ইহুদিদের চক্রান্ত, দাজ্জাল হত্যা ও মানবতার শত্রুদের নির্মূল ও গারকাদ গাছ।সাইদুল ইসলাম সজীব

আল মুজাম্ম’ ইবনে জারিয়া আনসারি (রঃ) বর্ণনা করেন, আমি রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, “ঈসা ইবনে মারয়াম দাজ্জালকে লূদ এর ফটকে হত্যা করবেন।” (তিরমিজি ২২৪৪)

লুদ তেলআবিব থেকে দক্ষিণ পূর্বে ১৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ছোট একটি শহর। ১৯৯৯ সালে জরিপ অনুযায়ী এই শহরের জনসংখ্যা ৬১ হাজার ১ শো। ইসরায়েল এই আধুনিক শহরে সর্বাধিক নিরাপত্তা সমৃদ্ধ বিমানবন্দর স্থাপন করেছে। হতে পারে যে, দাজ্জাল এখান থেকেই বিমানযোগে পালানোর চেষ্টা করবে (আল্লাহু আ’লাম) এবং এই বিমানবন্দরেই তাকে হত্যা করা হবে। মহান আল্লাহ তায়ালা তার শত্রু ও ইহুদিদের প্রভু দাজ্জালকে ঈসা ইবনে মারয়াম (আঃ) এর হাতে হত্যা করাবেন যাতে সমগ্র বিশ্ববাসী বুঝতে পারে যে, মানবতার বিষফোড়াকে নির্মূল করতে হলে সেগুলোকে দেহ থেকে আলাদা করে ফেলা জরুরি।

রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন

“ততক্ষণ পর্যন্ত কিয়ামাত সংঘটিত হবে না যতক্ষণ পর্যন্ত মুসলিমদের সঙ্গে ইয়াহূদী সম্প্রদায়ের যুদ্ধ না হবে। মুসলিমগণ তাদেরকে হত্যা করবে। ফলে তারা পাথর বা গাছের পিছনে লুকিয়ে থাকবে। তখন পাথর বা গাছ বলবে, ‘ হে মুসলিম! হে আল্লাহর বান্দা! এই তো ইয়াহূদী আমার পিছনে লুকিয়ে আছে। এসো, তাকে হত্যা কর।’ কিন্তু ‘গারকাদ’ নামক গাছ দেখিয়ে দিবে না। কারণ এটা হচ্ছে ইয়াহূদীদের সহায়তাকারী গাছ।” (সহিহ মুসলিম ৭২২৯)

ইহুদিদের বিরুদ্ধে মহান আল্লাহ জড় পদার্থগুলোও বাকশক্তি দান করবেন। শিল্পবিপ্লবের নামে পরিবেশ ধ্বংস করে তারা বনের পর বন উজাড় করে দিয়েছে।
আল্লাহর শত্রু এই জাতিটি যেভাবে বিশ্বকে যুদ্ধের অনুকুন্ডে পরিনত করেছে, তার ক্রিয়ায় পৃথিবী অনু-পরমাণুরও প্রভাবিত হয়েছে। ইসরাইল যখন গোলান পর্বতমালা প্রতিষ্ঠিত করেছে তখন থেকেই ওরা ওখানে গরকাদ বৃক্ষ রোপণ করা শুরু করেছে। এছাড়াও তারা বিভিন্ন স্থানে স্থানে এই গাছটি রোপণ করেছে। এ কথা স্পষ্ট যে, নিশ্চয়ই এই গাছের সঙ্গে (Gharqad tree) তাদের বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে।