You are currently viewing দ্বীনদার শালী দুলাভাইয়ের গল্প!!

দ্বীনদার শালী দুলাভাইয়ের গল্প!!

আমার ছোট বোন আমার বরের সামনে আসা তো দূরের কথা আমার ছোট বোনের ছায়াও তিনি এখনো দেখেন নাই!

কি অবাক লাগছে?

অবাক লাগারই কথা। কারণ আমরা ইসলাম থেকে এত বেশিই দূরে সরে গিয়েছি যে ইসলামী নীতি মেনে চলতে দেখলে আমারা অবাক হই, নীতি ছেড়ে দিলে অবাক হই না।

এই যে আমার বরের একমাত্র শালি আমার ছোট বোন। সে তার দুলাভাই এর সামনে না আসাতে কি তার কিংবা আমার বরের কোনো ক্ষতি হয়েছে বলেন তো?আমার বোন তার সামনে না এসেও তাকে শ্রদ্ধা করে, আমার বর তার শালির সাথে তথাকথিত দুষ্টামি, ফাজলামি না করেও তাকে বোনের মতোই স্নেহ করে।

কেনো সামনে গিয়ে ভুরু নাচিয়ে, ভাইয়া ভাইয়া করে নো মাইন্ডে গায়ে লেগে বসে থাকতে হবে বলেন তো?কি আছে এইটাতে? এই ধরনের মেলামেশার দ্বারা কি আত্মীয়তার বন্ধন দৃঢ় হয়?!

আমি এমন অনেক ঘটনা জানি যেখানে শালি-দুলাভাই এর অবৈধ সম্পর্ক গড়ে উঠার কারণে বহু সাজানো গোছানো সংসার তছনছ হয়ে গেছে! এই ভয়ংকর, অসভ্য, অবৈধ সম্পর্কের জের ধরে প্রাণ গেছে অনেকের!

আরেক দল আছে যারা মুখে নিকাব, গায়ে বোরকা আবার হাতে পায়ে মোজা লাগিয়ে দুলাভাই, দুলাভাই করে দুষ্টামি, ফাজলামি, হাসাহাসি করেন!

কি ভাই! ইসলামের নীতি কে কি মনে করেন আপনারা?? ছোট, তুচ্ছ? নিজের মন মতো, সুযোগ মতো নিয়ম বানিয়ে কিছুটা মানবো, কিছুটা ছাড়বো?
এমন নিয়ম মেনে ইসলামের নীতিকে ছোট করে দেখার কোনো দরকার নাই। পারলে পুরোটা কিংবা যতটা সম্ভব মানার চেষ্টা করেন।

পরিশেষে বলতে চাই, রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ দেবর মৃত্যু তুল্য।

দেবর ভাবীর জন্য যেমন মৃত্যু তুল্য ঠিক তেমনই শালি দুলাভাই এর জন্য দুলাভাই শালির জন্য মৃত্যু সমতুল্য।

আপনি যতই এইটারে ভাই বোনের সম্পর্কের মতো বানাতে চান না মনে রাখবেন ইসলামের নীতির বাহিরে সামান্যতম কল্যাণও নাই। আল্লাহ আমাদের বুঝ দান করুক।

লেখাঃ তুরাবি ফারহা

Leave a Reply