You are currently viewing মোল্লাজি” নন্দলাল ভার্শন ২

মোল্লাজি” নন্দলাল ভার্শন ২


…………………………………………….
মোল্লাজি একদা একটা করিলো ভীষণ পণ,
ইসলামের তরে যে করেই হোক রাখিবেই সে জীবন।
সকলে বলিলো, ‘আহা হা, করো কী করো কী মোল্লাজি?’
মোল্লা কহিলো, ‘বসিয়া বসিয়া এভাবেই রহিবো কি?’
‘আমি না করিলে কে করিবে উম্মাহর উদ্ধার?’
সকলে বলিল, ‘বাহাবা বাহাবা বাহাবা মোল্লার’!
;
মোল্লার ভাই যুলুমে মরে, দেখিবে কেবা তাহারে!
সকলে বলিলো, ‘যাওনা মোল্লা, করোনা উদ্ধার ভাইয়েরে’।
মোল্লা বলিলো, ‘ভাইয়ের জন্য জীবনটা যদি দেই, না হয় দিলাম;
কিন্তু অভাগা উম্মাহর হইবে কী?’
‘বাঁচিয়া থাকাই অতি দরকার, ভেবে দেখো চারিদিক’।
তখন সকলে বলিলো, ‘হাঁ হাঁ হাঁ, তা বটে, তা বটে ঠিক’।
:
মোল্লার দেশে কিছু জানোয়ার রাসূলকে দিলো গালি,
আশেকে রাসূল চাপাতি লইয়া কোপাইতে ধরিলো খালি।
‘ফাঁসি চাই’ বলে ছুটিলো মোল্লা ঐ পশুদের রক্ষকের কাছে,
রক্ষক উল্টো ঝাপাইয়া পড়িলো নিয়ে গোলাবারুদ যত আছে।
মোল্লা বলিলো, ‘আ-হা-হা’ করো কী করো কী, বন্ধ করোনা ছাই!
কী হবে গোলাগুলিতে আমি যদি মরে যাই?
বলো কী বিঘত, করিবো তোষামোদ, তেল মারিবো পায়।
ধরিও না মোরে, করিও না খুন, হাত দিও না মোর গায়।’
সকলে বলিলো, ‘বাহাবা বাহাবা বাহাবা মোল্লায়’।
:
মোল্লা সহসা এক আজিব তরিকা করিলো বাহির,
জায়নামাজ আর তসবিহ লইয়া জিহাদ করিলো জাহির।
পড়িলো যিকির করিলো ফিকির ঝড়িলো উম্মাহর খুন,
সেই রক্তের সাথে গাদ্দারি করে পাইলো কয়েকগুণ।
পাইতে থাকিলো স্বীকৃতি আর গোলামীর জিন্দেগী,
তখন সকলে বলিলো, ‘বাহাবা বাহাবা বাহাবা মোল্লাজি’!
:
মোল্লা খানকার হত না বাহির, কখন কী ঘটে কী জানি,
ধরিতো না অস্ত্র, কখন মাথায় এসে পরে জঙ্গিবাদের গ্লানি।
জেলের জীবন কষ্ট ভীষণ, রিমান্ডে মাইর হয়,
অস্ত্রবাজিতে গোলাগুলি আর বোমা হামলার ভয়।
তাই খানকায় ঢুকে জীবন বাঁচাইয়া রহিলো মোল্লাজি,
সকলে বলিলো, ‘ভ্যালা রে মোল্লা, বেঁচে থাক কিয়ামত অবধি।
.
[রিপোস্ট]

This Post Has 0 Comments

  1. yeasin

    sothik bolcen

Leave a Reply