প্রদর্শনের নিমিত্তে প্রত্যেকের দুই চোখের মাঝখানে এক আলোর দ্যুতি স্থাপন করলেন এবং সকল মানুষের এই অবস্থাকে আল্লাহ তা’আলা আদমকে দেখালেন। অসংখ্য মানুষের দু’চোখের মাঝখানে আলোর দ্যুতি ছড়ানো এ দৃশ্য আবলোকন করার পর আদম শ্রদ্ধামিশ্রিত ভয়ে ভীত হয়ে আল্লাহকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘হে আমার প্রতিপালক, ঐসব মানুষ কারা?’ আল্লাহ তা’আলা তাকে বললেন যে তারা সকলে তার (আদমের) বংশধর। অতঃপর আদম একজন মানুষের খুব কাছাকাছি এসে এক ব্যক্তির দু’চোখের মাঝাখানের আলোর দ্যুতি দেখে বিস্মিত হয়ে আল্লাহর কাছে ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে জানতে চাইলে আল্লাহ বললেন, ঐ ব্যক্তি হচ্ছে দাউদ, যিনি তোমার বংশধরদের মধ্যে শেষ জাতির অন্তর্ভুক্ত।…..।” -(তিরমিযি)

দাজ্জাল সম্পর্কে হাদিসে এসেছে। তার দুই চোখের মাঝখানে কাফির লেখা থাকবে। যা প্রত্যেক মুমিন পড়তে পারবে,হোক সে অক্ষর জ্ঞানসম্পন্ন অথবা নিরক্ষর। (মুসলিম; মুসনাদে আহমদ-১৪৯৯৭)

দাজ্জাল হল ভণ্ড মসিহা, যাকে ইয়াহুদিরা সত্য মাসিহা মনে করবে। তারা বলে দাজ্জালের নাম হল মসিহা বিন দাউদ (দাউদের পুত্র মাসিহা)। যে দাউদ আলাহিস সালামের দু’চোখের মাঝখানে ঈমানের নূরের দ্যুতি চমকাচ্ছিল তাদের দাবী অনুসারে তার পুত্র হবে দাজ্জাল। আমরা জানি ইমানের আলো তো খুব দুরের কথা বরং তার মাথায় কাফির লেখা থাকবে।
.
খ্রিষ্টানদের বিশ্বাস হল দাজ্জাল বা এন্টিক্রাইস্টের মাথায় ৬৬৬ লেখা থাকবে, এবং সে তার অনুসারীদের দুই চোখের মাঝখানে এবং ডান হাতের তালুতে এই ৬৬৬ এর সীল মেরে দিবে।

৭ নং সংখ্যা হল উৎকৃষ্টতার ও সম্পূর্ণতার প্রতীক যা ঈশ্বরকে নির্দেশ করে। অন্যদিকে সংখ্যা ৬ মানুষকে নির্দেশ করে কারণ ঈশ্বর ষষ্ঠ দিন মানুষকে সৃষ্টি করেছিলেন। ৬৬৬ হল বিস্টের প্রতীক এবং এটার দ্বারা ঐ সকল মানুষকে বুঝানো হয় যারা অহংকারবশত নিজেকে ঈশ্বরের একটি অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাচ্ছে।

Is the age of the Antichrist, Martyrdom, Rapture and The Millennial Kingdom coming? (II)- Paul C. Jong)
.

রেভেলেশান ১৩:১ থেকে বুঝা যায় এই ৬৬৬ বা এন্টি-ক্রাইস্ট (দাজ্জাল, যে নিজেকে ঈশ্বর সাব্যস্ত করতে চাইবে) সে অনেক মিরাকল করবে, মৃতকে জীবিত, আকাশ থেকে অগ্নিবর্ষণ করাবে যাতে মানুষরা তাকে অনুসরণ করে। Paul C. Jong একটু গুরুত্ব দিয়ে বলেন, “অন্যভাবে বলতে গেলে, শয়তান মানুষকে দাজ্জালের এমন অনুসরণকারী বানাবে যে পূর্বে মানুষ ঈশ্বরকেও এভাবে অনুসরণ করেনি”

যাইহোক, যে সকল মানুষের কাছে 666 মার্ক (সীল) থাকবে না, তাদের প্রতি কোন রহম করা হবে না, তাদের উপর যুলুম করে হত্যা করা হবে, তাদেরকে কোন প্রকার লেনদেন করার অনুমতি দেয়া হবে না। আমরা যখন কোণ ব্যক্তি, সংস্থা, কোম্পানি বা রাষ্ট্রকে যখন 666 বা পিরামিড ইত্যাদি সাইন ব্যবহার করতে দেখি তখন এটা স্পষ্টই বুঝাচ্ছে এরা হল দাজ্জালের অনুসারী, বা কোন মাধ্যমে দাজ্জাল থেকে এই চিহ্ন পেয়েছে। এরাই দাজ্জালের জন্য অপেক্ষারত, দাজ্জালের পূজারি, তার পথ সুগমকারী। এরা আজ বিশ্বকে নিয়ন্ত্রণ করছে। ইউরোপ আমেরিকার শাসক থেকে তাদের যাজক পর্যন্ত, সাধারণ মানুষ থেকে আইডল, মিলিনিয়ার বা স্টার পর্যন্ত, ছোট ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান থেকে মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানি পর্যন্ত এই 666 প্রতীক বহনকারী রয়েছে।

সাম্প্রতিক বাংলাদেশ একটি কোম্পানি ও তাদের মুখোশ উন্মোচন করেছে।

Leave a Reply