পৃথিবীতে এখন প্রায় আটশত কোটি মানুষ বাস করে—মালহামার প্রেক্ষিতে এর অধিকাংশ মানুষ মৃত্যুবরন করার পর স্বল্প সংখ্যক মানুষ (হাতে গোনা কয়েক কোটি) ধ্বংসের স্মৃতি নিয়ে পৃথিবীর মৃত্যুপুরীর কংকালকে সাথে নিয়ে বেঁচে থাকবে ।
অতীতে হত্যাকান্ড এবং ধ্বংস হয়েছে বিশেষ বিশেষ এলাকা বা দেশে এবার এ ধ্বংসযজ্ঞ হবে ধর্ম-বর্ন নির্বিশেষে পুরো পৃথিবীব্যাপী । মানুষ তার নিজের দুই হাত দিয়ে এ
নিকটবর্তী ভয়াবহ পরিনাম অর্জন করেছে ।
খৃষ্টানদের বাইবেলে মহাবিশ্বের এ ধ্বংসকে বলা হয়েছে ” এরমাগেডন ” এবং মুসলমানদের হাদীসে বলা হয়েছে ” মালহামা ” । দুটোর অর্থ এবং ভাব বিশ্লেষণ একই রকম—অর্থাৎ মানব জাতিকে ধ্বংসের অভূতপূর্ব ঘটনা । কোরান ও হাদীসে কয়েকটি বড় ঘটনা ঘটার পর পৃথিবী ধ্বংস বা কিয়ামত হওয়ার কথা বলা হয়েছেঃ—
এ গুলো হলোঃ—
১) আখেরী নবীর আবির্ভাব,
২) দাজ্জালের চাকচিক্যময় পশ্চিমা সেকুলার সভ্যতা প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে সারা দুনিয়ায় বিস্তারলাভ ,
৩) (নিউক্লিয়ার ওয়ার হেড সজ্জিত) বিশাল বিশাল মরণঘাতি মানবতাহীন সেনাবাহিনী ,
৪) মালহামা বা আরমাগেডন ধ্বংস যজ্ঞ ,এবং
৫) সারা পৃথিবী নিকশ কালো ধোঁয়ায় ৪০ দিন আচ্ছাদিত হয়ে অন্ধকার হয়ে যাওয়ার ঘটনা ।
প্রথম তিনটি ইতোমধ্যে ঘটে গেছে—যদিও মানব জাতি অংগীকারবদ্ধ মু’মিন না হওয়ায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় ঘটনা অনুধাবন করতে ব্যর্থ হয়েছে । পরের দু’টি একসংগে ঘটবে অতি নিকটবর্তী সময়ে । মুক্তোর মালার সুতো ছিঁড়ে যাওয়ার পর এক এক করে মুক্তোগুলো মেঝেতে ছিটকে পড়তে থাকে—তেমনিভাবে এসব ঘটনাপ্রবাহের সূত্রপাত হয়েগেছে ,এখন একের পর এক অনিবার্যভাবে ঘটতে থাকবে ।