You are currently viewing দুটি মিথ্যাচার উম্মাহর তরুণ তরুণীদেরকে বিপথগামীতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

দুটি মিথ্যাচার উম্মাহর তরুণ তরুণীদেরকে বিপথগামীতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

বর্তমান সময়ে মুসলমানদের দুটি মিথ্যাচারের বিষয়ে সতর্ক হওয়া উচিত। এ দুটি মিথ্যাচার উম্মাহর তরুণ তরুণীদেরকে বিপথগামীতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

• প্রথম মিথ্যাচারটি হচ্ছে।

• হাদিসে বলা আছে। জ্ঞান অর্জনের জন্য প্রয়োজনে চীন দেশে যাও।আসলে এটা একটা জাল হাদিস।

• দ্বিতীয় মিথ্যাচারটি হচ্ছে
• উম্মি খাদিজা রাদিয়াল্লাহু আনহা ব্যবসায়ী ছিলেন।

প্রিয় ভাই ও বোন আমরা শুরুতেই প্রথম মিথ্যাচারটা নিয়ে আলোচনা করি। যেখানে বলা হচ্ছে জ্ঞান অর্জনের জন্য চীন দেশে যাওয়ার কথা।কিন্তু সঠিক বিষয়টি হচ্ছে আল্লাহর রাসুল কাফের রাষ্ট্রে বসবাসের বিষয়ে,সেখানে দীর্ঘ সময় অবস্থান করার বিষয় নিরুৎসাহিত করেছেন। নিষেধ করেছেন এমন অনেক সহি হাদিস পাওয়া যায়। আর চীনের মতো জায়গাতে যাওয়াই তো জায়েজি নেই।সাম্প্রতিক সময় লক্ষ্য করা যাচ্ছে চায়নাতে স্টুডেন্ট ভিসায় অনেকে সফর করতেছেন। এ বিষয় ছোট একটা ঘটনা শেয়ার করি।

আমার পরিচিত এক ছোট ভাই কিছুদিন আগে চায়নাতে গেছে।তার সাথে কথা হচ্ছিলো। এক পর্যায় তার থেকে এমন একটি শব্দ শুনেছি যার জন্য আমি প্রস্তুত ছিলাম না। সে না-কি গত ছয় মাস কোন হালাল খাবারের সন্ধান পায়নি।তাই বাধ্য হয়ে হারাম খাবার খাচ্ছেন।এবার আপনারা আমাকে বলুন এটা কেমন জ্ঞান অর্জনের প্রচেষ্টা হতে পারে?যে জ্ঞান অর্জন করতে গিয়ে তাকে হারাম খাবারই খেতে হচ্ছে ঠিক কাফেরদের মতোই। ইমাম আশ-শাফি’ঈ (রহ.) বলেন।জ্ঞান হচ্ছে তা যা উপকার করে, তা নয় যা কেবল মুখস্ত করা হয়।

মহান আল্লাহ বলেন,

নিশ্চয় যারা নিজদের প্রতি যুলমকারী, ফেরেশতারা তাদের জান কবজ করার সময় বলে, ‘তোমরা কী অবস্থায় ছিলে’? তারা বলে, ‘আমরা যমীনে দুর্বল ছিলাম’। ফেরেশতারা বলে, ‘আল্লাহর যমীন কি প্রশস্ত ছিল না যে, তোমরা তাতে হিজরত করতে’? সুতরাং ওরাই তারা যাদের আশ্রয়স্থল জাহান্নাম। আর তা মন্দ প্রত্যাবর্তনস্থল।’ (সূরা নিসা ৯৭)

রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর যুগে যেসব মুসলিম মুশরিকদের সঙ্গে ছিল এবং তাদের সংখ্যা বৃদ্ধি করেছিল, মাঝে মাঝে এমনও হত যে, তাদের কেউ কেউ মুসলিমদেরই তীরের আঘাতে নিহত হতো বা তাদেরকে হত্যা করা হত। তখন আল্লাহ তা‘আলা –

(إِنَّ الَّذِيْنَ تَوَفّٰهُمُ الْمَلٰ۬ئِكَةُ ظَالِمِيْٓ أَنْفُسِهِمْ)
আয়াতটি অবতীর্ণ করেন। (সহীহ বুখারী হা: ৪৫৯৬)

এ আয়াতে যারা সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও হিজরত করে না তাদেরকে তিরস্কারের সাথে কঠিন শাস্তির কথা বলা হয়েছে। সুতরাং কাফিরদের দেশ থেকে হিজরত করা ফরয, যেখানে ইসলামের নিয়ম-নীতি অনুযায়ী আমল করা যায় না এবং যেখানে থাকলে কুফরীর দিকে ধাবিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।” (ফাতহুল মাজীদ, সূরা আন নিসা ৪/৯৭)

আর সে জায়গায় আপনি কিভাবে আপনি মুসলিম ভূখণ্ড থেকে কাফের রাষ্ট্রে বসবাস করতে চান?এ বিষয় আরও লম্বা আলচনা করা যেতে পারে।পোস্ট দীর্ঘায়িত হবে তাই আপাতত এতটুকুই যথেষ্ট মনে করছি।

 

★দ্বিতীয় যে ভয়ংকর মিথ্যাচারটি করা হয়। তা আমাদের উম্মে খাদিজাকে নিয়ে।আল্লাহ হেদায়েত দান করুন যারা উম্মি খাদিজাকে সরাসরি ব্যবসায়ী বলেন ।আসলে চূড়ান্ত সত্যটি হচ্ছে তিনি সরাসরি ব্যবসায়ী ছিলেন না,বরং উনার বাবার মৃত্যুর পর তিনি ওয়ারিশ সূত্রে সম্পত্তির মালিক হয়েছেন। আর এ সম্পত্তির দেখাশুনা কিংবা ব্যবসায়ের জন্য তিনি বের হতে চাননি। তাইতো তিনি প্রিয় নবী রাসুল করীম সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর মত বিশ্বস্ত কাউকে খুঁজেছেন। যিনি ছিলেন তৎকালীন সময়ে আলামিন। আর যারা নারী অধিকারের চর্চা করতে গিয়ে উম্মি খাদিজাকে ব্যবসায়ী বলেন। তারা চরম মিথ্যাচার করতেছেন।

মোটকথা দেখা যায় এই দুটি বিষয় নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা করেন। কিছু ভন্ড আর মাথা মোটা শ্রেণীর মানুষরা । যাদের চর্চাটা আসলে ইসলাম নয় বরং আমাদের যুব সমাজ ও বোনদেরকে নৈতিকতা থেকে বিচ্যুতি করা। আর আমাদের যুবাদের চরিত্র নষ্ট করে দিতে পারলে তাদের চিন্তা মুক্ত।কারণ তাদের শয়তানি কর্মকাণ্ড ঠেকাতে তাদের পিঠের চামড়া তুলে ফেলতে আর কোন বিরযুদ্ধা আসবেনা। আর বোনদের বাসা থেকে বের করতে পারলেই তো তাদের চূড়ান্ত সফলতা।

এই যে,বড় বড় বীরদের কাহিনী শুনেন। ওমর বিন আব্দুল আজিজ,সুলতান নুরুদ্দিন,সালাউদ্দিন আইয়ুবী,আল্প আরসালান ,ও মোহাম্মদ বিন ফাতেহের মত বির সেনানিরা। তাদের কে তৈরি করেছে জানেন? আমাদের বোনেরা।বোনদের এটাই তো দায়িত্ব কর্তব্য। তারা এমন সন্তান জন্ম দিয়েছেন যাদের ইতিহাস এখনো মনে রেখেছে। আর এ শয়তানরা নারী অধিকার নামে আমাদের বোনদের বিপথগামীতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। সরিয়ে আনতেছে তাদের সঠিক মিশন থেকে। তারা চায় আমাদের বোনেরা আর কোন সালাউদ্দিন আইয়ুবী তৈরি না করুক।যদি যুগের সালাউদ্দিনরা তৈরি হয় তাহলে তো তাদের পিঠের চামড়া থাকবে না। থাকবে না গর্দান।

আল্লাহ আমাদের সুবোধ জাগ্রত করে দিন। আমিন।

সাইদুল ইসলাম সজীব
২৩/১২/২০২৩

Leave a Reply