You are currently viewing ওদাল চক্র– পর্বঃ০২

ওদাল চক্র– পর্বঃ০২

ইফ্রিতের_পরিচয়
আগেই বলা হয়েছে ইফ্রিত জ্বীনজাতির মধ্যে সবচাইতে ভয়ঙ্কর ও বিপদজনক । তাদের কখনো দেখা যায় না, তবে তাদের আওয়াজ শোনা যায়, তাদের অস্তিত্ব অনুভব করা যায় । এরা মানব নারীর সঙ্গে যৌনসম্পর্ক স্থাপন করতে পারে এবং এতে করে সেই মানবনারী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে থাকে ।

সাধারণ মানুষ নয় মাসের মাথায় জন্মগ্রহণ করলেও ইফ্রিত এর সন্তান জন্ম নেয় এক মাসের মাথায় । তার ঔরসেই মানবীর গর্ভে ২৯ দিনে বেড়ে উঠে ভ্রুণ । যে সন্তান জন্মগ্রহণ করে সে জন্ম নেয় “Naval Cord” ছাড়াই, অর্থাৎ সে এই একমাস মায়ের গর্ভে বড় হয়েছে ঠিকি কিন্তু মায়ের শরীর থেকে পুষ্টিলাভ করেনি, তাকে হৃষ্টপুষ্ট করে বড় করে তুলেছে খোদ শয়তান জ্বীন ইফ্রিত নিজে ।

এই সন্তান ভবিষ্যতে ইফ্রিতের হয়ে বংশবিস্তারের ধারা অব্যাহত রাখে এবং এভাবেই ইফ্রিতের অস্তিত্ব টিকে থাকে যুগের পর যুগ ।

সাতক্ষীরা অঞ্চলের ‘ওলাদচক্র’ ছিলো এই ইফ্রিত জ্বীনের উপাসক সংঘ এবং তাদের কাজ ছিলো এই জ্বীনের জন্য মেয়েদের কে ধরে আনা । জ্বীনদের সঙ্গম হয়ে গেলে তারপর একদিন বাচ্চার জন্ম হয়ে যাবার পর মেয়েটিকে মেরে ফেলা হতো ।

এভাবেই চলতে থাকতো প্রক্রিয়া । কিন্তু এই খবর চাপা থাকে না । মানুষের কাছে কোনভাবে পৌছে যায় এই ওলাদচক্রের খবর, আর “কেয়ামত আন্দোলন” নামে এক আন্দোলন শুরু হয় এই ওলাদচক্রের বিরুদ্ধে যার নেতৃত্ব দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রফেসর কাসিম আলী (Qasim Ali) । সবাই এই আন্দোলনকে সমর্থন দিলেও দিনে দিনে এই আন্দোলনের নিয়মকানুন চরমপন্থী হওয়ার দিকে ধাবিত হলে একটা সময়ে সরকার এদের ব্যান করে দেয় ।

প্রফেসর কাসেম আলি একটা বই লিখেছিলো, বইয়ের নাম “The Evil Child” বইয়ের মূল বিষয়বস্তুই ছিলো ইফ্রিত!

এই নিয়ে বলিউডের মুভি রয়েছে যার নাম হচ্ছে পরি। এমন মুভিতে সাতক্ষীরায় ঘটনাকেও দেখানো হয়েছে।

Leave a Reply