You are currently viewing শয়তানদের গোপন রহস্যভেদ!!পর্বঃ০১

শয়তানদের গোপন রহস্যভেদ!!পর্বঃ০১

জীন ইবনে কানজুর ; যার বয়স ১৮০বছর যা মানুষের জীবনকালের তুলনায় ১৭-১৮বছরের বালকের ন্যায় ।যার পিতা হুদের বয়স ছিল ৯৫০বছর।যার দাদা প্রথম আকাশের ফেরেশতাদের উপর নাযিলকৃত গাইবী বিষয়ের তথ্য চুরি করতে গিয়ে আল্লাহর পক্ষ থেকে উল্কাপিণ্ডের গজবে পতিত হয়ে মারা যায়। কুরআনে আল্লাহ প্রথম আসমানকে সুরক্ষিত করার কথা বলেন এই আয়াতের মাধ্যমে যা রাসুল্লাহ সাঃ এর পূর্বে জীনদের প্রবেশাধিকার ছিল।

“যার ফলে তারা উচ্চতর জগতের কিছু শুনতে পারে না, চতুর্দিক থেকে তাদের প্রতি নিক্ষেপ করা হয় (উল্কাপিন্ড)
আমি নিকটবর্তী আসমানকে তারকারাজির সৌন্দর্য দ্বারা সুশোভিত করেছি। আর (এটা করেছি) প্রত্যেক বিদ্রোহী শয়ত্বান থেকে সুরক্ষার ব্যবস্থা হিসেবে।যার ফলে তারা উচ্চতর জগতের কিছু শুনতে পারে না, চতুর্দিক থেকে তাদের প্রতি নিক্ষেপ করা হয় (উল্কাপিন্ড)। তাদেরকে) তাড়ানোর জন্য। তাদের জন্য আছে বিরামহীন শাস্তি।তবে কেউ ছোঁ মেরে কিছু শুনে ফেললে জ্বলন্ত উল্কাপিন্ড তার পিছু নেয়।”
(সূরা আস সাফফাত:আয়াত :৬-১০)

এই জীনটি ভারতের মুম্বাইয়ে থাকত এবং সে শুরুর দিকে পিতা মাতার মত নাস্তিক ছিল পিতা – মাতার মত।পরবর্তীতে মিশরের বিখ্যাত আরবীয় গবেষক ও সাংবাদিক ইসা দাউদের নিকটে ইসলাম গ্রহণ করেন ও এরপর উক্ত জীনের হাতে ১০হাজার জীন মুসলিম হয়। জীনদের জগতে তার বিশাল পাওয়ার ছিল কেননা উক্ত জীন আগে নাস্তিকতা ও খ্রিস্টান ধর্মে ইবলিশের হয়ে বিভিন্ন কাজ করত। কিন্তু ইসলাম গ্রহণের পর তার সেই শক্তিকে ইসলামের জন্য উৎসর্গ করা শুরু করেন। তিনি এলিয়েনদের অনুসন্ধানে ১০০বারের বেশি পৃথিবীর বাইরে বিভিন্ন গ্রহ নক্ষত্রে সন্ধান করেন কিন্তু কোন এলিয়েন পাননি। উনি জীনদের জীবন, ইবলিশের আস্তানা যেখান থেকে ইবলিশ শয়তান কলকাঠি নাড়ে সেগুলোর গোপন কথা, ufo তথা ফ্লাইং সোসার,ডেভিড কপারফিল্ডের জাদু রহস্য, বারমুডা ট্রাইএঙ্গেলে জাহাজ ও প্লেন কিভাবে গুম হয়ে যায় তার ব্যখ্যা, এলিয়েন ভণ্ডামি সহ বিভিন্ন রহস্যগুলোর উত্তর দেন। আর এই সাক্ষাৎকারের জন্য মুসলিম বিখ্যাত জীনটিকে মানুষের রূপে আসতে অনুরোধ করা হয় ও তবে এগুলো উনি নিজ ইচ্ছায় দেননি বরং যেহেতু সে জীন ছিল তাই ইবলিশ কর্তৃক প্রাণনাশের ভয়ে তথ্য গোপন করতে চেয়েছিলেন।আর ইসা দাউদের নিজস্ব গবেষণার রিপোর্ট তুলে ধরার কারণে ও ইসা দাউদের রহস্য সমাধানের রিপোর্ট, জ্ঞান ও যুক্তি দেখে জীন ইবনে কানজুরকেও হতবাক হতে হয় এবং উত্তর দিতে অনেকটা বাধ্য হয়। এছাড়া উক্ত মুসলিম গবেষক ইসা দাউদের ঈমানী স্বান্ত্বনায় ইসলামের মূলভিত্তিতে রাজি হয় গোপন তথ্য ফাঁস করতে; যা আজ আমেরিকার FBI, CIA, NASA কোটি কোটি ডলার খরচ করেও উদঘাটন করতে পারছে না। জীন ও মানুষের মধ্যে এই রহস্যপূর্ণ সাক্ষাৎকারটির চুম্বকাংশ তুলে ধরা হল ইন্দোনেশীয়ান ভাষায় অনুবাদ করা বিখ্যাত বই ‘ জীন ‘ থেকে।যেই মূল আরবীতে ১৯৯২সালে প্রকাশিত হয়েছিল জেদ্দাতে। তারপর অনূদিত হয়েছে ইন্দোনেশীয়ান ভাষায়। আমিই প্লথম বাংলা করলাম আলহামদুলিল্লাহ –

ইসা দাউদ: তুমি কি কখনও ইবলিশ শয়তানকে দেখেছো?

জীন: আমি যখন ছোট ও কিশোর বয়সে ছিলাম এবং ইসলাম গ্রহণ করেনি তখন তাকে দেখেছি।

ইসা দাউদ: তুমি তাকে কিরূপ দেখেছো যদিও তখন তুমি অনেক ছোট ছিল?

জীন: আমি নিজের ইচ্ছায় সেখানে যাই নি। আমার পিতা আমাকে জোড় করে নিয়ে গিয়েছিলেন। ইবলিশ আমাকে আর্শীবাদ করে দিয়েছিলেন।

ইসা দাউদ: আল্লাহ তাকে লানত বর্ষণ করুক। আল্লাহকে ধন্যবাদ যিনি তোমাকে ইসলাম গ্রহণের সুযোগ করে দিছেন।

জীন: আল্লাহকে ধন্যবাদ। আল্লাহকে ধন্যবাদ। আমি ইসলাম ধর্মান্তরিত হয়েছি।

ইসা দাউদ: আমাকে বলবে কি ইবলিশের আকৃতিটি কিরুপ?

জীন : জীনদের আকৃতি যেমন থাকে তেমনই। যদিও সে বিভিন্ন রূপ ধারণ করতে পারে কিন্তু তার প্রকৃত চেহারা খুবই বিশ্রী। তার একটি ক্ষুদ্র লেজ আছে যার দৈর্ঘ্য চার থেকে ছয় সেন্টিমিটার বা তারও কম।

ইসা দাউদ : এইরকম লেজ কি সকল জীনদেরই থাকে নাকি শুধু ইবলিশ (devil) ও তার বংশধর (demon) দের মধ্যেই শুধু এই শুধু লেজ দেখা যায়?

জীন: সৃষ্টিকর্তা আল্লাহকে ধন্যবাদ। সাধারণ জীনদের মধ্যে এই ধরণের লেজ থাকে না। শুধু ইবলিশ তার সন্তান – সন্ততি ও তার বংশধরদের মাঝে থাকে। তারা হল বিশেষ ধরণের সৃষ্টি । কিন্তু সাধারণ জীনদের মধ্যে এই লেজ থাকে না যেমনটি তুমি ধারণা করেছ। আর এই লেজ বিড়াল বা অন্যান্য পশুদের মত নয় যেমনটি মানুষ মনে করতে পারে।

ইসা দাউদ: তার উচ্চতা কিরুপ? একজন মানুষের তুলনায় সে কি বেশ লম্বা নাকি মাঝারি?

জীন: ইবলিশের উচ্চতা তুলনায় প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের একটি হাতের বাহুর সমান। ১৪০ থেকে ১৬০ সেন্টিমিটার। কিন্তু সে নিজেকে আরও লম্বা ও বড় আকারে রূপান্তরিত করতে পারে। সর্বোচ্চ ১০মিটার পর্যন্ত ।

ইসা দাউদ : তার কি কোন বাড়ি বা প্রাসাদ আছে?

জীন: তার প্রাসাদটি ব্যপক শক্তি সম্পন্ন।লক্ষ লক্ষ ইবলিশের অনুগত দাসী, প্রাহারাদার ও লক্ষ লক্ষ ইবলিশী জীনদের বংশধর দ্বারা তা পরিবেষ্টিত।তার এছাড়া আরও বিভিন্ন প্রাসাদ আছে। সবগুলো প্রাসাদগুলোর কেন্দ্রীয় শাসনব্যবস্থাগুলো একইরকম এবং খুবই শক্তিশালী ।

ইসা দাউদ : তার একটি সিংহাসন আছে তাই নয় কি?

জীন : হুম আছে। সে কিছুটা আশ্চর্য হয়ে উত্তর দিল।

ইসা দাউদ: সিংহাসনটি পানির উপর। প্রকৃতপক্ষে সমুদ্রের উপর। সত্যি নয় কি?
মুসলিম জীনটি বিস্মিত হতে লাগল এবং ভয় পেতে শুরু করল।
ভাই তুমি একজন মুসলিম জীন । মুসলিমরা একমাত্র সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় পায় না। যে আল্লাহ্‌র কথা মত মেনে চলে, শয়তান তাকে কোন ক্ষতি করতে পারে না। কানযুর(জীনের নাম) ! আমি এমনটি মনে করি।

জীন : হুম, আমি তেমনটাই মনে করি। আল্লাহকে ধন্যবাদ যে আমি চার মাসেই কুরআন হেফজ করেছি।

ইসা দাউদ: যদি তাই হয় তুমি কেন তাহলে শয়তানকে ভয় পাবে। আল্লাহর নিরাপত্তায় তুমি তাদের চাইতেও বেশি শক্তিশালী হবে।

জীন : ঠিক ঠিক। এটাই সত্য। আমাকে এরকম জ্ঞান শিক্ষা দেওয়ার জন্য আল্লাহ তোমাকে উত্তম জাযাহ দান করুক। আমি এখন আরও সুদৃঢ় এবং আত্মবিশ্বাসী।

চলবে,

মিশরের বিখ্যাত ইসলামী গবেষক ইসা দাউদের ১৮০ পৃষ্ঠা বইয়ের সারসংক্ষেপ ।

This Post Has 0 Comments

  1. hassan

    jajakallah

Leave a Reply