You are currently viewing লাল গাভী ও দাজ্জাল রহস্য –পঞ্চম ও শেষ পর্ব !!

লাল গাভী ও দাজ্জাল রহস্য –পঞ্চম ও শেষ পর্ব !!

প্রিয় পাঠক বৃন্দ

ইহুদিদের ধর্মীয় গ্রন্থে সেই লাল গাভী ও তাদের সুক্ষ ষড়যন্ত্রগুলি নিয়ে বিস্তর কিছু লেখার চেষ্টা করছি। আমি জানিনা আপনারা এই বিষয়গুলি কতটুকু মনযোগ দিয়ে পড়ার বা মনে রাখার চেষ্টা করছেন। কিন্তু আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ আপনারা বিষয়গুলি অতিগুরুত্ব সহকারে মনে রাখার চেষ্টা করবেন। কেননা এ বিষয়ে আপনি সচারচর কাউকে বলতে বা লেখতে দেখতে পাবেননা। এগুলি ঈমানের সাথে সম্পৃক্ত বিষয়। দাজ্জালের ফেতনা সমুহ বুঝতে হলে এসব বিষয়ে জানা আপনার অতিব জরুরি।

নিচে উক্ত ছবিটিতে লক্ষ করে দেখুন একজন জয়োনিষ্ট ইহুদী একটা লালগাভী কে নিয়ে দাড়িয়ে আছে। তাদের বিকৃত ধর্মগ্রন্থের ভাষ্যমতে, লাল গাভী জন্ম হওয়ার পর তিন বছর বয়সে উপনীত হলে তারা সেটিকে জবাই করে রক্ত ও আগুনে পুড়িয়ে ছাই করে সেই ছাই মেখে ইহুদি সম্প্রদায় পবিত্র হবে।

লাল গাভী

এই গাভির রক্ত ও ছাই মাখা ছাড়া ইহুদিরা পবিত্র হবে না।

তাদের বিশ্বাস অনুযায়ী লাল গাভী বের হওয়ার পরই
বর্তমান বাইতুল মাকদিস মাসজিদ এবং The Dome of the Rock বা القبة الصخراء ভেঙ্গে সেখানে তারা একটি হাইকাল বা এবাদত গৃহ নির্মাণ করবে।
এটি হবে তৃতীয় হাইকল।

উল্লেখ্য যে, এর পূর্বে আরো দুইবার হাইকাল নির্মাণ করা হয়েছিল। প্রথমবার নির্মাণ করেছিলেন নবী সুলাইমান আলাইহিস সালাম। কিন্তু পরবর্তীতে সেগুলো ভেঙ্গে ফেলা হয়।

যা হোক এই হাইকালে কেবল পবিত্র ইহুদীরাই ঢোকার সুযোগ পাবে; অন্যরা নয়। তাই তারা বিশ্বের সর্বত্র এই লাল গাভী খুঁজে বেড়াচ্ছে।

বহু খোঁজাখুঁজির পর অবশেষে আমেরিকার নিউ জার্সিতে অবস্থিত একটি গো খামারে এক লাল গাভীর সন্ধান পাওয়া গেছে। কিন্তু গাভীর মালিক সেটি ইহুদীদের কাছে কোন মতেই- মিলিয়ন ডলার দিয়ে ও বিক্রয় করতে রাজি নয়।

যা হোক উক্ত লাল গাভী কে কেন্দ্র করে ইহুদিদের ধর্মীয় উম্মাদনা নতুন ভাবে সৃষ্টি হয়েছে। এখন যে কোনো মূল্যে উক্ত লাল গাভী সংগ্রহ করে সেটিকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ছাই বানিয়ে গায়ে মেখে দুনিয়ার নাপাক ইহুদিরা পাক হতে চায়।

কিন্তু তাদের ভুলে গেলে চলবে না, এসকল মিথ্যা ও বানাওয়াট কিতাবের বাণী দিয়ে মসজিদে আকসা ভেঙ্গে ফেলার গভীর ষড়যন্ত্র হলে মুসলিম বিশ্বে যুদ্ধের আগুন দাউদাউ করে জ্বলে উঠতে পারে।

তখন ইনশাআল্লাহ উড়ে আসা জুড়ে বসা এই অভিশপ্ত ইহুদিদের অস্তিত্ব পৃথিবীর মানচিত্র থেকে মুছে যাবে ইনশাআল্লাহ।

পারলে – দ্বীনের সার্থে কপি শেয়ার করুন।

Leave a Reply