You are currently viewing খুব কম সময়ের মধ্যে হয়তো বিশ্বের পরিস্থিতি বদলে যাবে। তৈরি হবে নতুন এক মেরুকরণ।তাহলে কি রাসূলের ভবিষ্যদ্বাণী ইসলামের বিজয় আসন্ন।

খুব কম সময়ের মধ্যে হয়তো বিশ্বের পরিস্থিতি বদলে যাবে। তৈরি হবে নতুন এক মেরুকরণ।তাহলে কি রাসূলের ভবিষ্যদ্বাণী ইসলামের বিজয় আসন্ন।

খুব কম সময়ের মধ্যে হয়তো বিশ্বের পরিস্থিতি বদলে যাবে। তৈরি হবে নতুন এক মেরুকরণ।তাহলে কি রাসূলের ভবিষ্যদ্বাণী ইসলামের বিজয় আসন্ন।

আমার ব্যক্তিগত এনালাইসিস মনে হচ্ছে দুই কেন্দ্রিক বিশ্বব্যবস্থা চেঞ্জ হয়ে যাবে। আর এর কেন্দ্রবিন্দু হবে অর্থনৈতিক ইস্যু এবং যুদ্ধ।

সূচনা টা ও সম্ভবত হবে দুই ভাগে। এক বাগ হবে দক্ষিণ এশিয়া।বাকিটা মধ্যপ্রাচ্য কেন্দ্রিক পৃথিবীর সুপার পাওয়ার রাষ্ট্রগুলো। কিন্তু কিভাবে? আসুন মুল আলোচনায় আশা জাক।

করোণা পরবর্তী পৃথিবীর অবস্থা হবে খুবই নাজুক। বিশেষ করে অর্থনৈতিক হুমকিতে পড়বে কোটি কোটি মানুষ।আর এর মধ্যে আগুনে গি ঢালার মত কাজ করবে সিরিজ ভূমিকম্প।ভূমিকম্পের আলোচনায় যাওয়ার আগে আসুন করোনা নিয়ে একটু আলোকপাত করি। প্রতিটি বিপ্লবের আগে আল্লাহ কিছু আসমানি একশন বন্দার কৃতকর্মের ফল স্বরূপ নাজিল করেছে। ইতিহাস যার জ্বলন্ত সাক্ষী।আর এখনকার সময় পূর্বের সকল অপকর্ম কে ছাড়িয়ে গেছে অনেক আগেই। যা আমার আগের অনেকগুলা লেখায় আপনাদেরকে বলার চেষ্টা করেছি। আল্লাহর আজাব আমাদের জন্য কেন অবধারিত তা আপনাদের বলব পরবর্তী কোন এক লেখায়।

কেয়ামতের আগ মুহূর্তে একটি মহামারীর কথা হাদীস শরীফে ইঙ্গিত রয়েছে,যার সাথে করোনার মিল বিদ্যমান।

আউফ ইব্‌নু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি বলেন, আমি তাবুক যুদ্ধে আল্লাহ্‌র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এলাম। তিনি তখন একটি চামড়ার তৈরী তাঁবুতে ছিলেন। আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, ক্বিয়ামাতের আগের ছয়টি নিদর্শন গণনা করে রাখো।
◾আমার মৃত্যু।
◾বায়তুল মুকাদ্দাস বিজয়।
◾আকস্মিকভাবে বকরির মৃত্যু ন্যায় তোমাদের মধ্যে একটা মহামারী ছড়িয়ে পড়বে(হঠাৎ করে মানুষ মরতে থাকবে)।
◾সম্পদের প্রাচুর্য, এমনকি এক ব্যক্তিকে একশ’ দীনার দেয়ার পরেও সে অসন্তুষ্ট থাকবে।
◾অতঃপর এমন এক ফিত্‌না আসবে যা আরবের প্রতিটি ঘরে প্রবেশ করবে।
◾অতঃপর যুদ্ধ বিরতির চুক্তি-যা তোমাদের ও বানী আসফার বা রোমদের মধ্যে সম্পাদিত হবে। অতঃপর তারা বিশ্বাসঘাতকতা করবে এবং আশিটি পতাকা উড়িয়ে তোমাদের বিপক্ষে আসবে; প্রত্যেক পতাকার নীচে থাকবে বার হাজার সৈন্য।’
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৩১৭৬
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস

উক্ত হাদিসের বিশ্লেষণে কিছু মুহাদ্দিসগণ ব্যাখ্যা করেন যে ঠান্ডা জনিত কারনে বকরির পাল এর মধ্যে যেভাবে রোগ ছড়িয়ে পড়ে ঠিক তেমনি ভাবে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়বে‌। এবং হঠাৎ করে প্রচুর মানুষ মারা যেতে থাকবে যেমনটি করোনাভাইরাসও ঠান্ডা জনিত রোগ এবং এটাতে হঠাৎ করে প্রচুর মানুষ সমস্ত পৃথিবীতে মারা যাওয়া শুরু করেছে এখন পর্যন্ত শেষ হয়নি। আর এটা আকস্মিকভাবে ছড়িয়ে গেছে।

প্রিয় পাঠক পূর্বে ও বলেছি এখনও বলতেছি করোনার কারণে মোটামুটি বিশ্বের অনেকগুলো দেশের অবস্থা নাজেহাল এবং এটা পূর্বপরিকল্পিত।ইসরাইলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বক্তব্য গুলো দেখলে আপনারা আরও ক্লিয়ার হবেন। সেখানে সে বলেছে তাদের প্রভু দাজ্জালের আগমন অতি নিকটে। প্রিয় ভাই ও বোনেরা করোনা নিয়ে তাল মাতাল অবস্থায় পৃথিবীতে দেখা দিবে কিছু শক্তিশালী ভূকম্পন।যে ভূকম্পন গুলো শেষ করে দিবে পৃথিবীর সুপার পাওযার রাষ্ট্রগুলির অর্থনৈতিক অবস্থা । ভূকম্পনের কথা কেন বারবার বলতেছি তা নিয়ে আলাদা করে একটি বিস্তারিত লিখা আপনাদের সামনে প্রকাশ করবো। তার পরেও আপনাদের জ্ঞাতার্থে দুটি হাদিস তুলে ধরলামঃ

*রাসুল (সা.) বলেছেন, যে পর্যন্ত না ইলম উঠিয়ে নেওয়া হবে, অধিক পরিমাণে ভূমিকম্প হবে, সময় সংকুচিত হয়ে আসবে, ফিতনা প্রকাশ পাবে এবং খুনখারাবি বাড়বে, তোমাদের সম্পদ এতো বাড়বে যে, উপচে পড়বে।

~ (বুখারি, হাদিস : ৯৭৯)

ইমরান ইবনু হুসাইন (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ভূমিধস, চেহারা বিকৃতি এবং পাথর বর্ষণস্বরূপ আযাব এ উম্মাতের মাঝে ঘনিয়ে আসবে। জনৈক মুসলিম ব্যক্তি প্রশ্ন করল, হে আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম! কখন এসব আযাব সংঘটিত হবে? তিনি বললেনঃ যখন গায়িকা ও বাদ্যযন্ত্র বিস্তৃতি লাভ করবে এবং মদ্যপানের সয়লাব হবে। (জামে’ আত-তিরমিজি ২২১২)

উক্ত হাদিস গুলোর বাস্তব চিত্র এখন সমাজে বিরাজমান যা আপনারা দেখতেছেন।লিখাটি দীর্ঘ হয়ে যাওয়ায় ব্যাখ্যা করলাম না।

জনপদের অধিবাসীরা কি এতই নির্ভয় হয়ে গেছে যে আমার আজাব (নিঝুম) রাতে তাদের কাছে আসবে না, যখন তারা (গভীর) ঘুমে (বিভোর হয়ে) থাকবে!’

~ (সুরা : আরাফ, আয়াত : ৯৭)

উক্ত আয়াত গভীরভাবে লক্ষ্য করে দেখুন আজকে পুরো সমাজব্যবস্থা সুরা তাকাসুর এর আদলে চলতেছে।

এই গেলো ভূমিকম্পের কথা!!এবার আসা যাক মূল পয়েন্টে। প্রিয় পাঠক আমরা যারা আখিরুজ্জামান নিয়ে গবেষণা করি আমরা আপনাদেরকে বারবার বলার চেষ্টা করতেছি কাগজের মুদ্রা দিন শেষ হয়ে যাবে।সেটি এমনি এমনি শেষ হয়ে যাবে না প্রাকৃতিক দুর্যোগ ভূকম্পন এবং অনেকগুলো কারণে , ব্যাংকিং ব্যবস্থা শেষ হয়ে আবারো সেই গোল্ড এর যুগে চলে যাবে গোটা পৃথিবী। এবং ইহুদি নাসারা গোষ্ঠীরা এ বিষয় খুব ভালভাবেই জানে। তাইতো পৃথিবীর সবচেয়ে সোনার মজুদকারী রাষ্ট্রের মধ্যে তারা প্রথম দ্বিতীয় অবস্থান করতেছে। এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সোনা মজুদ করে রেখেছে আমেরিকা।এবং তা মুসলমান রাষ্ট্রগুলো থেকে লুটপাট করা।প্রিয় পাঠক কাগজের মুদ্রার পতন নিয়ে আমি এর আগে একটি দীর্ঘ এবং গবেষণামূলক দালিলিক পোস্ট করেছিলাম যারা পড়েননি তারা কমেন্ট করতে পারেন।লেখাটি পড়লে আশা করি আপনারা মোটামুটি একটা ধারণা পাবেন।

জালেমদের প্রথম পতন শুরু হবে ফুরাত নদী কেন্দ্রিক।গোটা পৃথিবীর অর্থনৈতিক যখন তাল মাতাল অবস্থায় থাকবে তার,ঠিক সে মুহূর্তে খবর বের হবে ফুরাতে সোনার খনি পাওয়া গেছে।যা দখলে নেওয়ার জন্য যুদ্ধে জড়িয়ে যাবে পৃথিবীর অনেকগুলি রাষ্ট্র।খেয়াল করে দেখুন আল্লাহ সুবহানাতায়ালা অলরেডি তাদের ফোরাতের তীরে একত্রিত করেছেন।

হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী করীম (সাঃ) বলে,ন, “কেয়ামত সংঘটিত হবেনা, যতক্ষণ না ফোরাত নদী থেকে স্বর্ণের খনি প্রকাশ হবে। স্বর্ণদখলের লোভে সবাই সেখানে যুদ্ধ করতে থাকবে। ৯৯% লোক ই সেই যুদ্ধ সেখানে নিহত হয়ে যাবে। বেঁচে থাকা প্রত্যেকেই -আমি-ই শুধু বেঁচে আছি- মনে করবে।”
(সহীহ মুসলিম: ৭৪৫৪)

অপর বর্ণনায়, নবী করীম (সাঃ) বলেন, “তোমাদের মধ্যে যারা তখন বেঁচে থাকে, কেউ যেন ওখান থেকে কিছু গ্রহণ না করে।”
(সহীহ বুখারী : ৬৭০২, সহীহ মুসলিম : ৭৪৫৬)

দ্বিতীয় হাদিসটি লক্ষ্য করুন আল্লাহর রাসুল ঈমানদারদের এ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করার জন্য নিষেধ করেছেন।কারণ টা প্রথম হাদিসে বলা আছে।কিন্তু ঈমানদারদের সংখ্যা খুবই নগণ্য।শেষ জামানায় ঈমানদার হওয়া হাতে জ্বলন্ত অঙ্গার রাখার মত অবস্থা।এমন পরিস্থিতিতে খুব কম সংখ্যক লোকই এ যুদ্ধ অংশগ্রহণ করবে। তুরস্কের মতো রাষ্ট্র ওই যুদ্ধে অংশগ্রহণ করবে বাকি রাষ্ট্রের কথাগুলো নাই বললাম।পরিশেষে কি হবে সেটা হাদিসে বলা আছে। অর্থের লোভে ধ্বংসের প্রথম পর্যায়ে যাবে পৃথিবী সুপারপাওয়ার রাষ্ট্রগুলো।এবং দুর্বল এবং মাজলুমের দে-শ,যে দেশ থেকে বের হওয়ার কথা ইমাম মাহাদীর!! আল্লাহ তাদের ওই যুদ্ধে অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত রাখবেন।কারণ ওখান থেকে শুরু হবে বিপ্লবের প্রথম সূচনা,অলরেডি হয়ে গেছে।জ্ঞানীদের জন্য ইশারাই যথেষ্ট।

ভাবতেই অবাক লাগে অর্থনীতিতে বিধ্বস্ত রাষ্ট্রটি হবে একসময়ের সুপারপাওয়ার রাষ্ট্র।ধ্বংস হয়ে যাবে আমেরিকা, ব্রিটেন, রাশিয়ার, অর্থনীতিতে সমৃদ্ধশালী রাষ্ট্রগুলি। আপনি বিশ্বাস করেন আর নাই, করেন। এমনটাই হবে ইনশাআল্লাহ।

প্রথম পর্বের লেখার সারমর্ম হল!আমরা অপেক্ষা করতেছি!!ভূমিকম্প, প্রাকৃতিক দুর্যোগ,করোনার ভয়ঙ্কর রূপ,এবং দুর্ভিক্ষ,যার চূড়ান্ত ধাপ দেখবেন ফুরাত নদী কেন্দ্রিক।

কি কিছু বুঝতে পেরেছেন??

আজ আমি আপনাদেরকে জানালাম ২ কেন্দ্রিক মেরুকরণের প্রথম অংশের কথা।দ্বিতীয় অংশ তথা দক্ষিণ এশিয়ার কথা বলব আগামী পর্বে!!

প্রিয় ভাইয়েরা আমি কোন ভবিষৎবাণী করতেছিনা রাসুলের হাদিস থেকে গবেষণা করে আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করতেছি। আমার ভুল হতেই পারে কারণ আমি মাখলুক। অবশ্যই নির্দিষ্ট সময়ের জ্ঞান শুধুমাত্র আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে

This Post Has One Comment

  1. shahnaj

    a bloge imam mahdi dajjal colame dajjali mudra bebostha neye akta likha ace oita poren

Leave a Reply