You are currently viewing যুগার ঝর্ণা এখন লায়ন ফাউন্টেন!! হাদীসে বর্ণিত ভবিষ্যৎবাণী বন্ধ হয়ে গেছে চাষাবাদ!!যুগার ঝর্ণা সাক্ষী দিচ্ছে দাজ্জাল আগমন অতি নিকটে!!

যুগার ঝর্ণা এখন লায়ন ফাউন্টেন!! হাদীসে বর্ণিত ভবিষ্যৎবাণী বন্ধ হয়ে গেছে চাষাবাদ!!যুগার ঝর্ণা সাক্ষী দিচ্ছে দাজ্জাল আগমন অতি নিকটে!!

যুগার ঝর্ণা এখন লায়ন ফাউন্টেন!! হাদীসে বর্ণিত ভবিষ্যৎবাণী বন্ধ হয়ে গেছে চাষাবাদ!!যুগার ঝর্ণা সাক্ষী দিচ্ছে দাজ্জাল আগমন অতি নিকটে!!

আল্লাহ সুবহানাতায়ালা যখন লুত জাতিকে ধ্বংস করার সিদ্ধান্ত নেন। তখন লুত আলাইহিস সালামকে সে এলাকা ত্যাগ করার নির্দেশ দেন। নির্দেশ অনুসারে,তিনি তার দুই মেয়েকে নিয়ে বর্তমান যুগার এলাকায় চলে আসেন। তার বড় মেয়ে রাব্বা ইন্তেকাল করলে তাকে একটি ঝর্ণার পাশে দাফন করেন। এরপর থেকে সে ঝণার নাম হয় ‘রাব্বা ঝর্ণা।

এরপর ছােট মেয়ে মারা গেলে তাকেও একটি ঝর্ণার পাশে কবর দেন, তার নামের উপর সে ঝড় নামকরণ হয় যুগার ঝর্ণা।এটি মৃত সাগরের পূর্বদিকে অবস্থিত।

মুজা মুল বুলদানের ভাষ্যমতে আগে যে বুহাইরা তাবরিয়ার একমাত্র পানির উৎস গুলান পর্বতের কথা বলা হয়েছ, তার উপরি ভাগের জাবালুশ শায়খ হচ্ছে, গুলান পর্বতের ধারাবাহিকতায় সর্বোচ্চ চূড়া। যার উচ্চতা ৯২৩২ ফুট। এর একপাশে দিয়ে বাইতুল মাকদিস অন্যদিক থেকে সম্পূর্ণ দামেস্ক শহর দেখা যায়। পানির বিবেচনায় জাবালে শায়খ উন্মুক্ত এলাকা। পানির সুবিধার জন্য ভৌগলিক দৃষ্টিকোণ থেকে এসব পর্বত এ অঞ্চলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ!
দাজ্জাল বিসান, বুহাইরা তাবরিয়া ও যুগার ঝর্ণা সম্পর্কে প্রশ্নের কারণ নিয়ে ভাবলে দেখা যাবে, এ-তিনটি পানির উৎসই গুলান পর্বতের সঙ্গে। আর দাজ্জালকে প্রতিহত করতে ঈসা আলাইহিস সালাম ও ইমাম মাহদীর সৈন্যদল

যে ঘাটি করবে বলে হাদিসে বর্ণনা আছে, তা এখানেই হবে! তাই, কেন সে এসব বিষয়ে প্রশ্ন করছে , সম্মানিত পাঠক গন সে বিষয়ে স্পষ্ট বলে আশাবাদী। ! আর ইহুদিরা কেন তা শুকিয়ে ফেলতে চায় তাও স্পষ্ট!

ইহুদি-খৃস্টানরা মনে করে, সামনের বিশ্বযুদ্ধ মিগড প্রান্তরে সংঘটিত হবে। এ-প্রান্তরটিও বুহাইরা তাবরিয়ার সামান্য পশ্চিমে!সম্ভবত এখানেই খৃস্টানদের সঙ্গে সালাহউদ্দিন আইয়ুবি রহিমাহুল্লাহ-এর ক্রসেড যুদ্ধের হিত্তিন পর্বটি ঘটেছিল। যে যুদ্ধে সালাহউদ্দিন আইয়ুবি রহিমাহুল্লাহ খৃস্টানদেরকে পানি থেকে বঞ্চিত করেই অর্ধেক যুদ্ধ জয় করে নিয়েছিলনে। খৃস্টানদের এখানে চরম বিপর্যয় ও পরাজয় ঘটে। আর এতে করে মুসলমানদের সামনে বাইতুল মাকদিসের বিজয়ের দরজা খুলে যায়।

আবার অপর ঘাটি যেখানে দাজ্জাল মুসলমানদের অবরােধ করবে, তাও বুহাইরা তাবরিয়ার দক্ষিণে। বােঝা যাচ্ছে, সামনের সব ঐতিহাসিক জায়গাগুলাে ওই গুলান পর্বতের নিচে অবস্থিত। আর এতে করে ইসরাইল-ফিলিস্তিন বা ইসরাইল-শামকর্তৃক এসব এলাকা নিয়ে মতবিরােধের
কারণ এখন সহজেই বুঝতে পারবেন! কেন ইসরাইল তা হস্তগত করতে চায়!

বিশ্ব কুফরি শক্তির নির্দিষ্ট কী লক্ষ্য এখানে নিহিত? যার কারণে ইসরাইল বিশ্বের সব কুফরি শক্তির সহায়তায় নিরীহ ফিলিস্তিনিদের শেষ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে! একের পর এক ফিলিস্তিনি জনপদ দখল করে বসতি স্থাপন করছে। বিশ্বের নানা সংস্থার নাম ভাঙানাে সমালােচনাকে তারা কানেই তুলতে নারাজ। ভাবে বােঝা যাচ্ছে , তাদের লক্ষ অর্জনে কাউকে তারা তােয়াক্কা করছে না, আবার যারা কিছু বলতে চায়, তাও যেন একপ্রকারের ভনিতা।

আল্লাহ আমাদের বুঝার তৌফিক দিক।

এই সেই যুগার ঝরনা।

Leave a Reply