You are currently viewing ধর্ষণ প্রতিরোধে পরিবারের ভূমিকা এখন প্রশ্নবিদ্ধ

ধর্ষণ প্রতিরোধে পরিবারের ভূমিকা এখন প্রশ্নবিদ্ধ

অনেককে এখন প্রায় বলতে শুনি সমাজ ধ্বংস হয়ে গেছে! সমাজ এখন বসবাসের অনুপযোগী হয়ে গেছে!!ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু এই সমাজ কি আজ কাল বিনষ্ট হয়েছে? না-কি আরও আগে থেকে?

স্পষ্ট কথা শুনে রাখুন!যেদিন থেকে আমাদের বাবা মারা বালেগ কন্যাসন্তানকে নীরবে,নিভৃতে,একাকী, নন মাহরাম একটা উপযুক্ত ছেলের কাছে শিক্ষা অর্জনের জন্য ফাঠিয়েছে!স্পষ্ট একটা হারাম বিষয়কে স্বাভাবিক বিষয় হিসেবে মেনে নিয়েছি!পর্দার মতো একটা ফরজ বিধান কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে। সেদিন এই সমাজের মৃত্যু হয়ে পচা দুর্গন্ধ হয়ে ছারখার হয়ে গেছে?

মনে রাখবেন সামাজিক এ বিশৃঙ্খলা গুলো একদিনে তৈরি হয়নি!এগুলো আপনারাই তৈরি করে দিয়েছেন!আপনি মা হয়ে আপনার মেয়ের সর্বনাশ কিভাবে করতে পারলেন?আপনি তো আপনার মেয়ের সর্বনাশী সেদিন করেছেন!যেদিন একজন নন মাহরাম ছেলের কাছে আপনার মেয়েকে পড়তে ফাঠিয়েছেন।

এখন সে এসে আপনার মেয়ের সর্বনাশ করে চলে গেছে।সে অপরাধী তার বিচার হওয়া দরকার!সাথে আপনি মা বাবার ও বিচার হওয়া দরকার। আপনি ও খুনি আপনি ও অপরাধি!রাষ্ট্র আপনাকে সহানুভূতি জানালেও! ইসলামী শরীয়া আইন আপনাকে ক্ষমা করবে না আপনি একজন অপরাধী!দুনিয়ার আদালত আপনার বিচার না করলেও আল্লাহর আদালতে আপনার বিচার করা হবে। এটা মনে রাখিয়েন সন্মানিত বাবা-মা! এবং সে আদালতে আপনার বিরুদ্ধে আপনার মেয়ে বাদী হয়ে মামলা করবে।এতে কোন সন্দেহ নেই!নিশ্চয়ই আল্লাহ উত্তম বিচারক।

নিশ্চিত বিশ্বাসী সম্প্রদায়ের জন্য বিধানদানে আল্লাহ অপেক্ষা কে শ্রেষ্ঠতর? ‘ (সুরা-৫ মায়িদা, আয়াত: ৪৮-৫০)

প্রিয় ভাই ও বোন!অনেকে আমার বিরুদ্ধে এখন রেগে যাবেন। কিন্তু একটা কথা স্পষ্ট এমন অনেক আহাম্মক আছে এ জমিনে। ইসলামি আন্দোলনের সাথে জড়িত কিন্তু তার মেয়েকে, ভাগ্নিকে পড়তে দেয় নন-মাহরাম ইসলামী আন্দোলন ভাইয়ের কাছে।এমন মনোভাব উনাদের মনে হয় শয়তান উনাকে কুমন্ত্রণা না দেয়ার সার্টিফিকেট দিয়ে দিছে।এবং এর ফলে অনেক বিশৃংখল ঘটনার সাক্ষী আপনারা নিজেরাই। অথচ এ কাজ গুলো যারা করতেছেন আপনারা ইসলামি আন্দোলনের গুরুত্ব পূর্ণ পর্যায় আছেন! আফসোস আপনি কিসের আন্দোলন করতেছেন আন্দোলন অর্থই তো আপনি বুঝেন না!

আল্লাহ তায়ালা বলেন: ‘হে মুহাম্মদ, আমার বান্দাদেরকে বলো, তারা যেন মুখ হতে সেসব কথাই বের করে যা অতি উত্তম। আসলে শয়তানই মানুষের মধ্যে বিপর্যয় সৃষ্টি করে থাকে। প্রকৃত কথা হলো, শয়তান মানুষের প্রকাশ্য শত্রু।’ (বনি ইসরাইল : ৫৩)

শেষ কথা বলি প্রিয় ভাই ও বোন! শিয়ালের কাছে মুরগী বাগা দিয়ে শিয়াল মুরগী খেয়ে ফেললে বিচার চাওয়া যেমন হাস্যকর!ঠিক আপনার মেয়েকে এমন মানুষ রুপি শিয়াল গুলো, জ্বলন্ত অঙ্গার গুলোর কাছে শিক্ষা অর্জন করতে পাঠানো টাই চরম হাস্যকর!

আরে তার নিজেরই তো শিক্ষা নেই। সে কিভাবে অন্যজনকে শিক্ষা দিবে। যদি তার শিক্ষা থাকতো তাহলে সে একজন সাবালিকা মেয়েকে পড়াতে যেতে না। শয়তান জখন আমাদের প্রকাশ্য শত্রু!আর এই শিয়াল গুলো শিক্ষা দানের নাম দিয়ে আমাদের বোনদের তার চোখ দিয়ে ধর্ষণ করে যাচ্ছে! আর চুড়ান্ত সর্বনাশের পরে আহাম্মক বাবা-মারা আসে ডাইনোসরের কাছে বিচার চাইতে। আপনি কাজ করেন থার্ড ক্লাস! তাহলে ফার্স্ট ক্লাস রেজাল্টের আশা কিভাবে করেন।

শুনে রাখুন উম্মাহর অভিভাবক বৃন্দু!ডাইনোসরের কাছে কখনো ধর্ষণের বিচার চাইবেন না! সে আপনার কি বিচার করবে আপনি তো নিজেই নিজের মেয়ের প্রতি সুবিচার করেন নি!যদি করতেন তাহলে একজন নন-মাহরাম ছেলের কাছে আপনার মেয়েকে পড়তে পাঠাতেন না। আপনি জখন নিজেই সুবিচার করেন নি তাহলে একদল হিংস্রের কাছে আপনি কিসের বিচার আশা করেন?নিজের পরিবার ঠিক করেন না হয় নিজের মেয়ের সাথে সংঘটিত হওয়া অন্যায় গুলোর কারণে!এই মানুষরূপী শিয়াল গুলোর সাথে আপনাদের ও বিচার হবে এবং সেটা হবে আল্লাহর আদালতে। আর আল্লাহর আদালত বড়োই কঠিন।

সাইদুল ইসলাম সজীব
২৩/০৯/২০২২

Leave a Reply