You are currently viewing মালহামা অর্থাৎ মহাযুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ ৩ টি ধাপ-উদ্দেশ্য ডেথ পপুলেশন বাস্তবায়ন

মালহামা অর্থাৎ মহাযুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ ৩ টি ধাপ-উদ্দেশ্য ডেথ পপুলেশন বাস্তবায়ন

মালহামা অর্থাৎ মহাযুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ ৩ টি ধাপ-উদ্দেশ্য ডেথ পপুলেশন বাস্তবায়ন!! এবং যার মাস্টারমাইন্ড হবে দাজ্জাল।

প্রিয় ভাই ও বোনেরা! আজকে আমি আপনাদের সামনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো!!কথা গুলো মনোযোগ দিয়ে শুনা আপনাদের জন্য অত্যন্ত জরুরী।এবং আপনি নিজেকে বাঁচাতে কথাগুলো শুনতে হবে!!

এ পৃথিবীতে গুপ্তঘাতকরা যতগুলো ষড়যন্ত্র করেছে তার মধ্যে সবচেয়ে বড় এবং ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্র গুলোর একটি হচ্ছে ডে/থ পপুলেশন।যদি আপনি এসব বিষয়ে পূর্বে কোন ধারনা না থাকে তাহলে কথা গুলো আপনার কাছে আজব মনে হবে, তবে কথাগুলো সত্য।

একটা বিশেষ গোষ্ঠী মনে করে জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে! এবং সৌন্দর্য হারাচ্ছে পৃথিবি। এ জন্য তারা অধিক পরিমাণ জনসংখ্যাকে দায়ী করে!!!তাই তারা গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর কথা বলে মানুষ নিধনের ষড়যন্ত্রে নেমেছে তার নাম ডে/থ পপুলেশন।

আসলে তারা জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে পরিবেশ ভারসাম্য হারাচ্ছে বলে যতই বলুক না কেন।মুলত এরা পর্দার আড়ালের এক ব্যক্তির হুকুম বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছে!! সে হচ্ছে দা*জ্জা*ল। দা*জ্জা*ল আত্মপ্রকাশ করার আগে তারা তার জন্য মাঠ তৈরি করার কাজে ব্যস্ত।মূলত মানুষ কমিয়ে ফেললে সে খুব সহজে পুরো বিশ্ব নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে এটাই হচ্ছে মূল থিওরি।

আর এ জন্য তারা অন্যতম তিনটা প্ল্যান করে রাখছে।

১. Biological war অর্থাৎ জীবানু যুদ্ধ

২. Trade war/বাণিজ্য যুদ্ধ/দুর্ভিক্ষ

৩. Nuclear attack/পরমাণু যুদ্ধ/

১.Biological war অর্থাৎ জীবানু যুদ্ধ

বলা হচ্ছে শেষ জামানায় মানুষের তৈরি একটা ভাইরাস চড়িয়ে পড়বে!এবং এতে অনেক মানুষ সংক্রমিত হয়ে মারা যাবে।হতাশার বিষয় এতে তারা মোটামুটি সফল!!সামনে বুঝতে পারবেন।

হলিউডে মহামারী কে কেন্দ্র করে একটা সিনেমা তৈরি করা হয়েছিল আজ থেকে ৭/৮ বছর আগে!! অবাক করা বিষয় হচ্ছে ওই সিনেমায় দেখানো দৃশ্যগুলোর সাথে একটি মহামারীর সম্পূর্ণ মিল পাওয়া গেছে!!আমি এখানে সিদ্ধান্ত দিব না সেটি কোন মহামারী!আপনার বিবেক দিয়ে আপনাকে বুঝতে হবে!!সিনেমাটি যারা দেখেন নাই তারা কমেন্ট করতে পারেন!!আমি আপনাদের লিংক দিয়ে দিব কারন সিনেমাটি আমি তৈরি করিনি!এটা একটা হলিউড সিনেমা

হলিউডের এ সিনেমা ছাড়াও অসংখ্য হিন্ডস রয়েছে কিন্তু আমি এ মুহূর্তে আপনাদের তা বলতে পারতেছিনা!!এখানে মূল বিষয় হচ্ছে মহামারী ওয়েব দিয়ে নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডারের রমরমা যাত্রা শুরু হবে!!এবং মানুষের শরীরে একটা জীবাণু ঢুকিয়ে দেয়া হবে !! এর কারণে মানুষের বডি ইমিউনিটি লস হবে!!মানুষ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ডিসেস দ্বারা মৃত্যুর মুখে পড়বে!!

বলা যায় প্রথম পদক্ষেপ তারা সফল!দ্বিতীয় পদক্ষেপ সফলতার দ্বারপ্রান্তে।

এবার আসুন করোনাভাইরাস নিয়ে কয়েকটি কথা বলি।

২০১৫ সালেই রিচার্ড রথশিল্ড নামের একজন বিজ্ঞানী কো*ভিড Testing kit-এর পেটেন্ট নিয়ে রাখেন। চুপিসারে চুক্তি স্বাক্ষর হয় পৃথিবীর অন্যতম ধনকুবের বিল গেটস-এর সঙ্গে। ২০১৭ ও ২০১৮ এই দুই বছরে ১০ কোটি টেস্ট কিট উৎপাদন করা হয় এবং বিল গেটস-এর প্রতিষ্ঠান তা সংরক্ষণের দায়িত্ব নেয়। মানে তিন বছর আগেই COVID-19-এর রূপরেখা চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছিল। শুধু তাই নয়, কোন দেশে কত রপ্তানি করা হবে, তার ভাগ-বাঁটোয়ারাও প্রস্তুত ছিল। সে তথ্য মিলেছে বিল গেটসের সংগঠন World Integrated Trade Solution (WITS) থেকে!

২০২০ সালের ৫ সেপ্টেম্বর সামাজিক গণমাধ্যমে এই খবর ভাইরাল হয়ে যেতেই WITS পরদিন (৬ সেপ্টেম্বর) “CO*VID-19 Test-kit” নাম বদলে “Medical Test-kit” নামকরণ করে। অথচ দু’বছর আগেই আমেরিকা, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও চীনে CO*VID-19-এর কোটি কোটি Test-kit সরবরাহ করা হয়ে গেছে- যখন কি না সংক্রমণের নাম-গন্ধও ছিল না। খেলাটা দারুণ না?

২০১৭ সালে এক বিজ্ঞান আলোচনায় বিল গেটস-এর পক্ষ থেকে অ্যান্থনি ফৌসি অসম্ভব দৃঢ়তার সঙ্গে অদ্ভুত এক ঘোষণা দেন। তিনি বলেন- “ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৯ সালে এক বিস্ময়কর জৈব মহা/মারীর সম্মুখীন হবেন- যার সমাধান আমরা তৈরি রেখেছি”! কিভাবে পারলেন ওই বিজ্ঞানী আগাম এতো নিখুঁত ঘোষণা দিতে? আর কিছু বুঝিয়ে বলার প্রয়োজন আছে কি?

২০১৮ সালে বিল গেটস বলেন- “আ গ্লোবাল প্যান/ডেমিক ইজ অন ইট’স ওয়ে, দ্যাট কুড্ ওয়াইপ আউট থার্টি মিলিয়ন পিপল … ইট উড্ কনটিনিউড টিল নেক্সট ডিকেড”। তার এক বছর বাদে ২০১৯ সালের অক্টোবরে পৃথিবীর এক নম্বর ভ্যা/কসিন ডিলার গেটস নিউ ইয়র্কে দু’দিনের ব্যবসায়িক বৈঠক ডাকেন। ওই বৈঠকের দ্বিতীয় দিনের আলোচ্যসূচি ছিল “করো/না ভাই/রাস প্যান/ডেমিক এক্সারসাইজ”। এই বিজনেস মিটিং-এর শিরোনাম ছিল “ইভেন্ট ২০১”। সেখানে তিনি মার্কেটিয়ারদের উদ্দেশ্যে বললেন “উই নিড টু প্রিপেয়ার ফর দ্য ইভেন্ট”। জ্বি, হ্যাঁ। এটা হচ্ছে সেই ইভেন্ট… মানে খেলা; আমি আর আপনি হলাম সেই খেলার উপকরণ!

২০১৫ সালে অ্যান্থনি ফৌসি ৩০ কোটি টাকা আগাম অনুপ্রেরণামূলক ভাতা দিয়েছিলেন সেইসব বিজ্ঞানীদের- যারা বলেছিল এমন ভাই/রাস তৈরি করা সম্ভব এবং এর জন্য পৃথিবীর সেরা ও যোগ্য গবেষণা ক্ষেত্র হচ্ছে উহান। কেননা উহানে ইতালির চাইতেও অধিকতর ঘনত্বে বৃদ্ধমানুষদের বসবাস- যাঁদের জন্য সরকারকে প্রতিশ্রুত মাসিক ভাতা গুনতে হয় ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৮০,০০০ কোটি টাকা। ভাই/রাস পরীক্ষা করার উপযুক্ত পরিবেশ হিসেবে এর চাইতে ভালো জায়গা গোটা পৃথিবীতে আর কোনটা হতে পারত?

আরো কিছু সন্দেহজনক তথ্য লিখেছেন রবিন ডি রুইট্যর তাঁর “করো/না ক্রাইসিস” বইতে। ভাবুন তো একবার- ২০০৮ সালে বই লিখতে গিয়ে উনি আগাম লক/ডাউন প্যান্ডে/মিকের কথা লিখছেন। ২০১২ সালে গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেখানো হচ্ছে প্যান্ডে/মিকের ওপর নাটক- যেখানে নার্সেরা মা/স্ক পরিহিত অবস্থায় আক্রান্ত রোগীর শুশ্রুষার অভিনয় করছেন।

সাংবাদিক হ্যারি ভক্স ২০১৪ সালে তাঁর প্রতিবেদনে লেখেন- “এক ভয়ঙ্কর রাসায়ানিক যু/দ্ধের প্রস্তুতি চলছে, যা হয়তো পৃথিবীর ধ্বংসের শুরু”।

প্রিয় ভাই ও বোনেরা করোনাভাইরাস কি সেই মহামারী এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিচ্ছি না!হতে পারে আবার না ও হতে পারে!! তবে এখন বা পরে এমন একটা ক্রাইসিস তৈরি হবে!!

 

২. Trade war/বাণিজ্য যুদ্ধ/দুর্ভিক্ষ

ভাইরাসের সংক্রমণ কারণে!!বিশ্ব অর্থনীতিতে একটা বিশাল ক্রাইসিস তৈরি হয়ে থাকবে!!লকডাউন বা নিরাপত্তা বজায় দূরে রাখা যাই বলুন!এর প্রবাব বড় বড় আমদানি রপ্তানি করা দেশগুলো আমদানি রপ্তানি বন্ধ হয়ে যাবে!! এবং এর বিশাল একটা প্রভাব পড়বে উৎপাদন ক্ষমতা হীন রাষ্ট্র এবং লো লেভেল কান্ট্রি গুলোর উপর ! এবং মোমহামারি ধকল কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই!! ডেথ পপুলেশন ষড়যন্ত্রকারীরা উৎপাদন ক্ষমতাসম্পুন্ন সাম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে যুদ্ধ বাদিয়ে দিতে চাইবে!! অলরেডি রাশিয়া এবং ইউক্রেন যুদ্ধের মাধ্যমে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন!! এবং এই দুই রাষ্ট্রের যুদ্ধের কারণে বিশ্ববাজারে খাদ্য এবং তেলের নজির বিহিব সংকট দেখা দিয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না!

মজার বিষয় হচ্ছে রাশিয়া ও ইউক্রেন পৃথিবীর ৭০ শতাংশ সূর্যমুখী তেল উৎপাদন করে। আর শুধু ইউক্রেন পৃথিবীর 30% গম পৃথিবীতে রপ্তানি করে থাকে!!আর এ যুদ্ধের কারণে সকল আমদানি-রপ্তানি বন্ধ হয়ে আছে! এর প্রভাবে সারা বিশ্বে খাদ্য ঘাটতি দেখা দিয়েছে তা আপনার মিডিয়াতে দেখছেন!!উদ্বেগজনক বিষয় হচ্ছে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞগণ বলতেছেন এ যুদ্ধ খুব সহজেই বন্ধ হবে না!! এটা থেকে স্পষ্ট যে আরও কয়েক বছর যদি এ যুদ্ধ চলমান থাকে তাহলে বিশ্বে একটা কৃত্রিম দুর্ভিক্ষ তৈরি হয়ে যেতে পারে।আর উনার তা-ই চায়!! আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন।

৩. Nuclear attack/পরমাণু যুদ্ধ/

এ ষড়যন্ত্রের সর্বশেষ ধাপ হচ্ছে নিকলীর অ্যাটাক বা পারমাণবিক যুদ্ধ!!প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে গুপ্তঘাতকরা সাথে আরো একটি বিশ্ব যুদ্ধ লাগিয়ে দিতে! বাইবেলের বর্ণনা অনুযায়ী এর পরেই তাদের প্রতিশ্রুতি প্রভু পৃথিবীতে আগমন করবে!!

আর এ জন্য তারা আমেরিকার উপর সওয়ার হয়ে সে কাজ আঞ্জাম দিচ্ছে!এক্ষেত্রে আমেরিকা বলির ফাটা হচ্ছে।এ বিষয় বিস্তারিত অন্য কোনো পরে কথা বলব!প্রথম ও দ্বিতীয় ষড়যন্ত্র থেকে স্পষ্ট বুঝা যায়।বিশ্বে খুব বড় বড় দকল পার করার পর!!সমগ্র পৃথিবীতে ছোট-বড় সব রাষ্ট্রে একটা অর্থনৈতিক মাসাকার আগে চলে আসবে । আর এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে ,সাম্রাজ্যবাদী হওয়ার প্রতিযোগিতায় গুপ্তঘাতকরা রাশিয়া-আমেরিকা চায়নার মতো বড়-বড় রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে নিউক্লিয়ার অ্যাটাক অর্থাৎ পারমাণবিক যুদ্ধ লাগিয়ে দিবে!!আর একবার যদি পারমাণবিক যুদ্ধ লেগে যায় তার পরের ইতিহাস সবার জানা

আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন।

আমরা আপাতত মালহামার প্রথম ধাপ পার করেছি। ২য় ধাপের মধ্যে আছি।রাসুল (সঃ) এর হাদিসে উল্লেখিত দুখান অর্থাৎ ধুয়া Nuclear attack এর ধোঁয়া দেখতে পাবেন হয়তো খুব শীঘ্রই ইন শা আল্লাহ। আল্লাহ তায়ালা-ই ভাল জানেন।

ভ্যা/কসিনঃ ডে/থ পপুলেশন

দুর্ভিক্ষঃ ডে/থ পপুলেশন

নিউক্লিয়ার ওয়ারঃ ডে/থ পপুলেশন

কি বুঝলেন? আলচনা করা যায়?

  1. সাইদুল ইসলাম সজীব
    ০১/০৮/২০২২

Leave a Reply