You are currently viewing সত্যিই কি এলিয়েন? নাকি অন্য রহস্য।পর্বঃ০১

সত্যিই কি এলিয়েন? নাকি অন্য রহস্য।পর্বঃ০১


ছোট বেলায় যখন প্লে নার্সারী পড়তাম কার্টুন দেখতাম
সেখানে দেখা যেত যে অনেক গুলি এলিয়েন পার্কে ঘোড়া দৌড়াচ্ছে । অনেক এলিয়েন বাশিঁ বাজাচ্ছে, ফুটবল খেলছে। আমরা মনে করতাম যে এলিয়েন হয়তো একটা কার্টুন ছাড়া অন্য কিছু নয় ।

এভাবেই প্রাশ্চাত্য দাজ্জালী মিডিয়াগুলি আমাদেরকে ধোঁকায় ফেলে রাখছে। তারা বলছে এলিয়েন মহাকাশের একটা প্রাণী এটা মাঝে মাঝে পৃথিবী ভ্রমন করে। আবার বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় ও তারা এটি বলে প্রচার করে যে এলিয়েন একটা মহাকাশ প্রাণী! অথচ এরা গোপন করে রাখে যে তারা যদি ভ্রমনই করে তাহলে ভ্রমন করে কার কাছে আসে? কার সাথে দেখা করতে আসে।?

জোর করে জিওসেন্ট্রিক এস্ট্রোনমিকে বইপুস্তক থেকে বিদায় দিয়ে যাদুকর ও সূর্যপুজারীদের হেলিওসেন্ট্রিক প্যান্থিয়নকে মেইনস্ট্রিম এস্ট্রোনমিতে স্থান দেওয়া হয়, তখন থেকে এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল এর অস্তিত্ব নিয়ে মানুষকে কল্পনা করতে দেওয়া হয়। সেই সাথে আউটার স্পেসের মনগড়া তত্ত্বকেও স্থান দিয়ে এস্ট্রোনমি ও মেটাফিজিক্সকে নতুন করে সাজানো হয়। ইনফিনিট স্পেস আর অগণিত গ্রহ,গ্যালাক্সি,নিহারিকার কনসেপ্টটি প্রি সক্রেটিক প্যাগান যাদুকর-দার্শনিক এন্যাক্সিম্যান্ডারের প্লুরালিজমকে নতুন করে জাগিয়ে দেয়।

এরপরে শুরু হয় বহির্জগতের বুদ্ধিমান প্রানীদের নিয়ে ফ্যান্টাসি। অজস্র বই,গল্প,উপন্যাস,পত্রিকা ম্যাগাজিন এই প্লটের উপর লেখা হয়। পাঠকদের অধিকাংশই এসকল সায়েন্স ফিকশনকে উন্নত বুদ্ধিবৃত্তিক চিন্তা/কল্পনা মনে করে সমর্থন দিতে শুরু করে। টেলিভিশন ছড়িয়ে পড়বার পর ব্রেইনওয়াশিং এবং মাইন্ডকন্ট্রোল এর আওতায় আরো বেড়ে গেল। সেই নব্বইয়ের দশকের শেষ থেকে আজ পর্যন্ত ম্যাসনিক হলিউড; স্পেস আর এলিয়েন প্রোপাগান্ডা চালিয়ে যাচ্ছে। যতগুলো সায়েন্সফিকশন সিনেমা নির্মান করছে তার সবই আউটারস্পেস এর কন্সেপ্ট ভিত্তিক। আর স্পেস থাকা মানেই স্পেস ট্রাভেল,এলিয়েন থাকবে। এরপরে যে সিনেমা গুলো বের হতে শুরু করে তার অধিকাংশ হয় এলিয়েন ইনভ্যাশন নিয়ে। বহির্জগতের বুদ্ধিমান প্রানীরা উন্নত প্রযুক্তিসমেত পৃথিবীতে হামলা করেছে, সমস্ত দেশগুলো এক হয়ে প্রতিরোধ করছে ইত্যাদি, ইত্যাদি।

এখনকার ফিল্মগুলোতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে মেটাফিজিক্যাল ব্যপার গুলোয় এলিয়েন হস্তক্ষেপ দেখিয়ে। ওরা দেখাচ্ছে মানুষের অস্তিত্বটাই এলিয়েনদের দান। মানুষের ডিএনএ’তে এলিয়েন ডিএনএ মিশে আছে। ওরা আমাদের ইঞ্জিনিয়ার। প্রমিথিউজ,ট্রানসফরমার এই ম্যাসেজগুলোই দিচ্ছে। অন্যদিকে এসবে আছে সায়েন্টিফিক কমিউনিটির সমর্থন]।

মিডিয়ায় হেলিওসেন্ট্রিক এস্ট্রোনমি ও এলিয়েনের অস্তিত্বের প্রমোশন পাবার সাথে সাথে মানুষও Unidentified flying object(UFO) এবং Unidentified submerged object(USO) দেখা শুরু করে। মেক্সিকো আমেরিকায় বিষয়টা এমন স্থানে গিয়ে দাঁড়িয়েছে যে ওটা খুবই সাধারন বিষয়। এ বিষয়গুলোর সূত্রপাত খুজতে গিয়ে মেলে জগদ্বিখ্যাত যাদুকর এ্যালিস্টার ক্রোওলির ১৯১৮ সালে করা ‘অমলন্ত্র’ রিচুয়াল(amalantra working)। ক্রোওলি Lam নামের এক এলিয়েন এন্টিন্টির সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করত। তিব্বতীয় ল্যাম শব্দের অর্থ পথ অথবা পথদাতা। ল্যাম দেখতে অনেকটা গ্রে এলিয়েন যেমনি দেখতে, তেমনি। অধিকন্তু, ল্যাম হচ্ছে মূলচক্রের একটি মন্ত্রও(ধ্যানের ষড়চক্রের একদম নিন্মে অবস্থিত)। বলা হয় ক্রোওলির এই রিচুয়ালের উদ্দেশ্য ছিল এলিয়েন এন্টিটির জন্য ইন্টারডাইমেনশনাল পোর্টাল]

খুলে দেওয়া যাতে তারা ইচ্ছেমত আমাদের ডাইমেনশনে প্রবেশ করতে পারে। এরপরে ১৯৪৬ সালে আরেকটি বড় পরিসরের ম্যাজিক্যাল রিচুয়াল পালিত হয়। এর নাম দেওয়া হয় “Babalon Working”[২৬]। এতে এবার ক্রোওলির সাথে যোগ দেয় বর্তমান স্পেস এজেন্সি নাসা এবং সাইন্টোলজি কমিউনিটির ফোরফাদারগন। সেটাতেও সিরিমোনিয়াল এবং সেক্স ম্যাজিক্যাল রিচুয়াল পালিত হয় অমলন্ত্রের মত। সমস্ত অকাল্ট কমিউনিটির মধ্যে এ কথা প্রচলিত আছে যে এ রিচুয়াল দ্বারা আগের ডাইমেনশনাল গেইটওয়ে এক্সট্রাটেরিস্টরিয়াল এন্টিটির জন্য আরো প্রশস্ত করা হয়। এ ঘটনার পর দিয়ে সারা পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে ইউএফও সাইটিং শুরু হয় ব্যাপকহারে। এলিয়েনদের দ্বারা অপহরণ, এমনকি সেনাবাহিনীরাও আক্রান্ত হবার ডকুমেন্ট পাওয়া যাচ্ছিল।
মিডিয়া সবই ওদের। বেঞ্জামিন ফ্যাঙ্কলিন, জর্জ ওয়াশিংটনও এমনকি ম্যাসন। এরা এক চক্ষুবিশিষ্ট পিরামিডের নিচে লেখে “ইন গড উই স্ট্রাস্ট” যা প্রত্যেক ডলার বিলে আজও আছে। সবার একক লক্ষ্য, একচক্ষুবিশিষ্ট মহান নেতার হাতে এক সরকার বিশিষ্ট শাসন ব্যবস্থা।
.
এদিকে জেট প্রপালশান ল্যাবের প্রতিষ্ঠাতা তথা ফাদার অব স্পেস এজ জ্যাক পার্সন যিনি কিনা ব্যবিলন ওয়ার্কিংয়ে ক্রোওলির সাথে ছিলেন, তিনি স্বপ্নে এক মহান ব্যক্তিকে দেখেন; যিনি তাকে অনুপ্রাণিত করছিলেন তার উদ্ভাবনী চেতনাকে,যিনি তাকে উৎসাহ দিচ্ছিলেন অপবিজ্ঞান ও যাদুবিদ্যাকে মিলিয়ে এগিয়ে যাবার জন্য। এই মহান ব্যক্তির কথা তিনি তার লিখিত কিতাবেও উল্লেখ করেন। তিনি তাকে অনেক সাহায্য করেছেন। তার নাম উল্লেখ করেন “বেলেরিয়ন আর্মিলাস আল দাজ্জ্বাল”।
যেমনটা উইকিপিডিয়াতেও এসেছেঃ
“Parsons professed to embody an entity named Belarion Armillus Al Dajjal, the Antichrist “[উইকিপিডিয়া]
.
জ্যাক পার্সন যাদুচর্চা ও চ্যানেলিং এর মাত্রা এত বাড়িয়ে ছিলেন যে তার বাসাতেই কথিত এলিয়েনের উৎপাত শুরু হয়। এমনকি বাসাও ছাড়তে বাধ্য হয়। তিনিই সর্বপ্রথম রকেটসাইন্টিস্ট যিনি ‘দাজ্জাল নামের কারো অনুপ্রেরণা ও শিক্ষার দ্বারা রকেট আবিষ্কার করেন এবং কথিত মহাকাশ বিজয়ের পথ উন্মোচন করে ফাদার অব স্পেস এজ খেতাব অর্জন করেন। এরপরে চন্দ্রবিজয়ের ইতিহাস রচিত হয়,যদিও নাসার কর্মকর্তা ও বিজ্ঞানীরা বলেন তারা এখন পর্যন্ত আসমানের ভ্যান এ্যালেন বেল্ট(১২০০ মাইল) পার হন নি[৮]। আর চাদে যাবার প্রযুক্তিও হারিয়ে ফেলেছেন, ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে এখন আর নতুন করেও বানাতে পারছেন না কারন খুবই পেইনফুল প্রসেস। অনেক কঠিন![

চলবে “”

This Post Has 0 Comments

  1. Farhana

    Coluk

Leave a Reply