১৯৯০ সালে বাংলাদেশের সাতক্ষীরা অঞ্চল থেকে হওয়া এক খবর বাইরের বিশ্বে খুব হইচই ফেলে দিয়েছিলো, সেটা হল সাতক্ষীরা ও তার আশপাশের অঞ্চল থেকে হঠাৎ করেই বেশ কিছু নাবালিকা মেয়ে মানুষ গায়েব হয়ে যায় ।
কিছুতেই তাদের খোজ পাওয়া যায় না । “ওলাদচক্র (Oladhchakra)” নামে এক গ্রুপের এই ঘটনার পেছনে প্রত্যক্ষ হাত ছিলো বলেই জনশ্রুতি ঘটে । সবাই বলতে শুরু করে এই “ওলাদচক্র”ই মেয়েদের হঠাৎ করে হারিয়ে যাওয়ার পেছনে দায়ী ।
কে/কি এই ওলাদচক্র?
স্যাটানিজমের (Satanism) নাম আমরা সবাই শুনেছি । সৃষ্টিকর্তা হিসেবে শয়তানকে বিশ্বাস করা ও তার পূজা করাই এক কথায় স্যাটানিজম । এটা এমন একটা স্বতন্ত্র্য ধর্ম যার চর্চা করা সভ্য সমাজে পুরোপুরি নিষিদ্ধ । এর চর্চা করতে হয় গোপনে এবং যুগে যুগে বিভিন্ন গ্রুপ এই স্যাটানিজমের চর্চা করে এসছে । “ওলাদচক্র” তেমনি একটি গ্রুপ ।
ওলাদচক্র মেয়েদের কেন অপহরণ করা শুরু করলো?
এর কারণ হচ্ছে জ্বীনজাতির মধ্যে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর জাত “ইফ্রিত” (Ifrit) এর বংশবিস্তারের উদ্দেশ্য । ইফ্রিতের অস্তিত্বের কথা ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী পরীক্ষিত ।
*ইসলামে ইফ্রিতের অস্তিত্ত্বের কথা জানা যায় বুখারী শরীফ থেকে। সেখানে বর্নিত আছে মহানবী (সাঃ) কে এক ইফ্রিত নামাজে বাধা দিয়েছিল, এজন্য মহানবী (সাঃ) ইফ্রিত কে বেধে রাখতে চেয়েছিলেন যেন সকালে সবাই ইফ্রিতকে দেখতে পারে কিন্তু হঠাৎ করে তার মনে পড়ে , হযরত সোলায়মান (আঃ) ‘ইফ্রিত’-এর সঙ্গে কথা বলছিলেন (সূরা নাম্ল ২৭:১৫-৪৪),
এ কথা মনে পরার সাথে সাথে তাকে মুক্ত করে দেন।
(সংক্ষিপ্ত)
লিখব আগামী পর্বে সঙ্গে থাকুন।