You are currently viewing কক্সবাজার এ যেন  ফিৎনার এক মোহা অভায়ারণ্য।

কক্সবাজার এ যেন ফিৎনার এক মোহা অভায়ারণ্য।

একটা বিশেষ কাজে কক্সবাজার এসেছি!বরাবরের মতোই দারুল হারাবে ঘুরতে গিয়ে আসলে কোথাও হৃদয়ের প্রশান্তি পাওয়া যায় না।ফ্রি মিক্সিং এর এত ব্যাপকতায় হৃদয়ের প্রশান্তি খুঁজতে গিয়ে আপনি রীতিমতো হৃদয়ের বাধিতে আক্রান্ত হবেন।যদি ও আমার আসার কারণ ভিন্ন ছিলো!আমি আমার অভিজ্ঞতা থেকে প্রাক্টিসিং ভাই-বোনদের প্রতি অনুরোধ করবো।আপনারা ঘুরতে যাওয়ার জন্য এ জায়গা গুলো বাদ দিয়ে দেয়া অতিব জরুরী মনে করছি।আমি নিজে ও ওয়াদা করছি,একান্ত জরুরি না হলে স্থানগুলো এড়িয়ে চলার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ ।

এখানে এসে কিছু বিষয় মিলানোর চেষ্টা করলাম।বিশেষ করে আল্লাহর অবাধ্যতা এখানে দিন থেকে রাত চলমান। অস্বাভাবিক বিষয়গুলো এখানে স্বাভাবিক হয়ে গেছে।স্বাভাবিক বিষয়গুলো এখানে অভিধানের ভাষা হারিয়েছে ।বাংলাদেশে যে কয়টি স্থানে আল্লাহর অবাধ্যতার শীর্ষে তার মধ্যে কক্সবাজার অন্যতম।কেয়ামতের আলামত গুলো এখানে চোখের সামনে জল জল করছে।একটা যুগের সমাপ্তি এবং তা ভেঙ্গে নতুন করে গড়ার সত্যিই সময় হয়ে গেছে। সারা বিশ্ব মানুষ অপকর্মের এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যা পূর্বের সকল সমীকরণকে পেছনে ফেলেছে!গভীরভাবে চিন্তা করে দেখুন তো এখন যে অপকর্ম,ফিতনার যে অপ্রতিরোধ্য সময় চলতেছে তা-কি পূর্বে কখনো কোন জামানায় ছিলো?

আদম আলাই সালাম থেকে শেষ নবি মোহাম্মদ সাঃ এর আগমনের আগে যাকে বলা হতো আইয়ামে জাহেলিয়া যুগ।সেই যুগ গুলোর ফিতনা আর বর্তমান সময়ের ফিতনার সাথে কম্পেয়ার করে দেখুন।আপনি উত্তর পেয়ে যাবেন একটা সম্ভাব্য বিপর্যয় যে কতটা নিকটে।আর সেই সময়টা অলরেডি শুরু হয়ে গেছে, ভূমিকম্প দিয়ে।আমি গত কয়েক বছর থেকে কয়েকটি বিষয়ের সূত্রের সাথে কানেকশন করে বিশ্ব পরিবর্তনের কথা বলেছিলাম,যে বিষয়গুলোকে সামনে রেখে বিশ্ব পরিবর্তন হয়ে যাবে।

আমি প্রথমে বলেছিলাম,ভূমিকম্পের কথা,বলেছিলাম ভূমিকম্পের মাধ্যমে বদলে যাবে বিশ্ব পরিস্থিতি,আমি কয়েক পর্ব আপনাদেরকে ধারাবাহিকভাবে আলোচনা করে বুঝানোর চেষ্টা করেছি।পূর্বে লেখাগুলোর লিংক কমেন্ট বক্সে দেয়া আছে আপনারা দেখে আসতে পারেন।আশা করি অনেক কিছুই বুঝতে পারবেন।

 

ভূমিকম্প ছাড়াও,কাশ্মীর ফোরাত নদী, অনেক গুলো গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা নিয়ে আমার ধারাবাহিক আলোচনা রয়েছে।প্রিয় ভাই ও বোনেরা সত্যিকার অর্থেই আল্লাহ একটি সভ্যতাকে ভেঙ্গে আবার নতুন করে গড়বেন।আর তার যথেষ্ট কারণ এখন বিদ্যমান। এখন যে ভূমিকম্প গুলো দেখতেছেন তা নিতান্তই মানুষের হাতের কামাই।২০২৩ সাল পরবর্তী বছর গুলো খুব কঠিন হতে যাচ্ছে।রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধে নতুন মাত্রা,ভুমিকম্প, ফোরাতের সম্ভাব্য বিপর্যয়,যুদ্ধ, দুর্ভিক্ষ,কোনটা থেকে কোনটা যে মানুষ সামাল দিবে,আল্লাহ রহম করুন।অথচ মানুষ অপকর্ম করেই যাচ্ছে।

সালামাহ ইবনে নাফিল আস-সাকুনি (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমরা রসূল ﷺ এর নিকট বসে ছিলাম। এ সময় তার প্রতি ওহী নাযিল হচ্ছিল অতঃপর তিনি বলেনঃ
নিশ্চয়ই আমি তােমাদের মাঝে (চিরদিন) অবস্থানকারী নই, এবং তােমরাও আমার পরে অল্প সময় ব্যতীত (চিরদিন) অবস্থান করবে না। আর অচিরেই তােমরা দলে দলে আমার নিকট আসবে এবং একে অপরকে হত্যা করতে থাকবে। কিয়ামতের পূর্বে ভীষণ মহামারী দেখা দিবে এবং এরপর আসবে ভূমিকম্পের বছরসমূহ।

ভূমিকম্প সকল হিসাব চুকিয়ে দিবে।আর তা ভালো খারাপ সবাইকে বাসিয়ে নেবে।অন্যায় দেখে প্রতিবাদ না করাটাও একটা বড় অন্যায়।

(সহিহ ইবনে হিব্বানঃ ৬৭৭৭)

সাইদুল ইসলাম সজীব
২৬.০২.২০২৩

Leave a Reply