মোরা শেষ জামানার শেষ স্টেশনে। আর এই জামানাতেই
ঘটবে বড় বড় সব অলৌকিক ঘটনা।সূত্রপাত হবে ৩য়
বিশ্বযুদ্ধের। লন্ড-ভন্ড হয়ে যাবে পৃথিবীর অধিকাংশ
জিনিস। ইমাম মাহদী আসবেন, দাজ্জাল বের হবে,হযরত ঈসা
(আঃ) আসবেন,ইয়াজুজ-মাজুজ আসবে,দাব্বাতুল আরদ মাটির বুক
চিরে জমিনের বুকে বের হয়ে আসবে! অথচ আজকের এই বিশ্বের ৭৫০ কোটি মানুষের মধ্যে আমরা কয়জন জানি এই ব্যাপারটা? আর কয়জনই বা জেনেও বিশ্বাস করি?!ধরে নিন আমরা ইতিমধ্যেই ৩য় বিশ্বযুদ্ধে পা দিয়ে ফেলেছি! উদাহরণ চান? তাহলে দিচ্ছি- ( “ইরাক” “লিবিয়া” ইয়েমেন” “সিরিয়া” ফিলিস্তিন” “মিয়ানমার” চীন”) এই দেশগুলোর দিকে তাকিয়ে দেখেন!
খোঁজ নিয়ে দেখেন কিভাবে ইরাকে রাতের অন্ধকারে বাসার
ভেতরে ঢুকে একই পরিবারে ৭/৮ জন কে জবাই করে ফেলা
হচ্ছে! খোঁজ নিয়ে দেখেন ইয়েমেনে খাদ্যের অভাবে প্রতিদিন মারা যাচ্ছে কত শত শত মুসলিম! খোঁজ নিয়ে দেখেন সিরিয়ায় কিভাবে বোমা মেরে ধ্বংস করে ফেলা হচ্ছে পুরো শহরকে! খোঁজ নিয়ে দেখেন ফিলিস্তিনের মুসলিমদের কিভাবে প্রতিদিন গুলি করে হত্যা করছে ইসরায়েলের
সৈন্যরা!খোঁজ নিয়ে দেখেন প্রায় ২০ লাখের বেশি মুসলিম
বন্দী করে নির্যাতন চালাচ্ছে চীন!
এরকম হওয়ারই কথা ছিলো কেনো জানেন?হাদিসের বর্ণনা
অনুযায়ী বিশ্বের বুকে মুসলমানরা যখন চরমভাবে মার খেতে থাকবে, দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাবে তখনই আল্লাহর খলিফা
“ইমাম মাহদী” আসবেন আমাদের মাঝে। মহা যুদ্ধে-যুদ্ধে
কাটবে সামনের দিনগুলো। যার মধ্যে অন্যতম যুদ্ধ হবে
“গাজওয়াতুল হিন্দ”
বিশ্বের বুকে বের হয়ে আসবে মিথ্যুক দাজ্জাল!চারদিকে
ফেতনার বন্যা বয়ে যাবে।অজ্ঞানী,মূর্খ এবং দাজ্জাল সম্পর্কে জানার জ্ঞানের অভাবে অনেক মানুষ পথভ্রষ্ট হবে। একটা কথা ভালোমত মাথায় রাখুন, দাজ্জাল যখন বের হবে সেই সময়টায়তে কিন্তু মানুষ দাজ্জালের আলোচনা করতে ভুলে যাবে সুতরাং আগে থেকেই এসব বিষয় নিজে জানুন,অন্যকে জানিয়ে দিন। এসব আমার কথা না, আল্লাহর রাসূল (সাঃ) নিজে ইমাম মাহদীর আগমনের সুসংবাদ দিয়ে গেছেন সুতরাং এখানে
অবিশ্বাস কিংবা সন্দেহের কিছুই নাই। সময় খুবই কম আমাদের বিশ্বাস করেন!নিজেকে ফেতনার যুগ থেকে হেফাজত করতে এখন থেকেই প্রস্তুত হন, নয়তো পরে আফসোস করবেন।