অচেনা দুটি হৃদয়। নির্জনতার চাদরে আবৃত এক রজনীতে একত্রিত হওয়া। কেমন অদ্ভুত!
তাইনা? শুধু একটু কথাবার্তা হয়েছিলো একটু পরিচিতির জন্য কয়েক দিন পূর্বে। তারপরেই তো বিয়ের ব্যস্ততা।
আজ দ্বিতীয়বার দেখা । কবুল শব্দ দিয়ে শুরু হয়েছে নতুন জীবনের, নতুন করে পথ চলা।
কিছুদিন পর।
একে অপরেকে ছাড়া থাকতে না পারা। অপেক্ষায় থাকা।কখন আসবেন তিনি?ফোনের পর ফোন। বিচলিত হয়ে ঘরের মেঝোতে পায়চারি করা । এত রাত হলো কেন আসছেন না এখনো ?হঠাৎ দরজায় ওপার থেকে সালামের শব্দ ।সস্তির শ্বাস ফেলে, দরজা খুলেই বুকে মাথা রেখে ঢুকরে কেঁদে দিয়ে বলা,,
কোথায় ছিলেন আপনি? এত দেরি করলেন কেন? হুম,,বলেন,, এত দেরি করলেন কেন?পরবর্তীতে আর দেরি করবেন না কিন্তু।
কোথায় ছিলেন আপনি? এত দেরি করলেন কেন? হুম,,বলেন,, এত দেরি করলেন কেন?পরবর্তীতে আর দেরি করবেন না কিন্তু।
আচ্ছা আচ্ছা আর করবোনা। এখন একটু কান্না থামাও।আমি তো এসেছি। আর তুমি কান্না করছো কেন?তোমার নেত্রের নোনা জল তো আমি দেখতে অভ্যস্ত হতে চাইছিনা। নোনা জলের ঐ স্থানে কাজলেই বেশ মানায়। আর কান্না করোনা তো।চলো,, এখন খেয়ে দেয়ে অনেক গল্প করবো। বাহিরের চাঁদের হাসিটাও আজ বেশ লাগছে।
হুম,,,ঢং কতো,,, রাত কত বাজে? এখন উনি চাঁদের হাসি নিয়ে আছে!
কেউ যদি রেগে থাকে তাহলে কিন্তু!
কিন্তু কি? বলেন!!
কিন্তু কিন্তু করতে করতে
হটাৎ বৃষ্টি।
অমনিই ছন্দ শুরু
বৃষ্টিতে তোমার হাত ধরে,
ভিজতে ইচ্ছে হয়।
ইচ্ছে হয় তোমাতে থেকে,
করবো দুঃখকে জয়।
হাসি- খুশির আড়ালে
তোমাতে লুকিয়ে যেতে মন চাই।
ঐ নীল আকাশ যেমন,
মেঘমালার আড়ালে লুকিয়ে রয়।
তেমনি ইচ্ছে হয়,
তোমার কাজল কালো চোখে,
চোখ রেখে আমি লুকিয়ে যাই
কে গো তুমি ওহে মহিলা!””
তুমি আমার প্রিয়তমা নও।
এটা বলা মাত্রই।
দাঁড়ান দাঁড়ান আপনার ছন্দতে ফুলস্টপ দেন।”” তুমি আমার প্রিয়তমা নও””। তাহলে কে আমি?
আমি তো তাহা জানিনা।
থাক থাক জানতে হবে না আপনার।
ওরে বাবা!”!
আমি বাবা না আপনার। বুঝেছেন?
কিছুক্ষন পিনপতন নিরবতা।
তারপর,,,
ঐ দেখো কি রকম মুখ ফুলিয়ে আছে।
কি থেকে কি যে হয়ে গেলো।
বলছি, বলছি
তুমি হলো আমার,,,,,,,,,
বলেন, বলেন, কে আমি ?
বলছি,,,,,,,,, তুমি হলো আমার জান্নাতের সাথী হবে ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ আমাদের কবুল করুক আমিন!
সুম্মা আমিন!!
মুখ ঢেকে হাসিতে হাসিতে কহিল সে।আপনি কেন এত ভালো?বলেন তো?
হালাল সম্পর্কগুলি সত্যিই বরকতময় এবং শান্তির।