You are currently viewing লাল গাভি ও দাজ্জাল রহস্য। পর্বঃ০১

লাল গাভি ও দাজ্জাল রহস্য। পর্বঃ০১

মূলতো লাল গাভি ইহুদি ধর্মের বড় ধরনের একটি নির্দশন। যেটি তাদের ধর্মগ্রন্থে স্পষ্ট করে লেখা রয়েছে।এই লাল গাভিটি হলো ইহুদিদের প্রভু হাইকল ( দাজ্জাল) আসার পূর্ব নির্দশন। কেননা ইহুদিদের ধর্মগ্রন্থে আখবারুশ শারকে লিখা আছে ( তিনি প্রভু আগমন করিবের লাল গাভি প্রেরন করে এবং তিনি বিশ্বে ইয়াহুদার পুত্রদের জন্য শান্তি বয়ে আনবেন ” ১৩/৫/
এখন কথা হলো তাদের প্রভু আগমনের আগে সেই লালগাভিটি প্রেরন করবেন এবং তাদের কিতাবে এটিও লেখা রয়েছে যে গাভিটি এসে ইয়াহুদার পুত্রদের ( ইহুদিদের) হাম্বা হাম্বা করে ডাকতে থাকবে।তখন ইহুদার পুত্ররা সেই লাল গাভিটিকে জবাই করে তার রক্ত দিয়ে হাত পরিস্কার করে ট্রাম্পল অফ সেলমন তৈরি করার কাজ শুরু করবে অর্থাৎ ( তাদের প্রভুর বসার স্হান তৈরি করা আরম্ভ করবে। যেখানে তাদের সেই প্রভু এসে বসবে তাদের সাথে সাক্ষাত করবে।

দীর্ঘ ২০০০ বছরে যেহেতু তাদের কাছে বাইতুল মাকদিস (জেরুজালেম) এর শাসন ছিল না তাই তারা এই গাভী খোজা গুরুত্ব মনে করে নাই, তবে যখন তারা ইসরাইল নামক দেশ তৈরি করে তারপর থেকে শুরু হয়ে এই গাভী খুঁজার অভিযান। হাইকল নির্মাণ এখন তাদের হাতে কিন্ত গাভী না পাওয়ায় তারা এখনো কাজ শুরু করেনি তাদের বিশ্বাস— “হাইকলের জমি আমাদের হাতে আসা মাত্রই লাল গাভীকে আদেশ করবেন, সে হাম্বা ধ্বনিতে মুখর হয়ে উঠবে তারপর আমরা শুরু করবো হাইকল নির্মাণ। বনী ইসরাইলের নবীগন এই ভবিষ্যৎবাণী করে গেছেন”– যায়োনিস্ট রাবাই বাক কোক। (আখবারুশ- শারক ১৩/০৫/১৯৯৭)

লাল গাভী মূলত হাইকলেরই পূর্ব নিদর্শন। লালগাভী তখনই আত্মপ্রকাশ করবে, যখন হাইকল নির্মাণ নিশ্চিত হয়ে যাবে। ইয়াহুদীরা অনেক দিন যাবত হাইকল না থাকায় কোন পুজা করতে পারছে না তাই তারা দিন কে দিন নাপাক হচ্ছে, তাই এখন কোন পবিত্র ইয়াহুদী নেই ফলে কেউ এই নাপাক হাতে হাইকল বানাতেও পারবে না যদি না লাল গাভী জবাই করে রক্ত দিয়ে তারা নিজেদেরকে পবিত্র করে তারা সেই ট্রাম্পল বানানোর কাজ শুরু করবে।

আমি জানি হয়তো আপনারা আমার এরকম পোষ্ট দেখে আশ্চর্য হোন। কেননা আজকে সমাজের অধিকাংশ মানুষ দাজ্জালের ফেতনা সম্পর্কে অজ্ঞ।

রাসূল সা: বলেছেন: দাজ্জাল মানুষের কাছে ঠিক ঐ মুহুর্তে আসবে যে মুহুর্তে মানুষ দাজ্জাল সম্পর্কে একেবারে অজ্ঞ থাকবে। দাজ্জালের ফেতনা সম্পর্কে মানুষ তখন জানবেনা। মসজিদের মিম্বরে দাজ্জাল সম্পর্কে আলোচনা বন্ধ হয়ে যাবে।
এজন্য কত যে সুক্ষ বিষয় এগুলি যা হয়তো আপনারা বুঝতেই পারতেছেন। কেননা দাজ্জালের ফেতনা হবে অতিসুক্ষ যা মানুষের নজরে পড়বেনা বিজ্ঞ বিজ্ঞ লোকেরা এসব ব্যাপারে থাকবে একেবারে বেখবর। কিন্তু আল্লাহ তার কিছু বান্দাদের ভেতরে এগুলির রহস্য উন্মোচন করে দিবেন। ইনশাআল্লাহ

যাই হোক আসুন মুল কথায় আসি_
আপনি হয়তো লাল গাভি কেউ এই প্রথম জানেছেন বা কেউ আগে থেকেই জানেন। কেননা এসব বিষয় নিয়ে কেউ সাধারনত লিখেনা। এখন এগুলো কতজন আমাদের সমাজের লোকেরা জানে? অথচ দেখুন আমরা মুসলমানরা কত গাফেল বেখবর কিন্তু ইহুদি খ্রীষ্টাননা পুরাপুরি তৈরি করে নিচ্ছে তাদের কামান্ড এবং সৈন্যবাহিনীকে। আর আমরা! হায়! মুসলমানের সন্তানেরাতো ক্রিকেট খেলার খবর রাখতে রাখতেই সময় পায় না! আর দাজ্জাল!

তো বলছিলাম যে ইহুদিদের বিভিন্ন কিতাবে এই লালগাভির কথা বার বার উল্লেখ্য রয়েছে। এবং তারা বিশ্বাস করে তাদের প্রভু ( হায়কল বা জোসেস) ততক্ষননা পৃথিবীতে আগমন করবে যতক্ষননা তারা টাম্পল অফ সুলেমন নির্মান না করবে। টাম্পল অফ সুলেমন তৈরি করলেই তারা তাদের প্রভুকে আহবান করবে এবং তাদের প্রভু সেই ট্রাম্পল অফ সুলেমনে আগমন করে অবস্হান করবে। কিন্তু তার পূর্ব শর্ত হলো সেই ট্রেম্পল বানাতে হলে পবিত্র হতে হবে আর সেই পবিত্র হবার জন্য সেই লাল গাভিটি লাগবে। যে লালগাভিটির কথা তাওরাতে (বিকৃত) বলা হয়েছে।

এবার আসুন একটু অন্য দিকে যাই।
আল্লাহর রাসুল সা : হাদিসে বর্ননা করেছেন দাজ্জালকে যে জায়গায় হযরত ঈসা আ: হত্যা করবে সে জায়গাটি হবে লুদ নামক ফটকের কাছে। অর্থাৎ লুদ নামক একটি ফটক আছে আর সে সেখানে দৌড়ে গিয়ে লুকাতে চেষ্টা করবে। বা ফটকে থেকে পলায়ন করতে চাইবে সেখানেই হযরত ঈসা: দাজ্জালকে সেখানে হত্যা করবে। এখন আসুন ট্রাম্পল অফ সুলেমন কোন জায়গায় অবস্হিত হবার কথা! ইহুদিরা তাদের সেই প্রতিশ্রুত (জোসেস) এর জন্য ট্রেম্পল অফ সুলেমন নির্মানের যে জায়গাটি তারা ইন্টারনেট প্রকাশ করেছে সেটির অবস্হান হলো ঈসরাইলের প্রধান বিমান বন্দরের নিকটবর্তি জায়গা লুদ নামক স্হানে।

অর্থাত আল্লাহর রাসুল সা: এর ভবিষৎবানীর সেই লুদেই এই টাম্পল অফ সুলেমন নির্মানের কাজ শুরু করবে ইহুদিরা।কি? আপনার কিছু বুঝতে পেরেছেন?

চলবে,,

লেখকঃসাইদুল ইসলাম (আবরার)

লেখক, গবেষক (শেষ জামানা)

Leave a Reply