আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আমাদের জানিয়েছেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আয়েশা যেখানে মুখ লাগিয়ে পানি পান করেছেন, সে জায়গায় মুখ লাগিয়ে পানি পান করতেন, গোশতের টুকরোতে যেখানে আয়েশা খেয়েছেন, ঠিক ওখানে তিনিও কামড় দিতেন।
ব্যাপারটা খেয়াল করেছেন? প্রেমের ব্যাপারটা নয়, আখলাকের ব্যাপারটা। এমন না যে হাদিসে আছে স্ত্রীকে আদেশ দিয়েছেন, আমাকে পানি পান করাও, তারপর ওই স্থান থেকে তুমিও পান করো, অথবা নিজে খেয়ে তারপর স্ত্রীকে খাইয়েছেন।
সুবহানাল্লাহ, কত উত্তম স্বভাব! তিনি প্রথমে পানিটা স্ত্রীকে পান করতে দিয়েছেন। এদিকে সাহাবাদেরকেও বলেছেন, তোমার স্ত্রীকে তুমি যে লোকমা মুখে তুলে খাইয়ে দিবে তার বিনিময়েও সওয়াব পাবে।
আর আমাদের সমাজের কোথাও কোথাও এখনো পুরুষ খাওয়ার আগে স্ত্রীদের খাওয়ার উপায় নেই, চাই সে স্ত্রী গর্ভবতী হোক না কেন!
লেডিস ফাস্ট এই রেস্পেক্ট কি আপনার নিজের বউকে দেয়া যায় না? নবীজি পড়ে গেছেন স্ত্রীসহ, এক সাহাবি দৌড়ে গেছেন, তিনি বললেন, আগে তাকে দেখো।’ সুবহানাল্লাহ, আমি পরে, আমার ওয়াইফকে আগে দেখো। এইরকম কেয়ার, এইরকম প্রায়োরিটি যে মানুষ তাঁর স্ত্রীকে দিয়ে থাকেন তার সংসার সুখের না হয়ে যাবে কোথায়!
এমন স্বামীর জন্য মেয়েরা জানপ্রাণ দিয়ে দিবে ইনশাআল্লাহ। অবশ্য ফ্যান্টাসিতে ভোগার দরকার নেই। স্ত্রী জানপ্রাণ নাও দিতে পারে, আবার স্বামীও এমন না হতে পারে। তাতে কি হাল ছেড়ে দিলে চলবে? একসাথে বসবাসের নিয়ত থাকলে একপক্ষ অন্যরকম হলে অন্যপক্ষ চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। একদিন না একদিন ফলাফল মিলবে ইনশাআল্লাহ।
মাজিদা রিফা