You are currently viewing স্মার্টফোনের আদলে নীরব এক ডাইনোসরের হাতছানি!!

স্মার্টফোনের আদলে নীরব এক ডাইনোসরের হাতছানি!!

প্রিয় ভাই ও বোনেরা। হৃদয়ের গভীর থেকে আপনাদের সামনে চরম এক বাস্তবতার কথা তুলে ধরতেছি। আমরা সবাই ফেতনার এক মহা বিপর্যয়ের সময় অতিবাহিত করছি। ডানে বায়ে সামনে পিছনে শুধু ফেতনার মহামারী। নিঃসন্দেহে আমি আপনি আমরা সবাই ফেতনার মহাসমুদ্রের তলানীতে আছি। এ সময়ের জেনারেশন দের মধ্যে আল্লাহর ওলি খোজা বড় বোকামি।আজ আমি আপনাদের সামনে এসময়ে পরমাণু অস্ত্রের মতো এক মহা বিপর্যয় নিয়ে আলোচনা করব।

সম্প্রতি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিচ্ছিলাম নিজ গ্র্রামে। আমরা তিনজন ছোটবেলা থেকেই একসাথে পড়াশুনা করেছি। আমাদের মধ্যে একজন ছিল সবচেয়ে ধার্মিক। গ্রামের সবাই তাকে এখনো তাকে আল্লাহর ওলির মত জানে। নামাজ পড়ে সেই ছোট বেলা থেকেই। আড্ডার ফাঁকে তার সদ্য কেনা স্মার্ট ফোনটি আমার আরেক বন্ধু হাতে নিয়ে দেখছে। হঠাৎ সে চিৎকার দিয়ে বলল সজীব দেখ। আমি দেখলাম আমার সেই ধার্মিক বন্ধুটির ফোনে পর্ণ ভিডিওতে ভরা। আমার কেন যেন মনে হয় এরকম লক্ষ লক্ষ নামাজী ও ইসলামী অনুশাসনের সাথে জড়িত হাজারো নেতা কর্মী ইচ্ছায় হোক আর অনিচ্ছায় হোক পর্ণগ্রাফিতে আসক্ত হয়ে পড়েছে।
যে ভাবে আসক্ত হয় : পর্ণগ্রাফি একটি যুদ্ধ। এ যুদ্ধ নিজের সাথে নিজের, বাতিলের সাথে ইসলামের। একটি দেশ জয় করার চেয়ে হাজারও কঠিন পর্ণগ্রাফি থেকে ফিরে আসা। আপনার মনের অজান্তেই আপনি হারিয়ে গেছেন নীল দুনিয়ায়

১. স্মার্ট ফোন : স্মার্ট ফোন কিনলেই স্মার্ট হওয়া যায় না। ফোনের মাধ্যমেই বর্তমানে মানুষ পর্ণগ্রাফিতে জড়িয়ে পড়ছে। খুব সহজেই মোবাইলের মাধ্যমে এসব ডাউনলোড করা যায়। সেদিন এক আঙ্কেল আমাকে হসপিটাল দেখতে এসে আমাকে কথার প্রসঙ্গে দুঃখ করে বলেছিল। হায়রে দুনিয়া আগে আমরা পিতামাতার কাছ থেকে ১০টাকা নিয়ে স্কুলে টিফিন করতাম আর এখনকার পোলাপান ১০টাকা দিয়ে এমবি (মেগা বাইট) কিনে। আপনার স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া সন্তানদের স্মার্ট ফোন কিনে দেওয়ার মানেই হলো পর্ণগ্রাফিতে রেজিস্ট্রেশন করা। কারণ আপনি তাকে নৈতিক ভাবে এতটা শক্ত করতে পারেননি যে, সে আল্লাহর ভয়ে সুন্দরী মেয়েদের নগ্ন শরীর দেখার সুযোগ থাকা সত্বেও তা থেকে বিরত থাকবে।
২. বিনোদন খবরঃ কিছু মানুষ আছে যারা পত্রিকার খেলার খবর পড়েন , কিছু মানুষ রাজনীতির খবর, কিছু ধর্মীয় আর কিছু মানুষ আছেন যারা বিনোদন পাতা ছাড়া পড়েন না। এ বছরের সেরা যৌন আবেদনময়ী নারী হলেন পুনম- এই খবরটি পড়ার পর আপনার ইচ্ছা হলো তার দেহ দেখার, ব্যস গুগল সার্চে গিয়ে নাম লিখলেন আর তার নগ্ন ছবি চলে এলো। আপনি ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছেন পর্ণগ্রাফির দিকে।এটাই এক বাস্তবতা।
৩. মুভিঃ টাইটানিক ছবির নাম শুনেছি ছোটকাল থেকেই। কিন্তু দেখিনি তখনও। বন্ধুরা বলল পৃথিবীর এমন একটি ঘটনার ছবি না দেখলে অনেক মিস করবি তাছাড়া শেখার আছে অনেক কিছু। হঠাৎ একদিন সুযোগ হলো ছবি দেখলাম। ছবির একটা জায়গায় দেখা গেল নায়ক, নায়িকার ছবি আঁকছে আর নায়িকা আস্তে আস্তে তার শরীরের সমস্ত পোশাক খুলে ফেলছে। একজন সুন্দরী নায়িকার নগ্ন দেহ দেখতে কার না ভাল লাগে। আমি বুঝলাম এই ছবির শিক্ষা কি? আমার ধারণা এই দৃশ্যটির জন্যই ছবি জনপ্রিয়তা আর অধিকাংশ মানুষ মুখে যাই বলুক এই দৃশ্যটি দেখার জন্যই তারা ছবি দেখে। এমনি ভাবে অনেক মুভি আছে যেখানে স্বল্প নগ্ন দৃশ্য দেখানো হয় এতে যখন একজন যুবকের জৈবিক চাহিদা তৈরি হয় তখন তা শতভাগ পুরণ করার জন্য পর্ণ মুভি দেখতে আকৃষ্ট হয়।


৪. ফেইসবুকঃ ফেইসবুককে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম বলা হলেও আমার মনে হয় এটাই সামাজিকতা নষ্ট করছে। আগে মানুষ মানুষের কাছে আসত কথা বলত ও আন্তরিকতার সাথে তা শুনত। আর এখন রুমে বসে শুধু মোবাইলে ফেইসবুক চালাতে থাকে। এই ফেইসবুকে মানুষ অনেক ভিডিও আপলোড করে শালীন অশালীন সবই আছে। একটা ভিডিও ছিল যে, সৌদি আরবের এক যুবরাজ নগ্ন নৃত্য দেখছে আর তার গায়ে টাকা ছিটিয়ে দিচ্ছে। এই ভিডিওটি ইসলামী মনমানসিকতার অনেক ভাই দেখেছেন এবং গল্প করেছেন সৌদির বাদশারা এত খারাপ এটা না দেখলে বুঝতাম না। এই ভাবে দেখতে দেখতে যে, তিনি এর গ্রাহক হয়ে গেছেন তা টেরই পাননি।


৫. ইউটিউবঃ আপনি ইউটিউবে ওয়াজ শুনছেন হঠাৎ ডানপাশে ছবিসহ লেখা আছে, বোনের সাথে ভাইয়ের প্রেম। আপনি ভাবলেন একি দুনিয়া কোন দিকে যাচ্ছে দেখিতো। আপনার দেখা শেষ হওয়া মাত্র আবার লেখা এলো শালি দুলাভাইয়ের ফস্টিনষ্টি । আপনি ভাবলেন হায় আল্লাহ শালিকা হলো বোনের মত তার সাথে কি করল দেখিতো। দেখতে আপনার খারাপ লাগছে না কারণ আপনি পুরুষ, নারীর দেহের প্রতি আপনার আকর্ষণ থাকবে এটাই স্বাভাবিক। এরপর লেখা এলো বউকে আনন্দ দিবেন কিভাবে ভিডিওসহ দেখুন , এবার আপনি নড়েচড়ে বসে ক্লিক করলেন ভিডিওটাতে আর শুরু হলো আপনার পর্ণজগতে প্রবেশ।আহ আহ
৬. কৌতুহলঃ আপনি মনে মনে ভাবছেন জীবনে সব অভিজ্ঞতাই থাকা দরকার । একবার দেখিতো পর্ণ ছবি কেমন? আপনি দেখলেন, ভাল লাগল মনে হলো দুনিয়ায় সকল শান্তি এখানেই। একটার পর একটা আপনি দেখা শুরু করলেন। এভাবেই আপনি পর্ণগ্রাফিতে আসক্ত হয়ে গেছেন তা টেরই পাননি।
৭. স্বামী স্ত্রী আলাদা থাকলেঃ জীবনের প্রয়োজনেই অনেক সময় স্বামী স্ত্রী আলাদা থাকতে হয়। প্রবাসী অধিকাংশ স্বামীরা পর্ণগ্রাফি দেখে তাদের জৈবিক চাহিদা পুরণ করে।এভাবে আস্তে আস্তে সে আসক্ত হয়ে যায়। যার ফলে বউ এর কাছে আসার পরও সে এই নেশা ছাড়তে পারে না।
৮. স্ত্রীর ভালবাসা না পাওয়াঃ সমাজের অধিকাংশ নারীই নিজের সৌন্দর্য অন্য মানুষকে দেখাতে পছন্দ করে কিন্তু কখনো তার স্বামীকে দেখায় না। পার্লারে সেজে পার্টিতে বা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যায় ঠিকই কিন্তু কখনো সেজেগুজে রাতের বেলায় স্বামীর সামনে দাঁড়িয়ে প্রেম নিবেদন করে না। তাই স্বামী বেচারা দুধের স্বাদ গুলে মিটাতে মুভি ও পর্ণগ্রাফির নারীদের দেহ দেখতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে।
৯. ফ্রি ওয়াইফাইঃ বর্তমানে দেশের শপিংমল, বিশ্ববিদ্যালয়, রেস্টুরেন্ট, হাসপাতাল ও বাস টার্মিনালসহ বিভিন্ন জায়গায় ফ্রি ওয়াইফাই এর ব্যবস্থা রয়েছে যার ফলে যে কোন ব্যক্তি তার ইচ্ছামত ওয়েবসাইট ভিজিট করে এবং ডাউনলোড করে বিনা টাকায়। এই সুযোগটা স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রীরা কাজে লাগিয়ে অশ্লীল ছবি দেখে ও ডাউনলোড করে।সেদিন দেখলাম এক পরিচিত লোক গভীর মনোযোগ দিয়ে একটা সুপারশপে কি যেন করতেছে। পোড়ামন একটি দৃশ্য আমি দেখলাম যা দেখার জন্য মোটেই প্রস্তুত ছিলাম না।
১০. বড় পাপ মনে না করাঃ দুনিয়াটা মস্ত বড় খাও দাউ ফুর্তি কর” এই চিন্তা থেকেও অনেকে পর্ণগ্রাফিতে আসক্ত হয়ে পড়ে। চিন্তা করে মরে গেলেতো সব শেষ যতদিন বেঁচে আছি সব খাব আর সব দেখব । আমিতো আর রাস্তার কোন মেয়েকে ধর্ষণ করছি না শুধু আমার রুমে বসে ভিডিও দেখছি । এটা বড় কোন পাপ না
১১. একাকিত্বঃ অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা। মানুষ যখন একা থাকে স্বাভাবিক ভাবেই তার কাজ কম থাকে। ফলে সময়কে সে যথাযথ ব্যবহার করতে পারে না। ফলে সে তার ল্যাপটপে পর্ণগ্রাফি দেখে সময় পার করে।
পর্নোগ্রফিতে আসক্তির নমুনাঃ আপনি কিভাবে বুঝবেন যে, আপনি পর্ণগ্রাফিতে আসক্ত কিনা? পর্ণগ্রাফিতে আসক্ত ব্যক্তি সবর্দা নারীদের প্রতি দুর্বল থাকেন। রাস্তায় চলতে গেলে তার চোখকে সে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। নারীর বিভিন্ন অঙ্গের প্রতি তার নজর যাবেই। রাস্তার বিল র্বোড গুলো সে দেখবে তাতে কোন নারীর ছবি দেখা যায় কিনা। এমনকি তার নিকট আত্মীয় দেখলেও সে সুনজর দিতে পারে না। তার মাথায় সর্বদা পর্ণগ্রাফির চিন্তা থাকে আর চোখ সব সময় তা দেখার জন্য ব্যাকুল থাকে। আপনি যখন একা একা রুমের ভিতরে ল্যাপটপ/ কমপিউটার চালাবেন তখন আপনার মন বলবে আজকে একটু দেখি কাল থেকে আর এসব বাজে জিনিস দেখব না। আপনি প্রথমে দেখলেন ইন্ডিয়ান পর্ণগ্রাফি তারপর আপনার মন বলবে এবার বাংলাদেশের দেখিতো । এবার আমেরিকা পর্ণ দেখি কেমন দেখতে। ২০ বছরের মেয়েদের দেখি কেমন লাগে। এভাবে আপনি দেশ , বয়স, নামী দামি পর্ণস্টার ও ইংলিশ, বাংলা ও হিন্দি নায়িকাদের বিভিন্ন হট ছবি দেখতে গুগুলে সার্চ দিবেন আর হঠাৎ আপনার কানে আসবে ফজরের আজান আর আপনি তখন বালিশ জড়িয়ে ধরবেন অথবা অন্য উপায়ে আপনার জৈবিক চাহিদার খায়েশ মেটাবেন। আর মনে মনে তওবা করবেন আর কখনো দেখবেন না কিন্তু আপনি পারবেন না, কেননা আপনি তাতে আসক্ত হয়ে গেছেন। আপনার মন বলবে তুইতো খারাপ কিছু করছিস না শুধু নিজের ঘরে বসে নিজের টাকা খরচ করে খারাপ ছবি দেখিস এতে তেমন ক্ষতি নেই। রাস্তাঘাটে তো কোন মেয়েকে ধর্ষণ করিস নি। কিন্তু বাস্তবতা হলো আপনি ধীরে ধীরে শেষ হয়ে যাচ্ছেন। আপনার মধ্যে মানসিক দুর্বলতা চলে আসবে।নিজেকে অপরাধী মনে হবে। কোন সৎ লোকের সাথে কথা বলতে আপনি ভীত থাকবেন। আপনার মধ্যে স্বাভাবিক মানবতাবোধ টুকু নষ্ট হয়ে যাবে। আপনি একজন দায়িত্বহীন পুরুষে পরিণত হবেন। ঘরে আপনার স্ত্রী, সন্তান অসুস্থ থাকলেও আপনার মন কাঁদবে না। সামাজিকতা বলতে আপনার কাছে কিছু থাকবে না।আপনি একা থাকতে ভালবাসবেন। এসব লক্ষণ যদি আপনার মধ্যে থাকে তবে আপনি একজন পর্র্ণগ্রাফিতে আসক্ত ব্যক্তি । সুতরাং যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিন দেখেন বিয়ে করা ছাড়া আপনি বিজয়ী হন কিনা?

ছবিঃসংগৃহীত

প্রিয় বাবা মা আপনাদের যখন বিয়ের বয়স হয়েছিল। তখন মোবাইল ইন্টারনেট কিছুই ছিলনা।তারপরেও আপনাদের বাবা-মা আপনাদেরকে দ্রুত বিয়ে দিয়েছেন। আর এখন এই ফেতনার দুনিয়ায় আপনি আপনার সন্তানদের বাঁচান প্লিজ। আপনার সন্তান বিয়ে করতে বললে বলেন আগে নিজের পায়ে দাঁড়া। অথচ সে নিজের বড় ক্ষতি করতেছে তা আপনি আপনারা জানেন না। আজ নষ্ট সমাজের নষ্ট নীতি আমাদের চরিত্রকে শেষ করে দিয়েছে। তারপরও কিছু মানুষের বুজুরি আচরণ পড়ো বিরক্তির কারণ। রাসুলের একজন সাহাবী বেখেয়ালে একজন নারীর গোসলের দৃশ্য দেখে ফেলেন। তার বয় উনিক কানতে কানতে আল্লাহর ভয় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। আর অথচ আমরা হরহামেশাই কিনা করছি। হায় আল্লাহ।

পরিচিত এক ভাই সেদিন এসে বলেছিল। আমি আমার এক দুঃসম্পর্কের বোনের মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলাম। যা পূর্ণাঙ্গ শরীয়ত সম্মত একটা বিষয়। কিন্তু কিছু লোক আমাকে কতভাবে কটাক্ষ করা শুরু করেছে। লুচ্চা থেকে শুরু করে এমন কিছু বাকি রাখেনি। অথচ এরা একেকজন 30-40 টা মেয়ের সাথে অশ্লীল চ্যাটিংয়ে ব্যস্ত থাকে। আমি হালাল ভাবে বলাতেই আমার দোষ।কিছুদিন আগে দেখলাম পরিচিত এক নিকটাত্মীয়। তার মেয়েকে ও তার দুই চাচাতো ফুফাতো বোনকে। প্রাপ্তবয়স্ক এক জেঠাতো ভাইয়ের সাথে পার্কে ঘুরতে পাঠাইছে। অথচ এই ছেলেটার চরিত্র অনেক কুলুষিত। আমি হালাল পর্যায়ে বিয়ে করতে বলেছি বলে বিরাট অন্যায় হইছে।অথচ দিনেদুপুরে উপযুক্ত একটা ছেলের সাথে তিনটা মেয়েকে ছেড়ে দেয়া
এটা তাদের কাছে অন্যায় মনে হয়নি। এটা কোন মানসিকতা তাদের, ইসলামী মূল্যবোধ জ্ঞান তাদের ভিতর উঠে যাওয়ায় মনে হয় এমন অবস্থা।
কিছু মডারেট কুলাঙ্গারকে দেখা যায় তারা বলে চি ভাগ্নি ভাতিজি কিভাবে বিয়ে করা যায়। তাদের উদ্দেশ্যে বলব। তোমার আপন বোন
ব্যতীত, যত বোন আছে সব বোনের সাথে দেখা করাই নাজায়েজ। এ বিষয়ে তুমি জানোনা। তাদের মেয়েছেলে সম্বন্ধে তুমি কি ধারণা রাখবে।
তোমার মনে রাখা দরকার। তোমার চাচাতো ফুফাতো বোন যেমন তোমার আপন বোন না। তাদের যদি তুমি বিয়ে করতে পারো। তোমার আপন বোনের মেয়ে তোমার ভাগ্নি। তোমার চাচাতো ফুফাতো বোনের মেয়ে তোমার ভাগ্নি। কিন্তু আপন না। তাদেরকেও ঠিক বিয়ে বৈধ। তাদের সাথে পদ্মার মেনটেন করা সকল মুমিনের দরকার।

আমার তখন মনে হয়েছে যে সমাজ দিনে দুপুরে একটা প্রাপ্ত বয়স্ক ছেলের সাথে একজন মা ও বাবা তার মেয়েদের পার্কে ঘুরতে অনুমতি দেয়। এবং সেটিকে গুনার কাজ মনে করে না। সে সমাজে আপনি ভাল কিছু আশা করতে পারেন না। আর সব হুজুরদের দোষ। আল্লাহ এই বর্বর জাতিকে হেদায়েত দান করুক।

সমুদ্রের ডুবন্ত একজন ব্যক্তি যখন অপরজন ডুবন্ত ব্যক্তি কে বলে। আপনার কি সাহায্য করতে পারি। এই কথাটি যেমন হাস্যকর। ঠিক আপনি নিজেই অপকর্মে লিপ্ত হই হুজুরের দোষ ধরতে আসেন।অথচ নিজের ভেতরে কুমড়া পৌঁছে আছে। এটা ঠিক নয় অন্যের সমালোচনা করবেন না। ফেতনার দুনিয়া আগে নিজে ঠিক থাকার চেষ্টা করুন। গীবত পরিহার করে ভালোবাসা বৃদ্ধি করুন একে অপরের সহযোগিতা করুন। আপনি আমি আমরা সবাই অসহায়।

সর্বশেষ একটি কথা বলব। প্রিয় বাবা-মা আপনি আপনার সন্তানকে দামি গাড়ি বাড়ি নয় একটি বউ এনে আপনার সন্তানের চরিত্র হেফাজতের ব্যবস্থা করুন প্লিজ। এছাড়া কোনো মুক্তি নেই নিঃসন্দেহে আমরা ফেতনার মহাসমুদ্রের গভীর তলানীতে আছি। আপনি আপনার আহালকে বাঁচান প্লিজ।

Leave a Reply