You are currently viewing আমার করা ২০১৯ সালের পোস্ট একুশে বাস্তবায়ন হয়েছে।

আমার করা ২০১৯ সালের পোস্ট একুশে বাস্তবায়ন হয়েছে।

বিশ্ব নবী রাসুলে করীম সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেছেন। আল্লাহর ওয়াদা, শেষ জামানার নবীর উম্মত দের ১০০ বছরের বেশি লাঞ্ছিত করবেন না।১৯২৪ সালে ওসমানী খেলাফত রহিত হয়েছে। হিসাব করলে ১০০ বছর আর দুই তিন বছর বাকি।

আল্লাহর শপথ ওআল্লাহি খুব শীঘ্রই মুসলমানদের উত্থান হবে। আসন্ন এ মুসলমানদের উত্থান কেউ ঠেকাতে পারবেনা। আপনি মাজলুমের সাথে থাকুন আর নাই থাকুন। আল্লাহর ওয়াদা সত্য
তিনি তারা দ্বীনকে বিজয়ী করবেন। সেটা আপনি থাকলেও বা না থাকলেও। মুসলমানদের উত্থান কেউ ঠেকাতে পারবেনা। শীঘ্রই পুরা বিশ্বে মুসলমান নিয়ন্ত্রিত চলে আসবে।ইনশাআল্লাহ।

সবাই নিজ নিজ আঙ্গিকে প্রস্তুতি গ্রহণ করুন। পশ্চিমে আকাশে সুবে-সাদিকের প্রসারিত রেখা দেখা যাচ্ছে। নাসরুন মিনাল্লাহি ওয়া ফাতহুন কারিব

ইমাম মাহদীর আগমনের সম্ভাব্য সময়কাল
পর্ব. ৪
: রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,“নবুওয়াত ব্যবস্থা তোমাদের মাঝে ততদিন থাকবে, যতদিন আল্লাহ তাআলা মঞ্জুর করেন। অতঃপর যখন ইচ্ছা, তখন তিনি তা উঠিয়ে নিবেন। তারপর (রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওফাতের পর) তোমাদের মাঝে নবুওয়াতের পদ্ধতিতে খেলাফত ব্যবস্থা কায়েম হবে এবং তা আল্লাহ তাআলা যতদিন ইচ্ছা ততদিন থাকবে (খুলাফায়ে রাশিদিন এর যুগ)। অতঃপর তিনি তা উঠিয়ে নিবেন। তারপর হানাহানির রাজত্ব প্রতিষ্ঠিত হবে এবং তা আল্লাহ তাআলার যতদিন ইচ্ছা ততদিন থাকবে (রাজতন্ত্র)। অতঃপর আল্লাহর ইচ্ছায় তার বিলুপ্তি ঘটবে। তারপর জবর দখল তথা আধিপত্য বিস্তারের রাজত্ব কায়েম হবে এবং আল্লাহর ইচ্ছায় দুনিয়াতে কিছুকাল বিরাজমান থাকবে (নানা ভূখণ্ডে বর্তমান একনায়কতন্ত্র ও রকমারি বাদ ও তন্ত্রে প্রতিষ্ঠিত স্বৈর শাসকগণ) । তারপর যখন আল্লাহ ইচ্ছা করবেন, তখন এরও অবসান ঘটবে। অতঃপর নবুওয়াতের পদ্ধতিতে খেলাফত রাষ্ট্র-ব্যবস্থা কায়েম হবে। এ বলে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম চুপ রইলেন”(মুসনাদে আহমদঃ ৪/২৭৩)

অপর হাদিসে, হযরত আবু উবাইদা (রাঃ) এবং মু’আজ বিন জাবাল (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,“ইসলামের সূচনা হয়েছে নবুওয়াত ও রহমতের শাসনের মাধ্যমে। এরপর হবে খেলাফত ও রহমতের শাসন। এরপর হবে অত্যাচার লুটেরা বাদশাদের শাসন। এরপর হবে অহংকারী প্রভাবশালী বাদশাদের শাসন, তখন জমিনে অন্যায়, অবিচার, ফেতনা ফ্যাসাদ ছড়িয়ে পড়বে। সেকালের লোকেরা রেশম (সিল্ক), ব্যভিচার (পরকীয়ার পাশাপাশি বয়ফ্রেন্ড-গার্ল ফ্রেন্ডের নামে চলমান বহুল প্রচলিত সামাজিকভাবে স্বীকৃত উঠতি বয়সী অবিবাহিতদের জেনা) এবং মদকে হালাল করে ফেলবে। আল্লাহর সাথে সাক্ষাত পর্যন্ত এর মাধ্যমেই তাদেরকে রিজিক দেওয়া হবে এবং সাহায্য করা হবে”।(শুয়াইবুল ঈমান আল বায়হাকি, ৫/১৬)

বর্নিত হাদিস দুইটি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, হাদিসে “খিলাফত আলা মিনহাজিন নবুওয়ত” দু’বার প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়েছে এবং এর মাঝে বিভিন্ন তন্ত্র, মন্ত্র ও রাজ তন্ত্র বা বাদশাহী যুগ আসবে এবং পরিশেষে আবার খিলাফা প্রতিস্ঠিত হবে।

হাদিসদ্বয় ক্রমান্বয়ে আলোচনা করলে :

  • প্রথমে নবুওয়াত
  • তারপর খেলাফত(খিলাফত আলা মিনহাজিন নবুওয়ত)
  • তারপর রাজতন্ত্র(খিলাফা+বাদশাহি)
  • তারপর স্বৈরতন্ত্র(কোথিত গন-তন্ত্র+ বাদশাহি)
    *তারপর আবার খেলাফত(খিলাফত আলা মিনহাজিন নবুওয়ত)

★ নবুওয়াত: ৬৩৩ সালে রাসুলুল্লাহ (সা) মৃত্যুর মাধ্যমে নবুওয়াতী শাসনব্যবস্থার
সমাপ্তি ঘটে।

★ প্রথম খেলাফত: রাসুলুল্লাহ (সা) বলেন,،
আমার পরে খিলাফাহ ৩০ বছর থাকবে এরপর রাজতন্ত্র আসবে।
খিলাফত আলা মিনহাজিন নবুওয়ত: হজরত আবু বকর সিদ্দিক (রা) থেকে হজরত আলী (রা) পর্যন্ত শাসনামলের সমষ্টিকে খোলাফায়ে রাশেদা যুগ, যা ৬৩৩ সাল থেকে ৬৬১ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত স্থায়িত্ব হয়।

★রাজতন্ত্র:(খিলাফা+বাদশাহি): মুয়াবিয়া (রা) থেকে
উসমানিয় খিলাফতের সর্বশেষ খলীফা দ্বিতীয় আবদুল মজিদ পর্যন্ত যা,৬৬১ থেকে ১৯২৪ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত এই খিলাফত টিকে ছিল।

★স্বৈরতন্ত্র(গন-তন্ত্র+ বাদশাহি): ১৯২৪ সালে উসমানি খেলাফতের ভেঙ্গে যাওয়ার পর সমগ্র মুসলিম বিশ্ব ৫৭ টি ভূখণ্ডে বিভক্ত হয়ে যায়। তার ফলশ্রুতিতে হাদিসের ভাষ্যমতে সৌদি রাজতন্ত্র এবং মুসলিম বিশ্বে একনায়কতন্ত্র ও রকমারি বাদ ও তন্ত্রে প্রতিষ্ঠিত হয়। এবং খেলাফত ব্যাবস্থার কবর রচিত হয়।

★★দ্বিতীয় খেলাফত (খিলাফত আলা মিনহাজিন নবুওয়ত): আশার কথা হল রাসুলুল্লাহ (সা) এর হদিসের মাধ্যমে জানিয়েগেছেন পুনরায় আবার খিলাফাহ প্রতিস্ঠিত হবে এবং সকল জুলুম নিপতিত হবে যার নেতৃত্ব ইমাম মাহদী দিবেন। রাসুলুল্লাহ (সা) বলেন,নিশ্চয় আল্লাহ্তা’লা প্রত্যেক শতাব্দীর শিরোভাগে ( প্রথম দিকে) এই উম্মতের জন্য এমন মহাপুরুষকে আবির্ভূত করবেন, যিনি তাদের জন্য ধর্মকে সঞ্জীবিত করবেন ।” ১৯২৪ সালে ওসমানী খেলাফত রহিত হয়, হাদিসের সাথে চিন্তা করলে ২০২১ সালে আবারও খেলাফত প্রতিষ্ঠার পরম সম্ভাবনা রয়েছে। কারন হিজরি সাল ৩ বছর কম। শুরু হতে পারে আফগান দিয়ে। কারণ হাদীসে বর্ণিত তারাই ইমাম মাহাদির দল হিসাবে হাদিসের সাথে মিল রাখে!

(আবু দাউদ,ফিতান অধ্যায়)

চলবে….

Leave a Reply