You are currently viewing স্ত্রীকে মহরানা মাফ করতে বলা, নিকৃষ্ট কাজ।

স্ত্রীকে মহরানা মাফ করতে বলা, নিকৃষ্ট কাজ।

স্ত্রীকে মহরানা মাফ করে দেয়ার কথা বলা স্বামীর আত্মমর্যাদার পরিপন্থী। এছাড়া লাঞ্ছনা-গঞ্জনাতো আছেই। তবে স্ত্রী যদি সন্তুষ্টচিত্তে নিজের পক্ষ থেকে তা মাফ করে দেয়, তা হলে মাফ হয়ে যাবে। কিন্তু খুশি মনে মাফ করে দিলো কি-না এটা বুঝা কঠিন ব্যাপার।

হযরত থানবী রহ. বলেছেন-মহরের টাকা/সম্পদ তাদের হাতে দেয়ার পর যদি তারা সবটা বা কিয়দংশ স্বামীকে ফেরত দেয়, তাহলে আর কোন সন্দেহ থাকেনা, এটাই উত্তম পন্থা। খুশি মনে মাফ করার পরোয়া না করে যদি স্ত্রী থেকে মৌখিক মাফের অবৈধ পন্থা অবলম্বন করে অথবা এমন কোন বিষয়ের উপর জোর যবরদস্তি করে, যার দ্বারা সে মাফ করতে বাধ্য হয়, তাহলে খুব ভালভাবে স্মরণ রেখ! এ ধরনের মাফ আল্লাহ তা‘আলার নিকট কখনও গ্রহণযোগ্য হবেনা। (ইসলাহে ইনকিলাবে উম্মত ২:১৩৪)

শরীয়তের দৃষ্টিতে এটা এতটাই অপরিহার্য যে, মোহর ছাড়া বিয়ে হয় না। আকদের সময় উল্লেখ না করলেও কিংবা না দেওয়ার শর্ত করলেও মোহর বাতিল হয় না। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ বলেন-

অতএব তাদের নিকট থেকে তোমরা যে আনন্দ উপভোগ করেছ (সে কারণে) তাদের ধার্যকৃত মোহর তাদেরকে প্রদান করবে। আর মোহর নির্ধারিত থাকার পরও কোনো বিষয়ে পরস্পর সম্মত হলে তাতে তোমাদের কোনো অপরাধ হবে না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়। (সূরা নিসা : ২৪)

অন্য আয়াতে বলেন

এবং তোমরা নারীদেরকে দাও তাদের মোহর খুশিমনে। এরপর তারা যদি স্বেচ্ছায় স্বাগ্রহে ছেড়ে দেয় কিছু অংশ তোমাদের জন্য তাহলে তা স্বচ্ছন্দে ভোগ কর।(সূরা নিসা : ৪)

উক্ত আয়াত গুলো থেকে যে বিষয় গুলো বুঝা যায়।

মোহর আদায় করা ফরয। কেননা স্বয়ং আল্লাহ তাআলা মোহর আদায়ের আদেশ করেছেন। সুতরাং স্বামীর কর্তব্য যথাযথভাবে মোহর পরিশোধ করা।

Leave a Reply