You are currently viewing মহা দুর্যোগের আশঙ্কা, নতুন বিপদের নাম ‘বুমেরাং ভূমিকম্প’!সাইদুল ইসলাম সজীব

মহা দুর্যোগের আশঙ্কা, নতুন বিপদের নাম ‘বুমেরাং ভূমিকম্প’!সাইদুল ইসলাম সজীব

মহা দুর্যোগের আশঙ্কা, নতুন বিপদের নাম ‘বুমেরাং ভূমিকম্প’!পরিস্থিতি আসলে এখন এমন।আমি শেষ জামানা হাদিসগুলো পর্যবেক্ষণ করে,পূর্বে অনেক গুলো লেখায় আপনাদেরকে বলেছিলাম, যে কোন সময় যে কোন স্থানে কিছু শক্তিশালী ভূমিকম্প হতে পারে।ভূকম্পন গুলো হবে। এমন আজকে বাংলাদেশ,তো কাল ইন্ডিয়ায়,পরশু আমেরিকায় আবার একই দিন সিরিয়ায়।উদ্ধার কাজ চলতেছে তার মধ্যে আবার ও ভুমিকম্প। আর এটার নামই হচ্ছে সিরিজ ভূমিকম্প।

গতবছর যখন আফগানিস্তানে ভুমিকম্প হয়েছে। তখনই বুঝতে পেরেছি সিরিজ ভূমিকম্পের সুচনা সুরু হয়েছে!এটা কেন বলছি,সামনে তার বর্ণনা দিব ইনশাআল্লাহ।
আমি সম্ভবত ২০ এর শেষ দিকে বলেছিলাম। হাদিস শরিফে প্রাপ্ত বরাত অনুযায়ী কিছুদিনের মধ্যেই সিরিয়ায় বিশাল ভূমিধস হবে। এবং বিশ্বের কয়েকটি দেশে এটি অব্যাহত থাকবে।আর গতকাল সিরিয়া ও তুরস্কের হয়ে গেছে অলরেডি শক্তিশালী ভূকম্পন। এটা আখিরুজ্জামানের কিন্তু বড়ো এক নিদর্শন ।

ইবনু উমার (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা). বলেন, হে আল্লাহ! আমাদের শামে (সিরিয়া) ও ইয়ামেনে বরকত দান করুন। লোকেরা বলল, আমাদের নজদের। তিনি পুনরায় বললেন, হে আল্লাহ! আমাদের শাম দেশে ও ইয়ামেনে বরকত দান করুন। লোকেরা আবারও বলল, আমাদের নজদের। তখন তিনি বললেন, সেখানে তো রয়েছে ভূমিকম্প ও ফেতনা-ফ্যাসাদ; আর শয়তানের শিং সেখান থেকেই বের হবে (তার উত্থান ঘটবে)। (সহি বুখারি খারি : ১০৩৭)

 

যে কোন মুহূর্তে একটা ভয়াবহ ভূমিকম্প হবে!সব কিছু এলোমেলো করে দিবে! এইযে হারাম পথে অর্জিত অর্থ দিয়ে শহরে বড় বড় দালানগুলোর প্রতিযোগিতা দেখতে পাচ্ছেন! এগুলো ভূমিকম্প হওয়ার পূর্ব শর্ত আলামত।
গজবের পূর্ববাস কি জানেন?লোকেরা যখন বলাবলি শুরু করবে হে আমাদের রব!আপনি আমাদের এই অত্যাচারি জালিমদের থেকে হেফাজত করুন!আপনার ফয়সালা নাযিল করুন।আর এ গজব ভালো খারাপ সবাইকে ভাসিয়ে নিবে।মানুষ যখন প্রতিরোধের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।আল্লাহর ফয়সালা তখন নিকটবর্তী হয়ে যায়।

আর এ থেকে কেউ বাদ যাবে না।বাংলাদেশে আলেম ওলামাদের প্রতি যে নিষ্ঠুর নির্যাতন হচ্ছে।এ দেশে ও ফয়সালা ঘনিয়ে এসেছে।আল্লাহ না করুন যদি ঢাকায় একবার ভূমিকম্প হয়,বসবাসের অনুপযোগী হয়ে যাবে শহরটি। লিখে রাখেন তখন রাজধানী স্থানান্তর করা হবে।

এ সময়টা কিন্ত বিশ্ব পরিবর্তন ও ইসলামের নতুন এক উত্থানের গুরুত্বপূর্ণ সময়।দীর্ঘ একশ শতাব্দীর পর আবারও কিন্তু খোরাসান দিয়ে খেলাফতের সপ্ন দেখা যাচ্ছে।সোমালিয়া অলরেডি ইমানদার দের দখলে চলে এসেছে ইনশাআল্লাহ।আর এই সময়টাতেই কিন্তু ভাঙ্গন ও গড়ার নতুন এক ইতিহাস তৈরি হবে।আর ভুমিকম্প গুলো আল্লাহর ফয়সালা যা সত্যিকার অর্থেই মানুষের হাতের কামাই। স ম কামী তা যে পৃথিবীতে বৈধ হয়ে গেছে সেই পৃথিবীর অনিবার্য ধ্বংস কে ঠকাবে?আর এ সমকামী নোংরা মানুষ গুলোর জন্য হলে ও তো আজাব আশা অনিবার্য।

আবদুল্লাহ ইবনু হাওয়ালা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, হে ইবনে হাওয়ালা তুমি যখন দেখতে পাবে যে, খেলাফত পবিত্র ভূমিতে অবতরণ করেছে। ( পবিত্র ভূমি বলতে শাম সিরিয়া,বা খোরাসান এর প্রধান এর বাইরে ফিলিস্তিন জর্ডান কিছু অংশকে বুজানো হয়েছে )তখন মনে করবে যে কেয়ামত-পূর্ববর্তী ভূমিকম্প এবং ঐতিহাসিক বিপর্যয় ও বড় বড় ঘটনাবলি প্রকাশের সময় নিকটবর্তী হয়ে গেছে। আমার এ দুই হাত তোমার মাথার যত কাছাকাছি, তখন কেয়ামত তার চেয়েও নিকটবর্তী হয়ে যাবে। (মুসনাদে আহমাদ : ২২৪৮৭, আবু দাউদ : ২৫৩৫)।

এখানে লক্ষণিয় বিষয় কি খেয়াল করেছেন?পবিত্র ভূমি গুলোর মধ্যে আপগান অর্থাৎ যাকে খোরাসনের মূল কেন্দ্রবিন্দু বলা হয়।সেখান থেকেই কিন্তু খেলাফত কায়েমের বিষয় স্পষ্ট আলামত পরিলক্ষিত হচ্ছে।আরও চমকে যাওয়ার মতো বিষয় হচ্ছে,শেষ খেলাফত ওসমানীওরা অর্থাৎ আর্তগোলের বাবা সোলেমান সাহ কিন্তু খোরাসানের বাসিন্দা ছিলো। ইন্টারেস্ট এখানেই, রাসুল সাঃ কিন্তু বলেছিলেন, আমার পরে অন আরবদের কে দিয়ে বিপ্লব সংগঠিত হবে।

আল্লাহু আলাম।।।

যা-ই হোক শেষ কথা বলি সময় কিন্তু সত্যিই নাজুক!অন্যায় অনাচার অপকর্মের শেষ অভিদানের ভাষাটাও কিন্তু এখন হারিয়ে ফেলেছে।আর একটা জাতি ধ্বংস হওয়ার প্রধান আলামত হচ্ছে স মকা মি তাকে বৈধ মনে করা। আর সেটা এখন বৈধ,বাংলাদেশে ও আছে।এখানে ভুমিকম্প হলে ও অবাক হওয়ার কিছু নেই।যা করতে হবে শহর চেড়ে যতটা সম্ভব গ্রামমুখি হতে হবে। তওবা করে আল্লাহর রাস্তায় ফিরে আশা উচিত।জুলুম বন্ধ করা উচিৎ,আলোম ওলামা দের মুক্তি দেয়া উচিৎ।

আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন।

সাইদুল ইসলাম সজীব
০৭/০২/২০২৩

Leave a Reply