You are currently viewing ব্লাড মুন ও একটি গবেষণা।

ব্লাড মুন ও একটি গবেষণা।

প্রিয় পাঠকগণ ওকটু মনোযোগ দিন,,

পৃথিবী থেকে চাঁদের গড় দূরত্ব  প্রায় ৩,৮৪,৪০০ কিলোমিটার । চাঁদ যখন পৃথিবী থেকে সবচেয়ে বেশি দূরে থাকে তখন তার দূরত্ব হয় ৪,০৬,৩০০ কিলোমিটার।অন্যদিকে চাঁদ যখন পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি কাছে আসে তখন তার দূরত্ব হয় ৩,৫৬,০০০ কিলোমিটার প্রায।

যখন  পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে চলে আসে চাঁদ- তখন চাঁদ১৪ শতাংশ বড় ও ৩০ শতাংশ বেশি উজ্জ্বল হয়।
পৃথিবীর ছায়ায় অবস্থানের কারণে চাঁদ রক্তিম বা রক্তরঙা হয়ে ওঠে একে Blood Super মুন বলে।

ইহুদিরা “সুপার মুনকে” তাদের মা*সিহার আগমনের আলামত মনে করে। তারা বিশ্বাস করে “বড় চাঁদ” তাদের জন্য কল্যাণ বয়ে আনে। আগেই বলেছি তারা দা*জ্জালের অপেক্ষায়। ওল্ডেস্টম্যান গ্রন্থ অনুযায়ী  ব্লাড সুপার  মুন বা লাল বর্ণময় চাঁদ যুদ্ধের ইঙ্গিত  করে ।কিয়ামত নিকটবর্তী হওয়ার আলামত হচ্ছে, চন্দ্র মোটা হয়ে উদিত হবে। বলা হবে এটি দুই দিনের চাঁদ’’। এই বিষয় হাদিস বলে চন্দ্র মোটা হয়ে উদিত হবে।

Blood Super মুন সম্পর্কে তাদের বাইবেল এ যা আছে তারা তাই অনুসরন করে, এমনি একটি verse
“”
আমি আকাশে ও পৃথিবীতে আশ্চর্য, রক্ত, আগুন এবং ধোঁয়ার কলাম দেখাব। প্রভুর মহান ও ভয়ঙ্কর দিনটি আসার আগে যখন  সূর্য অন্ধকারে পরিণত হবে, চাঁদ রক্তে পরিণত হবে। joel 2 – 30/31 

অর্থাৎ এটি Blood Super মুন সম্পর্কে  বলছে ,
তারা ২০১৮ সাল থকে  ফিলিস্তিনে উপর চরা হচ্ছে সুপার মুন আর Blood Super মুন সময়। খেয়াল করছেন কি?

তারা মনে করে এটি যুদ্ধের ইঙ্গিত – আরবের সাথে তাদের এই কারনে মুসলিমদের  উপর আক্রমন করে রক্ত নেয় আস্তাগফিরুল্লাহ ।এমনি – এই বছর প্রথম সুপার Blood মুন ২৬ মে – আরবের সাথে তাদের যুদ্ধের ইঙ্গিত হিসেবে মনে করে। এর আগে ২০১৮ /২০১৯ তারা তাই করেছে ।

যখন ইহুদিদেরকে তাঁদের কৃতকর্মের দরুন পবিত্রভুমি থেকে বহিষ্কার করা হয় তখন আল্লাহ্ তায়ালা বলে দেন যে ইহুদিরা আর পবিত্রভুমিতে প্রত্যাবর্তন করতে পারবেনা যতক্ষন না ইয়াজুজ-মাজুজকে বন্ধনমুক্ত করে দেয়া হয় ব পরকালে ওয়াদা বাস্তবায়িত হওয়ার সময় ,

তারা এখন সেখানে অবস্থান করছে,
আল্লাহর আইনের বিরুদ্ধাচারন করবে, পৃথিবীতে ফেতনা ফ্যাসাদ সৃষ্টি করছে। জেরুজালেমকে রাজধানী ঘোষনা করা অভিসপ্ত ইহুদিদের চুড়ান্ত ধ্বংসের আলামত।
দা*জ্জালের আগমনের ক্ষেত্র তৈরির উদ্দেশ্যে “গ্রেটার ই*সরাইল” গঠনের শেষ এবং চূড়ান্ত ধাপ। ই*হুদিরা বিশ্বাস করে তাদের মাসিহ দা*জ্জাল সমগ্র পৃথিবী শাসন করবে, আর তা আকসা সামনে ডোম অফ রক থেকে

তাই তারা আগমনের সহায়ক দুনিয়া প্রস্তুত করতে উঠেপড়ে লেগেছে। আর নবী (সাঃ) বলেছেন, “যখন জেরুজালেমের উত্থান হবে এবং মদীনার পতন হবে, তখন আসবে মহাযুদ্ধ । ইহা হবে এমন যুদ্ধ যাতে শতকরা ৯৯ জন মৃত্যুবরণ করবে”। [আহমদ ]

আর এখন জেরুজালেমের উথান হতে চলেছে, মদিনা অগুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে । এই সব কিছু মুসলিমদের  সাথে তাদের যুদ্ধ শুরু ইঙ্গিত ,

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসুল (সা:) বলেছেন, “মুসলমানরা ইহুদীদের সাথে যুদ্ধ না করা পর্যন্ত কিয়ামত সংঘটিত হবে না। মুসলমানরা ইহুদীদের হত্যা করবে। এমনকি ইহুদীরা পাথর ও গাছের আড়ালে লুকাবে। তখন পাথর ও গাছ বলবে, হে আল্লাহর বান্দা, এই যে আমার পেছনে এক ইহুদি লুকিয়ে আছে; তুমি এসে ওকে হত্যা করো। তবে ‘গারকাদ’ বলবে না। কেননা, সেটি ইহুদীদের গাছ।” (মুসলিম, ২২৩৯)

সাইদুল ইসলাম সজীব

Leave a Reply