You are currently viewing শাহ নিয়ামাতুল্লাহ কাসীদা বিস্ময়কর ভবিষ্যৎ বাণী, জালিম শাসকদের মুখোশ উম্মোচন।

শাহ নিয়ামাতুল্লাহ কাসীদা বিস্ময়কর ভবিষ্যৎ বাণী, জালিম শাসকদের মুখোশ উম্মোচন।

প্রধানমন্ত্রী উনি সহো , ,, অনেক শাসক কে নিয়ে,,, বিগত 800 বছর আগের করা ভবিষ্যৎবাণী, ও
নির্বাচন নিয়া যারা হতাস তারা পড়তে পারেন
।বিশেষ করে ৩৫ নং লাইন থেকে।
কাসীদায়ে শাহ নিয়ামাতুল্লাহ রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার ভবিষ্যৎবাণী | ভারতীয় উপমহাদেশের পরিস্থিতি এবং গাজওয়াতুল হিন্দ

ওলী আল্লাহগণ মহান আল্লাহ পাক প্রদত্ত কাশফ, ইলহাম ও ইলমে লাদুন্নী দ্বারা অনেক ঘটনার বর্ণনা ও ভবিষ্যৎবাণী করে থাকেন। যেমন দ্বাদশ হিজরী শতাব্দীর মুজাদ্দিদ ও ভারতীয় উপমহাদেশের ইলমী জনক শাহ ওয়ালিউল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহলভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার ইলহামী ইলম দিয়ে বিখ্যাত গ্রন্থ “সাওয়াতিউল ইলহাম” রচনা করেন।

ঠিক সেই ধারাতে আজ থেকে প্রায় ৮৬০ বছর আগে হিজরী ৫৪৮ সাল মোতাবেক (১১৫৮ সালে খ্রিস্টাব্দে) হযরত শাহ নিয়ামাতুল্লাহ রহমাতুল্লাহি আলাইহি এই ভবিষ্যৎবাণী সম্বলিত কাসীদা শরীফ রচনা করেন।

এই সম্মানিত কাসীদা শরীফ লিখার পর থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত প্রতিটি ভবিষ্যদ্বানী হুবহু মিলেছে বিন্দুমাত্র ব্যবধান হয়নি। ব্রিটিশ বড় লাট লর্ড কার্জনের শাসনামলে (১৮৯৯-১৯০৫) এই পবিত্র কাসীদা শরীফ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।

এই কাসীদা শরীফে মোট ৫৮ টি প্যারা আছে, যার মধ্যে প্রথম ৩৬ টি প্যারা হুবহু মিলে গেছে এবং বাকী ২২ টি প্যারা আগামীতেও হুবহু মিলে যাবে যার ইঙ্গিত বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও গাজওয়াতুল হিন্দ সম্পর্কিত পবিত্র হাদীস শরীফগুলিতে পাওয়া যায়।

তাই ৩৭ নম্বর প্যারা থেকে বিশেষভাবে খেয়াল করবেন।

১)

পশ্চাতে রেখে এই ভারতের অতীত কাহিনী যত
আগামী দিনের সংবাদ কিছু বলে যাই অবিরত।

মন্তব্যঃ– এখানে তৎকালীন সময় অনুযায়ী “ভারত” বলতে ভারতীয় উপমহাদেশ বুঝতে হবে।

২)

দ্বিতীয় দাওরে হুকুমত হবে তুর্কী মুঘলদের
কিন্তু শাসন হইবে তাদের অবিচার যুলুমের।

মন্তব্যঃ– দ্বিতীয় দাওর = ভারতীয় উপমহাদেশে মুসলিম শাসনের দ্বিতীয় অধ্যায়। শিহাবুদ্দীন মুহম্মদ গওহরী (ঘোরী) রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার আমল (১১৭৫ সাল) থেকে সুলতান ইব্রাহীম লোদীর শাসনকাল (১৫২৬ সাল) পর্যন্ত প্রথম দাওর। এবং সম্রাট বাবর শাসনকাল (১৫২৬ সাল) থেকে ভারতীয় উপমহাদেশে মুসলিম শাসনের দ্বিতীয় দাওর।

৩)

ভোগে ও বিলাসে আমোদে-প্রমোদে মত্ত থাকিবে তারা
হারিয়ে ফেলিবে স্বকীয় মহিমা তুর্কী স্বভাব ধারা।

মন্তব্যঃ– মুঘল শাসকদের অনেকই আল্লাহওয়ালা ছিলেন। তবে কেউ কেউ প্রকৃত ইসলামী আইন কানুন ও শরীয়তের আমল থেকে দূরে সরে গিয়েছিলেন; যেমন – আকবর, জাহাঙ্গীর ইত্যাদি।

৪)

তাদের হারায়ে ভিন দেশী হবে শাসন দণ্ডধারী
জাকিয়া বসিবে, নিজ নামে তারা মুদ্রা করিবে জারি।

মন্তব্যঃ– এখানে “ভিন দেশী” বলতে ইস্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানি তথা ইংরেজদের বোঝানো হয়েছে।

৫)

এরপর হবে রাশিয়া জাপানে ঘোরতর এক রণ
রুশকে হারিয়ে এই রণে বিজয়ী হইবে জাপানীগণ।

৬)

শেষে দেশ-সীমা নিবে ঠিক করে মিলিয়া উভয় দল
চুক্তিও হবে কিন্তু তাদের অন্তরে রবে ছল।

মন্তব্যঃ– বিংশ শতকের প্রারম্ভে এই যুদ্ধ সংঘটিত হয়। জাপান কোরিয়ার উপর আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে পীত সাগর, পোট অব আর্থার ও ভলডিভস্টকে অবস্থানরত রুশ নৌবহরগুলো আটক করলে এই যুদ্ধ শুরু হয়। অবশেষে রাশিয়া জাপানের সাথে চুক্তি করতে বাধ্য হয়।

৭)

ভারতে তখন দেখা দিবে প্লেগ আকালিক দুর্যোগ
মারা যাবে তাতে বহু মুসলিম হবে মহাদুর্ভোগ।

মন্তব্যঃ– ১৮৯৮-১৯০৮ সাল পর্যন্ত ভারতে মহামারী আকারে প্লেগের প্রাদুর্ভাব ঘটে। এতে প্রায় ৫ লক্ষ লোকের জীবনাবসান হয়।

৮)

এরপর পরই ভয়াবহ এক ভূকম্পনের ফলে
জাপানের এক তৃতীয় অংশ যাবে হায় রসাতলে।

মন্তব্যঃ– ১৯৪৪ সালে জাপানের টোকিও এবং ইয়াকোহামায় এক ভয়ঙ্কর ভূমিকম্প সংঘটিত হয় এবং প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়।

৯)

পশ্চিমে চার সালব্যাপী ঘোরতর মহারণ
প্রতারণা বলে হারাবে এই রণে জীমকে আলিফগণ।

মন্তব্যঃ– জুলাই’১৯১৪ থেকে নভেম্বর’১৯১৮ সাল পর্যন্ত চার বছরাধিকাল ধরে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ সংঘটিত হয়।
এইখানে “জীম” হল জার্মানি এবং “আলিফ” হল ইংল্যান্ড।

১০)

এই সমর হবে বহু দেশ জুড়ে, অতীব ভয়ঙ্কর
নিহত হইবে এতে এক কোটি ত্রিশ লাখ নারী-নর।

মন্তব্যঃ– ব্রিটিশ সরকারের তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রথম বিশ্বযুদ্ধে প্রায় ১ কোটি ৩১ লক্ষ লোক মারা যায়।

১১)

অতঃপর হবে রণ বন্ধের চুক্তি উভয় দেশে
কিন্তু তা হবে ক্ষণভঙ্গুর, টিকিবে না অবশেষে।

মন্তব্যঃ– ১৯১৯ সালে প্যারিসের ভার্সাই প্রাসাদে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের অবসানের লক্ষ্যে “ভার্সাই সন্ধি” হয় কিন্তু সেটা টেকেনি।

১২)

নিরবে চলিবে মহাসমরের প্রস্তুতি বেশুমার
জীম ও আলিফে লড়াই ঘটিবে বারংবার।

মন্তব্যঃ– প্রথম বিশ্বযুদ্ধের রেশ চলছে যার ফলশ্রুতিতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হবে।

১৩)

চীন ও জাপানে দু’দেশ যখন লিপ্ত থাকিবে রণে
নাসারা তখন রণ প্রস্তুতি চালাবে সঙ্গোপনে।

মন্তব্যঃ– চীন ও জাপানের ভিতরেও যুদ্ধ চলছিল। জুলাই’১৯৩৭ সাল থেকে সেপ্তেম্বর’১৯৪৫ সাল পর্যন্ত চীন ও জাপানের মধ্যে ভয়ঙ্কর যুদ্ধ হয়।

“নাসারা” অর্থাৎ খ্রিষ্টান।

১৪)

প্রথম মহাসমরের শেষে একুশ বছর পর
শুরু হবে ফের আরো ভয়াবহ দ্বিতীয় সমর।

মন্তব্যঃ– প্রথম বিশ্বযুদ্ধের অবসান হয় ১৯১৮ সালে এবং দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে সূচনা হয় ১৯৩৯ সালে । দুই যুদ্ধের মধ্যবর্তী সময় ২১ বছর।

১৫)

হিন্দ বাসী এই সমরে যদিও সহায়তা দিয়ে যাবে
তার থেকে তারা প্রার্থিত কোন সুফল নাহিকো পাবে।

মন্তব্যঃ– ব্রিটিশ সরকারের অধীনে ভারতীয়রা ব্রিটিশ প্রদত্ত যে সকল আশ্বাসের প্রেক্ষিতে দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে তাদের সহায়তা করেছিল, যুদ্ধের পর তা বাস্তবায়ন করা হয় নি।

১৬)

বিজ্ঞানীগণ এ লড়াইকালে অতিশয় আধুনিক
করিবে তৈয়ার অতি ভয়াবহ হাতিয়ার আনবিক।

মন্তব্যঃ– মূল কবিতায় “বিদ্যুৎ অস্ত্র” এর কথা বলা হয়েছে, অনুবাদক বিদ্যুৎ অস্ত্রের পরিবর্তে আনবিক অস্ত্র তরজমা করেছেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে আমেরিকা হিরোসিমা ও নাগাসাকিতে পারমানবিক বোমা নিক্ষেপ করে।

১৭)

গায়েবী ধ্বনির যন্ত্র বানাবে, নিকটে আসিবে দূর
প্রাচ্যে বসেও শুনিতে পাইবে প্রতীচীর গান সুর।

মন্তব্যঃ– গায়েবী ধ্বনির যন্ত্র অর্থাৎ রেডিও।

১৮)

মিলিত হইয়া “প্রথম আলিফ” “দ্বিতীয় আলিফ” দ্বয়
গড়িয়া তুলিবে রুশ চীন সাথে আতাত সুনিশ্চয়।

১৯)

ঝাপিয়ে পড়িবে “তৃতীয় আলিফ” এবং দু “জীম” এর ঘাড়ে
ছুড়িয়া মারিবে গজবী পাহাড় আনবিক হাতিয়ারে।
অতি ভয়াবহ নিষ্ঠুরতম ধ্বংসযজ্ঞ শেষে

প্রতারণা বলে প্রথম পক্ষ দাড়াবে বিজয়ী বেশে।

মন্তব্যঃ– প্রথম আলিফ হল ইংল্যান্ড, দ্বিতীয় আলিফ হল আমেরিকা এবং তৃতীয় আলিফ হল ইটালি। এইখানে দুই জীম হইল জার্মানি ও জাপান।

এইখানে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঘটনা বর্ণনা করা হয়েছে, পারমানবিক বোমার ব্যবহার এবং জার্মানি ও জাপান এর পরাজয়ের কথা।

২০)

জগৎ জুড়িয়া ছয় সাল ব্যাপী এই রণে ভয়াবহ
হালাক হইবে অগণিত লোক ধন ও সম্পদসহ।

মন্তব্যঃ– জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে প্রায় ৬ কোটি লোক মারা গিয়েছিল।

২১)

মহাধ্বংসের এ মহাসমর অবসানে অবশেষে
নাসারা শাসক ভারত ছাড়িয়া চলে যাবে নিজ দেশে।
কিন্তু তাহারা চিরকাল তরে এদেশবাসীর মনে
মহাক্ষতিকর বিষাক্ত বীজ বুনে যাবে সেই সনে।

মন্তব্যঃ– দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবসানের পর ১৯৪৭ সালে ভারতীয় উপমহাদেশ থেকে নাসারা তথা ইংরেজরা চলে যায় কিন্তু অনৈতিকভাবে দেশ ভাগ করে এবং ইতিহাসের বিকৃতিসাধন করে সাম্প্রদায়িকতার বিষাক্ত বীজ বুনে দিয়ে যায়।

২২)

ভারত ভাঙ্গিয়া হইবে দু’ভাগ শঠতায় নেতাদের
মহাদূর্ভোগ দূর্দশা হবে দু’দেশেরই মানুষের।

মন্তব্যঃ– কংগ্রেস নেতাদের শঠতা ও বিশ্বাসঘাতকতায় দেশ ভাগ হয়।

২৩)

মুকুটবিহীন নাদান বাদশা পাইবে শাসনভার
কানুন ও তার ফরমান হবে আজেবাজে একছার।

মন্তব্যঃ– এই প্যারা থেকে ভারত বিভাগ থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত ধরা যায়। “মুকুটবিহীন নাদান বাদশা” হল গণতন্ত্র দ্বারা নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী। আব্রাহাম লিংকনের তৈরী গণতন্ত্রকে জনগণের তন্ত্র বলা হলেও প্রকৃতপক্ষে তা হচ্ছে জনগণকে নিপীড়নের তন্ত্র। এই গণতন্ত্রের নিয়ম কানুন যে আজেবাজে সে সম্পর্কে শেষ লাইনে ইঙ্গিত করা হয়েছে।

২৪)

দুর্নীতি ঘুষ কাজে অবহেলা নীতিহীনতার ফলে
শাহী ফরমান হবে পয়মাল, দেশ যাবে রসাতলে।

মন্তব্যঃ– সরকারী কাজেকর্মে দুর্নীতির কথা বলা হয়েছে, যার ফলে দেশ রসাতলে গেছে।

২৫)

হায় আফসোস করিবেন যত আলেম ও জ্ঞানীগণ
মূর্খ বেওকুফ নাদান লোকেরা করিবে আস্ফালন।

মন্তব্যঃ– গণতন্ত্র ও রাজনীতিতে ধর্ষক, আসামী ও অপরাধীদের আস্ফালন এর কথা বলা হয়েছে।

২৬)

পেয়ারা নবীর উম্মতগণ ভুলিবে আপন শান
ঘোরতর পাপ পঙ্কিলতায় ডুবিবে মুসলমান।

মন্তব্যঃ– মুসলিমরা শরীয়তকে ছেড়ে হারামে লিপ্ত, কাফিরদের অনুসরন-অনুকরনে ব্যস্ত; সেটা বোঝানো হয়েছে।

২৭)

কালের চক্রে স্নেহ-তমীজের ঘটিবে যে অবসান
লুণ্ঠিত হবে মানী লোকদের ইজ্জত সম্মান।

২৮)

উঠিয়া যাইবে বাছ ও বিচার হালাল ও হারামের
লজ্জা রবে না, লুণ্ঠিত হবে ইজ্জত নারীদের।

মন্তব্যঃ– মুসলিমরা হারামে (গান বাজনা, সুদ, মদ ইত্যাদি) লিপ্ত। নারীদের সম্ভ্রমহানির কথা রোজই প্রকাশ পায়।

২৯)

পশুর অধম হইবে তাহারা ভাই-বোনে, মা-বেটায়
জেনা ব্যাভিচারে হইবে লিপ্ত, পিতা আর কন্যায়।

৩০)

নগ্নতা আল অশ্লীলতায় ভরে যাবে সব গৃহ
নারীরা উপরে সেজে রবে সতী ভেতরে বেচিবে দেহ।

৩১)

উপরে সাধুর লেবাস ভেতরে পাপের বেসাতি পুরা
নারী দেহ নিয়ে চালাবে ব্যবসা ইবলিস বন্ধুরা।

মন্তব্যঃ– হিন্দু সাধুদের হাক্বীকত প্রতিদিন প্রকাশ পায়। নারীদের নিয়ে তাদের কদর্য কার্যকলাপ কারো অজানা নয়।

৩২)

নামায ও রোজা, হজ্জ্ব যাকাতের কমে যাবে আগ্রহ
ধর্মের কাজ মনে হবে বোঝা, দারুন দূর্বিষহ।

৩৩)

কলিজার খুন পান করে বলি, শোন হে বৎসগণ
খোদার ওয়াস্তে ভুলে যাও সব, নাসারার আচরণ।

৩৪)

পশ্চিমা ঐ অশ্লীলতা ও নগ্নতা বেহায়ামি
ডোবাবে তোদের, খোদার কঠোর গজব আসিবে নামি।

৩৫)

ধ্বংস নিহত হবে মুসলিম বিধর্মীদের হাতে
হবে নাজেহাল, ছেড়ে যাবে দেশ ভাসিবে রক্তপাতে।

৩৬)

মুসলমানের জান-মাল হবে খেলনা মুল্যহত
রক্ত তাদের প্রবাহিত হবে সাগর স্রোতের মত।

মন্তব্যঃ– ৩৫ নং এবং ৩৬ নং প্যারা বর্তমানের সমসাময়িক। মুসলিমদের প্রতি অত্যাচারের কথা বলা হয়েছে। প্রায় রোজই দেশের কোথাও না কোথাও মুসলিমদের উপরে অত্যাচারের খবর পাওয়া যায়।

৩৬ নং প্যারাতে কাশ্মীরের দিকে ইঙ্গিত আছে যেখানে অবিরত মুসলিমদের রক্তপাত হয়ে চলেছে।

৩৭)

এরপর যাবে ভেগে নারকীরা পাঞ্জাব কেন্দ্রের
ধন সম্পদ আসিবে তাদের দখলে মুমিনদের।

মন্তব্যঃ– এখানে কাশ্মীর এর স্বাধীনতার কথা বলা হয়েছে বলে মনে করা হয়। গাজওয়াতুল হিন্দ অর্থাৎ হিন্দুস্তানের যুদ্ধের পূর্বে মুসলিমরা একটি এলাকা দখল করে নেবে।

৩৮)

অনুরূপ হবে পতন একটি শহর মুমিনদের
তাহাদের ধনসম্পদ যাবে দখলে হিন্দুদের।

মন্তব্যঃ– মুসলিমরা যখন কাশ্মীর দখল করে নেবে তারপরই হিন্দুরা মুসলিমদের একটি শহর দখল করে নেবে। অনুমান করা যায় শহরটি হল “ঢাকা” তথা বাংলাদেশ।

৩৯)

হত্যা, ধ্বংসযজ্ঞ সেখানে চালাইবে তারা ভারি
ঘরে ঘরে হবে ঘোর কারবালা ক্রন্দন আহাজারি।

মন্তব্যঃ– মুসলিমদের শহর দখল করে সেখানে ব্যাপক হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ চালাবে হিন্দুরা।

৪০)

মুসলিম নেতা অথচ বন্ধু কাফেরের তলে তলে
মদত করিবে শত্রুকে সে, এক পাপ চুক্তির ছলে।

মন্তব্যঃ– উপরের প্যারাগুলি পড়লে অনুমান করা যায় যে হিন্দুরা যে মুসলিমদের শহরটি দখল করে নেবে, সেখানকার একজন মুসলিম নেতা আসলে নামধারী মুসলিম হলেও গোপনে গোপনে হিন্দুবান্ধব হবে এবং হিন্দুদের মদত করবে একটি চুক্তির ফলে।

চুক্তিটি কেমন হতে পারে? আমার অনুমান চুক্তিটি এমন হবে তোমরা আমাকে ক্ষমতায় বসিয়ে রাখবে, তার বিনিময়ে আমি তোমাদের সবরকমভাবে সাহায্য করবো।

৪১)

প্রথম অক্ষরে থাকিবে শীনে’র অবস্থান
শেষের অক্ষরে থাকিবে নূন ও বিরাজমান।
ঘটিবে তখন এসব ঘটনা মাঝখানে দু’ঈদের
ধিক্কার দিবে বিশ্বের লোক জালিম হিন্দুদের।

মন্তব্যঃ– এইখানে প্রথম দুই লাইনে উপরে উল্লিখিত মুসলিম নেতার পরিচয় দেওয়া হয়েছে সাংকেতিকভাবে। তার নামের প্রথম অক্ষরে থাকবে “শিন” এবং শেষ অক্ষরে থাকবে “নূন”। শেখ হাসিনা!

এই সমস্ত ঘটনাগুলি ঘটবে দুই ঈদের মধ্যবর্তী সময়ে।

৪২)

মহরম মাসে হাতিয়ার হাতে পাইবে মুমিনগণ
ঝঞ্ঝার বেগে করিবে তাহারা পাল্টা আক্রমণ।

মন্তব্যঃ– মহরম মাসে মুসলিমরা পাল্টা আক্রমণ করবে।

৪৩)

সৃষ্টি হইবে ভারত ব্যাপিয়া প্রচণ্ড আলোড়ন
“উসমান” এসে নিবেন জিহাদের বজ্র কঠিন পণ।

৪৪)

‘সাহেবে কিরান’ “হাবীবুল্লাহ” হাতে নিয়ে শমসের
খোদায়ী মদদে ঝাপিয়ে পড়িবেন ময়দানে যুদ্ধে।

মন্তব্যঃ– এইখানে গাজওয়াতুল হিন্দের কথা বলা হয়েছে। সেইসাথে দুইজন ব্যক্তির পরিচয় পাওয়া গেল

ক) “উসমান” –

মুসলিমদের সেনাপতি। আমার অনুমান এই নামটি প্রতীকী। উনার পরিচয় পেতে গেলে “উসমান” নামটির ইতিহাস বুঝতে হবে। নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দামাদ অর্থাৎ জামাতা হলেন হযরত উসমান যুন নুরাইন রদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।

ঠিক সেইরকম ভাবে উল্লিখিত “উসমান” হলেন এই জামানাতে হযরত উসমান যুন নুরাইন রদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার কায়িম মকাম অর্থাৎ যার মাধ্যমে খিলাফত প্রতিষ্ঠা হবে সেই মহান খলীফা আলাইহিস সালাম উনার দামাদ অর্থাৎ জামাতা।

খ) ‘সাহেবে কিরান’ ও “হাবীবুল্লাহ” –

যে মহান খলীফা খিলাফত প্রতিষ্ঠা করবেন। ‘সাহেবে কিরান’ অর্থাৎ যুগের অধিপতি বা মুজাদ্দিদ। প্রত্যেক হিজরি শতাব্দীতে মহান আল্লাহ পাক একজন মুজাদ্দিদ প্রেরণ করেন, এইখানে সেই মহান মুজাদ্দিদ আলাইহিস সালাম তিনি গাজওয়াতুল হিন্দ পরিচালনা করবেন। তিনি “হাবীবুল্লাহ” লক্বব মুবারক দ্বারা সন্মানিত।

[ পাঠকদের কাছে অনুরোধ – সেই মহান ব্যক্তিকে খোঁজার চেষ্টা করুন। ]

৪৫)

কাপিবে মেদিনী সীমান্ত বীর গাজীদের পদভারে
ভারতের পানে আগাইবে তারা মহারণ হুঙ্কারে।

মন্তব্যঃ– এইখানে বোঝা যায় ভারতের বাইরে থেকে লড়াইতে সামিল হবে মুসলিমরা।

৪৬)
পঙ্গপালের মত ধেয়ে এসে এসব “গাজীয়ে দ্বীন”
যুদ্ধে জিতিয়া বিজয় ঝাণ্ডা করিবেন উড্ডীন।

৪৭)

মিলে এক সাথে দক্ষিণী ফৌজ ইরানী ও আফগান
বিজয় করিয়া কবজায় পুরা আনিবে হিন্দুস্তান।

মন্তব্যঃ– এইখানে বোঝা যায় অনেকগুলি মুসলিম দেশ একত্রিত হয়ে লড়াই করবে।

৪৮)

বরবাদ করে দেয়া হবে দ্বীন ঈমানের দুশমন
অঝোর ধারায় হবে আল্লাহ’র রহমত বর্ষণ।

৪৯)

দ্বীনের বৈরী আছিল শুরুতে ছয় হরফেতে নাম
প্রথম হরফ গাফ সে কবুল করিবে দ্বীন ইসলাম।

মন্তব্যঃ– ছয় অক্ষর বিশিষ্ট একটি নাম যার প্রথম অক্ষরটি হবে “গাফ” এমন এক প্রভাবশালী ব্যক্তি ইসলাম গ্রহণ করে মুসলিম পক্ষে যোগদান করবেন। তিনি কে সেটা এখন বোঝা যাচ্ছে না।

৫০)

আল্লাহ’র খাস রহমতে হবে মুমিনেরা খোশদিল
হিন্দু রসম রেওয়াজ এ ভূমে থাকিবে না এক তিল।

৫১)

ভারতের মত পশ্চিমাদেরও ঘটিবে বিপর্যয়
তৃতীয় বিশ্ব সমর সেখানে ঘটাইবে মহালয়।

মন্তব্যঃ– বর্তমান সময়ের বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি দেখলে স্পষ্ট বোঝা যায় যে সেই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রস্তুতি চলছে, যার ফলে পশ্চিমা শক্তি নিজেরাই মারামারি করে শেষ হয়ে যাবে।

৫২)

এ রণে হবে “আলিফ” এরূপ পয়মাল মিসমার
মুছে যাবে দেশ, ইতিহাসে শুধু নামটি থাকিবে তার।

মন্তব্যঃ– এই যুদ্ধের কারণে “আলিফ” অর্থাৎ আমেরিকা এরূপ ধ্বংস হবে যে, ইতিহাসে শুধু তার নাম থাকবে কিন্তু বাস্তবে তার কোন অস্তিত্ব থাকবে না। বর্তমানে মুছে যাওয়ার আগাম বার্তা স্বরূপ দেশটিতে আমরা বিভিন্ন প্রাকৃতিক দূর্যোগ এবং অর্থনৈতিক মন্দা চরমভাবে দেখতে পাচ্ছি।

৫৩)

যত অপরাধ তিল তিল করে জমেছে খাতায় তার
শাস্তি উহার ভুগতেই হবে, নাই নাই নিস্তার।
কুদরতী হাতে কঠিন দণ্ড দেয়া হবে তাহাদের
ধরা বুকে শির তুলিয়া নাসারা দাড়াবে না কভু ফের।

মন্তব্যঃ– “কুদরতী হাতে কঠিন দণ্ড দেয়া হবে” – এই কথাটি খেয়াল করতে হবে। বর্তমানে তাদেরকে কুদরতি হাতে দণ্ড দেওয়া হয় নানাভাবে যেমন দাবানল, খরা ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দূর্যোগ দ্বারা।

৫৪)

যেই বেঈমান দুনিয়া ধ্বংস করিল আপন কামে
নিপাতিত শেষ কালে সে নিজেই জাহান্নামে।

৫৫)

রহস্যভেদী যে রতন হার গাথিলাম আমি তা, যে
গায়েবী মদত লভিতে, আসিবে উস্তাদসম কাজে।

৫৬)

অতি সত্বর যদি আল্লাহ’র মদদ পাইতে চাও
তাহার হুকুম তালিমের কাজে নিজেকে বিলিয়ে দাও।

৫৭)

“কানা জাহুকার” প্রকাশ ঘটার সালেই প্রতিশ্রুত
ইমাম মাহদী দুনিয়ার বুকে হবেন আবির্ভূত।

মন্তব্যঃ– “কানা জাহুকা” সূরা বনী ইসরাইলের ৮১ নং আয়াতের শেষ অংশ। যার অর্থ মিথ্যার বিনাশ অনিবার্য। পূর্ব আয়াতটির অর্থ “সত্য সমাগত মিথ্যা বিলুপ্ত”।

অর্থাৎ যখন মিথ্যার বিনাশ কাল উপস্থিত হবে তখন উপযুক্ত সময়েই আবির্ভূত হবেন “ইমাম মাহদী”।

এইখানে প্রতীকী হিসাবে “ইমাম মাহদী” আলাইহিস সালাম উনাকে বোঝানো হয়েছে যে যখন মিথ্যার বিনাশকাল উপস্থিত হবে তখন এক মহান ব্যক্তি যিনি বিনাশ করবেন। উনার আবির্ভাবের মধ্য দিয়ে বাতিল ধ্বংস হবে।

[ পাঠকদের কাছে অনুরোধ – সেই মহান ব্যক্তিকে খোঁজার চেষ্টা করুন। ]

৫৮)

চুপ হয়ে যাও ওহে নিয়ামত, এগিও না মোটে আর
ফাঁস করিও না খোদার গায়বী রহস্য আসরার।
এ কাসিদা বলা করিলাম শেষ “কুনুত কানয” সালে
অদ্ভুত এই রহস্য গাঁথা ফলিতেছে কালে কালে।

মন্তব্যঃ– “কুনুত কানয” সাল অর্থাৎ হিজরি সন ৫৪৮ মোতাবেক ১১৫৮ ইংরেজি সাল হচ্ছে এ কাসিদার রচনা কাল। এটা আরবি হরফের নাম অনুযায়ী সাংকেতিক হিসাব।

Leave a Reply