ঢাকায় আমি কেয়ামতের আলামতের দৃশ্য দেখি!!
অস্বাভাবিক ঘটনাগুলো স্বাভাবিক হয়ে যাওয়া কেয়ামতের আলামত!! আপনি ঢাকায় ঠিক তেমনটাই দেখবেন যা অস্বাভাবিক, সেগুলো আজ আমাদের চারপাশে স্বাভাবিক ঘটনা হয়ে গেছে। বিশেষ করে ঢাকা শহরে।
ঢাকায় প্রতিটি সফরে আমার জন্য বেশ চিন্তার খোরাক যোগায়। দিন দিন যেন ধর্মহীন একটা শহর রূপান্তরিত হচ্ছে ঢাকা শহর। সবাই যে একেবারে ধর্মহীন তা বলছিনা, ভালো লোক তো অবশ্যই আছে। পৃথিবীর ইতিহাসে যে কয়টি রাষ্ট্র সবচেয়ে অপকর্ম বেশি চলে যেমন ব্রাজিল, আমেরিকা এবং এশিয়া মহাদেশের ইন্ডিয়া। এভাবে যদি হিসাব করি!! আমাদের দেশে সবচেয়ে অপকর্ম যে শহরটিতে বেশি চলে তা হলো রাজধানী ঢাকা।
নিঃসন্দেহে এখন পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বিপর্যয় অবস্থা চলতেছে। নৈতিকতা, মানবিক মূল্যবোধ সামাজিকতা, ধর্মীয় জ্ঞান একদম উঠে গেছে।পৃথিবীর শুরু থেকে যতগুলো ফেতনা পৃথিবীতে এসেছে তার চেয়ে বিপর্যয়কর অবস্থা এখন বিরাজমান।
সমকামিতা, পতিতাবৃত্তি, ধর্ষণ , ফ্রি মিক্সিং, ধর্ষণ,পর্নোগ্রাফির মত মানববিধ্বংসী ধারালো অস্ত্র আজ উম্মাহর যুবকদের ক্ষত-বিক্ষত করে দিচ্ছে।এসব কিছু অনেক আগ থেকে মধ্যপ্রাচ্যসহ আমাদের এশিয়ার ইন্ডিয়াতে চলমান। এখন খোদ দেশের রাজধানী ঢাকাতেও অহরহ ঘটছে। আজ যেন কোনোটার অভাব নেই। সমকামিতা, পতিতাবৃত্তি, , ফ্রি মিক্সিং, সব ধরনের অপকর্ম আছে সব ঢাকা শহরে, এবং খুব সহজলভ্য।
তালাকের শীর্ষে ঢাকা শহর এগিয়ে, পর্দা ঢাকা শহরে আইসিইউতে আছে। বোনেরা বের হচ্ছে তো হচ্ছেই পর্দাহীন হয়ে বুকে ওর্নার কোন লাগাম নেই!! বক্ষদেশ উন্মুক্ত করে,যেন ঈমান বিধ্বংসী জ্বলন্ত অঙ্গার গুলি রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। আর এই অঙ্গার গুলি বর্ষ করে দিচ্ছে ইসলাম পালন করার চেষ্টা করা উম্মার যুবসমাজকে।
এবারের ঢাকা সফরটা ছিল এলাকার প্রিয় ভাই উদ্দিন ভাইয়ের সাথে।বাসে বসে খেয়াল করলাম, পাঠাও মোটরসাইকেল গুলোতে বোনেরা অবাধে চলাফেরা করতেছে।একজন পুরুষের পিছনে একজন মহিলা গায়ে মাখামাখি করে বসাটা রীতিমতো ধর্মীয় ভাবে অস্বাভাবিক।কিন্তু ঢাকা শহরে তা নিতান্তই স্বাভাবিক ঘটনা।যদিও এমন ঘটনা অনেক আগ থেকেই দেখতেছি।
পাশে থাকা ভাইটিকে বললাম ভাই দেখছেন মেয়ে গুলো কিভাবে অবাধে পাশাপাশি বসে, চেনা নেই জানা নেই, অচেনা পুরুষের সাথে বাইকে চলাফেরা করতেছে।কোন প্রকার তোয়াক্কা না করেই বক্ষদেশ উন্মুক্ত করে! চলছে তো চলছেই মনে হয় ধর্মীয় মূল্যবোধের ছিটেফোটাও তাদের মাঝে নেই।
পাশে থাকা ভাই উত্তর দিলো এগুলো এখন স্বাভাবিক ঘটনা ভাই।জি ভাইটি সঠিক বলছে, কারণ অস্বাভাবিক ঘটনা গুলো স্বাভাবিক হয়ে যাওয়ায় তো কেয়ামতের আলামত। আর আমাদের দেশে এটার শীর্ষে আছে ঢাকা শহর। ফ্রি মিক্সিং, অধিকাংশ মেয়ে ওড়না ছাড়া চলাফেরা, পতিতাবৃত্তিতেও ডাকা সহর এদেশের সবার চেয়ে এগিয়ে!আপনি খুব সহজেই আপনার মনের খায়েশ মেটাতে পারবেন, যদি আপনার পকেটের টাকা থাকে।টাকা ছিটিয়ে দিবেন আর সকল অপকর্ম আপনার পায়ের তলায় এসে উপস্থিত হবে।
ডিভোর্সের শীর্ষে ঢাকা শহর, আছে সমকামিতাকে রিপ্রেজেন্ট করা কয়েকটি সংগঠন,এবং তাদের কার্যক্রম।বাদ্যযন্ত্র গান-বাজনার সয়লাব ঢাকা শহরে, প্রাচুর্যের উৎকর্ষতা আপনার চোখকে বোকা বানিয়ে দিবে।এখানে কেউ হয় কোটিপতি আবার কেউ হয় সর্বহারা।
ধরুন একটা দ্বীনদার অবিবাহিত ছেলে ঢাকা শহরে এসেছে !! যেখানে ফ্রি মিক্সিং, সহজলভ্য যৌনতা, মেয়েদের বক্ষদেশ উন্মুক্ত করে অবাধ চলাফেরা, পোশাক-পরিচ্ছেদ পরার পরে উলঙ্গ নারীরা, মাদকতা, প্রযুক্তির উৎকর্ষতা, পর্নোগ্রাফি, ছেলে মেয়ের অবাধ চলাফেরা!!এত কিছু থাকার পরেও ঐ শহরে একজন প্রাক্টিসিং ইসলাম পালন করা তরুণ যুবকের জন্য কতটুকু নিরাপদ আপনাদের কাছে প্রশ্ন রইল?
এটা শুধু ঢাকা শহরের কথা বললাম কিন্তু বিশ্বের অবস্থা এটার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি খারাপ। অতএব বলার অপেক্ষা রাখে না!! আমরা বেশ কিছু শক্তিশালী ভূকম্পন এর অপেক্ষায় আছি!! যে ভূকম্পন তছনছ করে দিবে প্রাচুর্যের জৌলুস এবং উন্মাদনার, নষ্ট ভ্রষ্ট উন্মাদ মানুষদের।যাদের ইতিমধ্যেই অন্তরে মোহর পড়ে গেছে।
ইমরান ইবনু হুসাইন (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ভূমিধস, চেহারা বিকৃতি এবং পাথর বর্ষণস্বরূপ আযাব এ উম্মাতের মাঝে ঘনিয়ে আসবে। জনৈক মুসলিম ব্যক্তি প্রশ্ন করল, হে আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম! কখন এসব আযাব সংঘটিত হবে? তিনি বললেনঃ যখন গায়িকা ও বাদ্যযন্ত্র বিস্তৃতি লাভ করবে এবং মদ্যপানের সয়লাব হবে। (জামে’ আত-তিরমিজি ২২১২)
শেষ কথা!!
আমরা কয়েকটি শক্তিশালী সিরিজ ভূকম্পনের নিকট সময় অবস্থান করতেছি। যা ধ্বংস করে দিবে পৃথিবীর সাম্রাজ্যবাদী অশ্লীল নগরীকে। ঢাকা কিংবা নয়াদিল্লি, কিংবা যুক্তরাষ্ট্র, কোন জায়গায় বাকি থাকবে না। উদ্ধারকাজ চলমান অবস্থায় আবারো ভূকম্পন,এমন হৃদয়বিদারক ঘটনার অপেক্ষায় বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ।
আল্লাহ মুমিনদের হেফাজত করুন।
