You are currently viewing শা’মে’র পবিত্র ভূমিতে ধৈর্যশীল মু’জা’হি’দি’নের রক্তপ্রদান

শা’মে’র পবিত্র ভূমিতে ধৈর্যশীল মু’জা’হি’দি’নের রক্তপ্রদান

শা’মে’র পবিত্র ভূমিতে ধৈর্যশীল মু’জা’হি’দি’নের রক্তপ্রদান ছিলো সেখানকার জি’হা’দে’র প্রধান জ্বালানি শক্তি।
উদ্দেশ্য ছিলো শা’মে’র পবিত্র ভূমিতে আল্লাহর শরিয়াহ ও বিচারব্যবস্থা কায়েম করা। মোটকথা আল্লাহর দীনকে গালিব করা।

এত রক্ত ও ত্যাগের মহিমায় আল্লাহ সুবহান শা’মে মু’জা’হি’দি’নকে ফাতাহপ্রদান করেছিলেন, দিয়েছিলেন একটুকরো ভূমি আর ক্ষমতা।

কাঙ্খিত খি’লা’ফা’হর জন্ম হলো ‘দা’ও’লা’হ নামে। মুমিনগণ খুশি হলেন। পৃথিবীর প্রান্তীয় ধনী-গরিব, দুর্বল-সবল মুমিনরা সেখানে ছুটে আসতে লাগলেন স্বপ্নের খি’লা’ফা’র ছায়ায়।

কিন্তু মুসলমানদের এই উত্থানে দীনের দুশমন মুরতাদ,মুনাফিক,কাফিরগোষ্ঠী বসে থাকবে কেন?
তারা অত্যন্ত চতুরতার সঙ্গে দা’ও’লা’র অস্থিমজ্জার একেবারে ভেতরে স্থান করে নেয়। স্বল্পসময়ের মাঝেই তারা ‘দা’ও’লা’হকে হাতের মুঠোয় নিতে সাক্ষম হয়। প্রভাবিত করতে থাকে নিজদের দিকে। ফলে ক্রমাগত ‘দা’ওলা’হকে তার আসল গন্তব্য থেকে সরিয়ে দেয়।

এতোদিনে দা’ও’লা’হ’র তথাকথিত সেই বাতাসী খ’লি’ফা আল’বাগ’দা’দিকে তাদের হাতের ক্রীড়নকে পরিণত করে ফেলে। এমনিতে যেহেতু লোকটা ছিলো জ্ঞানগরিমায় একেবারে অনাড়ি তাই তাকে নিয়ে ওরা মনের খাহেশে খেলতে থাকে। সে দা’ওলা’হকে বানিয়ে দেয় লেবাসে ‘জি’হা’দি’ কিন্তুরকর্মকাণ্ডে উগ্রপন্থা ও খা’রে’জি!

এবার শুরু হলো ‘দা’ওলা’র ভয়ঙ্কর পদক্ষেপের সূচনা..
খুঁজেখুঁজে শামের হক্বানি ওলামা-তলাবাদের গণহারে গ্রেফতার করা। কারারুদ্ধ করা। বিভিন্ন ছুতানাতা দিয়ে সম্মানিতদেরকে অপদস্থ করে করে শহিদ করা। নাউযুবিল্লাহ!

আহ! এ কেমন ‘খি’লা’ফা’তুল্লাহ”, যেখানে উম্মাহর হক্বানি উলামা এবং তাওহিদবাদী ভাইদের সঙ্গে এত নিষ্ঠুর আচরণ?


আহ! ই’মা’রা’র দিনমণিতে কা’বুলের ‘মাতার’ আজ রক্তাক্ত। আরেকটি হৃদয়বিদারক দৃশ্য।
শা’মে জন্মনেয়া সেই ‘বাতাসি খলিফা’র ফাত্তানগুলো ছড়িয়ে পড়ে ‘দাফ-গান’সহ গোটাপৃথিবীতে।
ভূমিহীন বাস্তুহারা এই ফাত্তানগুলো ফিতনার আগুন জ্বালাচ্ছে যেখানেই সুযোগ পাচ্ছে।
এবার বুঝাযাচ্ছে, প্রিয় তালিবভাইদেরকে বিরাট পরীক্ষা নিবে এরা। আল্লাহ, তালিবভাইদের সফল করুন, ফাত্তানগুলোর না-কাম করুন, আমিন।

এই ‘খারেজি’দের মূল চালিকাশক্তি কে বা কারা, কলকাঠি কে বা নাড়ছে, এটা বুঝার জন্য,
كفوا الآيادى عن بيعة البغداى
নামক বইয়ের ভূমিকার কিছু অংশের অনুবাদ তুলে ধরলাম।

প্রায় ২৫০ পৃষ্ঠা কলেবরের উক্ত বইয়ের লেখক হচ্ছেন আরবের প্রখ্যাত শায়খ আবু আব্দুর রহমান আলমুরদাবি হাফি. [ছদ্মনাম]।

উল্লেখ্য, তিনি ছিলেন ‘দা’ও’লা’হর’ শরিয়াহবোর্ডের নায়েবে মুফতি। দীর্ঘদিন যাবত ভেতর থেকে দা’ও’লা’র যাবতীয় ভ্রান্তিতা দেখে আসছিলেন। যেইমাত্র তিনি ‘দাওলা’হকে সংশোধনের পরামর্শ দিলেন, অমনি মাথামোটা দা’ও’লা’হ উনার মৃত্যুদণ্ড ফাতাওয়া দিয়ে মৃত্যুদণ্ডের পরওয়ানা জারি করে দেয়।
আল্লাহর সাহায্যে যেভাবেই হোক তিনি সেখান থেকে পালিয়ে চলে যান অদৃশ্যে।
যুক্ত হয়েযান একটি হক কাফিলাতে।
এরপর তিনি অজ্ঞাতাবস্থায়ই উম্মাহর কল্যাণে উক্ত বইটি লিখেন। হাফিজাহুল্লাহু!

Leave a Reply