You are currently viewing দরজায় কড়া নাড়ছে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ মালহামা তুল কুবরা। পর্বঃ০২

দরজায় কড়া নাড়ছে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ মালহামা তুল কুবরা। পর্বঃ০২

প্রিয় পাঠক আশা করি গত পর্বে আপনাদের কে বেসিক কিছু ধারনা দিতে পেরেছি।আস্তে আস্তে আপনাদের বিষয়গুলো বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করবো। চলুন দ্বিতীয় পর্বে যাই।

জিহাদের ময়দান থেকে পালানো সাতটি কবীরা গুনাহর একটি। “ মুবিক” অর্থ এমন কিছু যা পূর্বের সব আমল ধ্বংস করে দেয়। তাই আপনি সারা জীবন আল্লাহ-র আনুগত্য করার পর যদি মাত্র একটি যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পালিয়ে যান, তাহলে আপনি আপনার পূর্বের সকল আমল হারাবেন। সুতরাং আল্লাহ্‌ এই একতৃতীয়াংশের তাওবাহ কখনো কবুল করবেন না। “এবং এই বাহিনীর এক-তৃতীয়াংশ নিহত হবে, এবং তাঁরা হবে আল্লাহ-র নিকট শ্রেষ্ঠ শহীদ” “এবং অবশিষ্ট এক তৃতীয়াংশ বিজয় লাভ করবে

রাসূলুল্লাহ [সাল্লাললাহু ওয়ালাইহী ওয়া সাল্লাম] বলেছেন – এই এক তৃতীয়াংশ বিজয় লাভ করবে এবং কোন ফিতনাই তাঁদের দমাতে পারবে না। রাসূলুল্লাহ [সাল্লাললাহু আলাইহী ওয়া সাল্লাম] বলেছেন- “এবং তাঁরা অগ্রসর হবে যতক্ষণ পর্যন্ত না তাঁরা কনস্টান্টিনোপল জয় করবে”। কনস্টান্টিনোপল হল ইস্তামবুল। অর্থাৎ ইস্তাম্বুল দু’বার বিজিত হবে। প্রথম ইস্তাম্বুল বিজিত হয়েছিলো মুহাম্মাদ আল ফাতীহ-এর সময় এবং আবার বিজিত হবে, নতুন করে আল মালহামার সময়। অর্থাৎ আস শাম পর্যন্ত সব এলাকা রোমানদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে। ইতিমধ্যেই সেখানে পশ্চিমাদের আর্মি বেইস আছে। শুধু সেখানেই না, সব জায়গাতেই তাঁদের আর্মি বেইস ছড়িয়ে আছে। তো মুসলিমরা যখন কনস্টান্টিনোপল জয় করবে এবং গানীমাহ ভাগাভাগি করতে থাকবে। তখন তাঁরা একটি কন্ঠ শুনতে পাবে যা ঘোষণা করবে মাসীহ আদ-দাজ্জালের আবির্ভাব ঘটেছে, তাই তাঁরা আবার আস শামে ফিরে যাবে এবং সেখানে গিয়ে বুঝতে পারবে ঘোষণাটা মিথ্যা ছিল। এটা হবে একটা মিথ্যা গুজব। কিন্তু তখন ঈসা বিন মারইয়াম [আলাইহিস সালাম] অবতরন করবেন এবং এই সময়েই আদ-দাজ্জাল আবির্ভূত হবে এবং ঈসা [আলাইহিস সালাম] নিজ হাতে তাঁকে হত্যা করবেন [সাহীহ মুসলিম, কিতাব ৪, হাদীস নং ৬৯২৪]

অন্য আরেকটি হাদিসে রাসূলুল্লাহ [সাল্লাললাহু আলাইহী ওয়া সাল্লাম] বলেছেন- “একটা সময় আসবে যখন ইরাক চারদিক থেকে অবরুদ্ধ হবে এবং অবরোধকারীরা কোন অর্থ বা খাবার ইরাকের অভ্যন্তরে ঢুকতে দেবে না”। সাহাবারা রাসূলুল্লাহ [সাল্লাললাহু ওয়ালাইহী ওয়া সাল্লাম] কে জিজ্ঞেস করলেনঃ “এই লোকেরা কারা যারা ইরাক অবরোধ করবে?

”রাসূলুল্লাহ [সাল্লাললাহু আলাইহী ওয়া সাল্লাম] বললেন- “আল আযম”। আল আযম বলতে অমুসলিম, অনারবদের বোঝানো হয়, আল-আযম – হল তাঁরা যারা আরবী বলতে পারে না। সুতরাং অনারবরা এই নিষেধাজ্ঞা ও অবরোধ জারি করবে এবং রাসূলুল্লাহ [সাল্লাললাহু আলাইহী ওয়া সাল্লাম] বলেছেন- “এবং তারপর আস-শাম”…সিরিয়া, জর্ডান, ফিলিস্তিন এবং লেবানন আস-শামের অন্তর্ভুক্ত এবং এর কেন্দ্র হল জেরুসালেম, ফিলিস্তিন, এটাই হল আস শামের কেন্দ্রবিন্দু। ভুলবশত আস শামকে শুধু সিরিয়া হিসেবে অনুবাদ করা হয়, কিন্তু এই পুরো অঞ্চলটা মিলে আস শাম, এবং এর কেন্দ্রে আল কুদস। রাসূলুল্লাহ [সাল্লাললাহু আলাইহী ওয়া সাল্লাম] বলেছেন- আস শাম একটি অবরোধ এর মধ্যে দিয়ে যাবে। যার ফলে কোন খাবার অথবা অর্থ সেখানে প্রবেশ করতে পারবে না। সুতরাং সাহাবারা জিজ্ঞেস করলেন – “ এর জন্য কারা দায়ী হবে”। রাসূলুল্লাহ [সাল্লাললাহু আলাইহী ওয়া সাল্লাম] জবাব দিলেন – “আর রুম” – রোমানরা। এবং তারপর রাসূলুল্লাহ [সাল্লাললাহু আলাইহী ওয়া সাল্লাম] বললেন – আমার উম্মাহর মধ্যে একজন খলীফা থাকবে যে হিসাব ছাড়াই মানুষের মাঝে অর্থ-সম্পদ বিলিয়ে দেবে। আপনারা প্রশ্ন করতে পারেন, আর রুমের আলোচনায় কেন আমি এই হাদিসটি বর্ণনা করছি। কারণ হল, প্রথমত এই মুহুর্তে ইরাক একটি নিষেধাজ্ঞা এর মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এই অবরোধ জারি করেছে জাতিসংঘ। অর্থাৎ এর জন্য শুধু রোমানরা দায়ী না, দায়ী সবাই। কিন্তু তারপরেই রাসূলুল্লাহ [সাল্লাললাহু আলাইহী ওয়া সাল্লাম] বলেছেন – “আস শামের উপর আরেকটি নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে” এবং এটা করবে রোমানরা। অনেক উলামা আছেন যারা মনে করেন, ইরাকের বর্তমান ঘটনাপ্রবাহ হল আল মালহীমের সূচনার ভূমিকা, কারণ এর শুরুটা হয়েছে ইরাকের মাধ্যমে এবং তারপর এটা সিরিয়ার দিকে অগ্রসর হবে, এবং আমরা দেখতে পাচ্ছি আমরা আল মালাহীম নামের এই যুদ্ধগুলোর দিকে এগিয়ে যাচ্ছি, আল্লাহু আলাম, এই সবই অনুমান, আমরা এ ব্যাপারে শতভাগ নিশ্চিত হয়ে কিছু বলতে পারবো না।

কিন্তু ইরাকে এখন যা হচ্ছে সেটা নিয়ে প্রত্যেক মুসলিমের উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত, কারণ এটাই হয়তোবা উম্মাহর জন্য একটি অত্যন্ত কঠিন পরীক্ষার শুরু।

This Post Has 2 Comments

  1. Farhana

    😭

  2. আলহামদুলিল্লাহ

    প্রথম কাজ হচ্ছে ইমান কে আরো আরো মজবুত করতে হবে । যাতে কারে হাজার হাজার লাশ এবং রক্ত ও অত্যাচার এর মধ্যে আমরা যুদ্দ থেকে পালিয়ে না যাই।

Leave a Reply