আপনাদেরকে দাজ্জালেলের গুপ্তচর জাস্সাসার প্রাণীর কথা বলেছিলাম ,সে ইবলিশী জীন হবার সম্ভাবনা সর্বাধিক তবে আজকের দুনিয়ার তথাকথিত এলিয়েন নয় তারা ।
এবার আমার গবেষণার আরেকটু ভিতরে যাওয়া যাক। জাস্সাসা প্রাণীর কথা বলা হয়েছে যে সে মানুষের সাথে কথা বলতে পারে এমন অদ্ভূত প্রাণী। আচ্ছা মানুষের সাথে সৃষ্টিজীবের মধ্যে কারা কথা বলতে পারে। হয়ত জীন নতুবা ফেরেশতা। চতুর্থজন জানা নেই। আর যে প্রাণী মানুষের সাথে কিয়ামতের আলামতের আগে কথা বলবে তার নাম তো দাব্বাতুল আরদ যে ভূগর্ভস্থ স্থান থেকে বের হবে। কিন্তু এর নাম তো বলেছে জাস্সাসা। তাহলে এই যুক্তি বাতিল। তাহলে সে কি ফেরেশতা? আচ্ছা ফেরেশতা হলে তামীম দারী এবং তার সঙ্গীরা কি বিরক্তবোধ প্রকাশ করত? আর বলতো ধ্বংস হোক তোর কে তুই?
না এমন কথা কখনোই বলতো না!! আর ফেরেশতাদেরকে তো সাধারণ মানুষ তথা আল্লাহর মানোনীত ব্যক্তিবর্গ তথা নবী – রাসূল ছাড়া মৃত্যুর পূর্বে দেখতে পায় না। আর কথা বলা তো দূরে থাক। আবার জানি যে ইবলিশ ও তার বংশধর হল বিশেষ জীন যাদেরকে কেয়ামত পর্যন্ত কর্তৃত্ব দেয়া হয়েছে। আর তারা বিভিন্ন রূপ ধারণ করতে পারে। অন্যান্য জীনের মত মানুষদের সাথে কথা বলতে পারে। আর শয়তানেরা শয়তানী বিশ্রী আকার ধারণ করে এটাই স্বাভাবিক। তাই তো বলেছে যে, কে তুই? তোর ধ্বংস হোক। আর গির্জা বা আশ্রমের বাইরে থেকে তার কি ঠেকা পড়েছে যে, দাজ্জালের জন্য খবর সংগ্রহ করতে তার প্রীত হওয়া।সে কিভাবে জানল যে, তাদের জন্য দাজ্জাল খবর শুনতে অধীর আগ্রহে বসে আছে? অবশ্যই তার সাথে সম্পর্ক আছে। আর সেই সম্পর্ক হাদিসে আছে যে, দাজ্জালের সংগী হবে ইবলিশ যে মৃত মা বাবা-মায়ের রূপ ধারণ করে আসবে। তার মানে ইবলিশ জীন ও তার অনুগত জীনেরা দাজ্জালের সংগী হবে। আর তার গায়ে যে অত্যাধিক লোম বা পশম থাকে তা জীনদেরই বৈশিষ্ট্য সাথে সবচেয়ে বেশি সংগতিপূর্ণ!! ইসা দাউদের সাথে জীনের সাক্ষাৎকারটিতে জীনদের বর্ণিত বৈশিষ্ট্যের সাথে মিল রয়েছে । তার মানে জাস্সাসা ইবলিশী জীন হওয়াটা স্বাভাবিক যা আজ বর্তমান আধুনিক যুগের হলিউডের বিভ্রান্ত বিজ্ঞান মনষ্করা এলিয়েনই মনে করবে।
এবার দ্বিতীয় কথায় আসা যাক।তা হল এক মাস ঐখানে ঝড় হল কেন?
বলবো আগামী পর্বে ইনশাআল্লাহ।
coluk