You are currently viewing জুলুমবাজ দের আল্লাহ ঘৃণা করেন।

জুলুমবাজ দের আল্লাহ ঘৃণা করেন।

আপনি যদি কারো উপর জুলুম করে থাকেন তাহলে মনে করবেন আপনি নিজেই আপনার নিজের উপর জুলুম করেছেন। আপনি যদি কাউকে লান্চনা দিয়ে থাকেন তাহলে মনে করবেন আপনার নিজের উপর আপনার লান্চনা নির্ধারিত করেছেনন।

কারো উপর জুলুম করিওনা
কেননা মাজলুমের আহ শব্দ আল্লাহ সহ্য করেননা।

আল্লাহর রহমত, বরকত ও সাওয়াব অর্জনের সহজতম পথ আল্লাহর সৃষ্টির প্রতি, বিশেষত মানুষের প্রতি কল্যাণ ও উপকারের হাত বাড়িয়ে দেওয়া।

সকল জাগতিক প্রয়োজনে সাহায্য করা, সমাজের কিছু মানুষের মধ্যে পরস্পরে গোলমাল বা অশান্তি হলে শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা, অসুস্থকে দেখতে যাওয়া, সেবা করা, বিপদে পড়লে উদ্ধার করা, মাযলুম হলে সাহায্য করা, মৃত্যুবরণ করলে কাফন-দাফনে শরীক হওয়া ইত্যাদি সকল প্রকার মানব সেবামূলক কাজের জন্য অকল্পনীয় সাওয়াব ও মর্যাদার কথা অগণিত হাদীসে বর্ণিত হয়েছে।

রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: যতক্ষণ একজন মানুষ অন্য কোনো মানুষের কল্যাণে নিয়োজিত থাকবে ততক্ষণ আল্লাহ তার কল্যাণে রত থাকবেন। আল্লাহর নিকট সবচেয়ে প্রিয় বান্দা যে মানুষের সবচেয়ে বেশি উপকার করে। আল্লাহর নিকট সবচেয়ে প্রিয় নেক আমল কোনো মুসলিমের হৃদয়ে আনন্দ প্রবেশ করান, অথবা তার বিপদ, কষ্ট বা উৎকণ্ঠা দূর করা, অথবা তার ঋণ আদায় করে দেওয়া,

অথবা তার ক্ষুধা দূর করা। আমার কোনো ভাইয়ের কাজে তার সাথে একটু হেঁটে যাওয়া আমার নিকট মসজিদে একমাস ইতেকাফ করার চেয়েও বেশি প্রিয়। যে ব্যক্তি তার কোনো ভাইয়ের সাথে যেয়ে তার প্রয়োজন মিটিয়ে দেবে কিয়ামতের কঠিন দিনে যেদিন সকলের পা পিছলে যাবে সেদিন আল্লাহ তার পা সুদৃঢ় রাখবেন।

তথ্যসূত্র: [১] মুনযিরী, আত-তাগীব ৩/৩৪৬-৩৫১, মাজমাউয যাওয়াইদ ৮/১৯১, সহীহুল জামিয়িস সাগীব ১/৯৭।

আসুন সমাজে থাকা মানুষদের আমরা উপকারের হাত বাড়িয়ে দিই।জুলুম হতে বিরত থাকি।

Leave a Reply