You are currently viewing হাদীসে উল্লেখিত তিনটি স্থান, যার ভূ-প্রাকৃতিক পরিবর্তন পৃথিবীতে দাজ্জলের আত্মপ্রকাশের স্পষ্ট ইঙ্গিত বহণ করে।

হাদীসে উল্লেখিত তিনটি স্থান, যার ভূ-প্রাকৃতিক পরিবর্তন পৃথিবীতে দাজ্জলের আত্মপ্রকাশের স্পষ্ট ইঙ্গিত বহণ করে।

হাদীসে উল্লেখিত তিনটি স্থান, যার ভূ-প্রাকৃতিক পরিবর্তন পৃথিবীতে দাজ্জলের আত্মপ্রকাশের স্পষ্ট ইঙ্গিত বহণ করে। আমি এ তিনটি স্থানের উপর সব সময় নজর রাখি। এর সাথে রয়েছে ইরাকের ফোরাত নদী। এই চারটি স্থানের সাথে সম্পর্ক রয়েছে উম্মার জাগরণের বিশাল সম্পর্ক।

১। বাইসানের খেজুর বাগানঃ ৬৩৪ সালে হযরত উমর (র) এর আমলে এই অঞ্চল আবু আব্দুল্লাহ শুরাহবিল ইবনে হাসানা (র) এবং আমর বিন আল-আস (র) এর নেতৃত্বে বাইজেনটাইন সাম্রাজ্যের দখলমুক্ত হয়। পরবর্তীতে অঞ্চলটি জর্ডানের অধিভুক্ত হয়। ১৯৪৮ সালে ইসরাইল জর্ডানের কাছ থেকে এই অঞ্চল দখল করে। বাইসানের যে খেজুর বাগানের কথা বলা হয়েছে সেখানে বর্তমানে ইসরাইলের পরিকল্পিতি নগরী গড়ে উঠেছে এবং আশেপাশের নগরীতে তারা খেজুর চাষ করলেও এই বাগানটিকে প্রায় বিলীন করে ফেলা হয়েছে। বর্তমানে সেখানে অল্প কিছু গাছ থাকলেও ফলন একেবারে নেই বললেই চলে।

২। বর্তমানে ইংয়রেজিতে Sea of Galilee এবং ইসরাইলে “ইয়াম কিনেরেট” (Yam Kinneret বা Yam Kinnerot) নামেই বেশি পরিচিত। এই জলাভুমিটি বিভিন্ন নামে পারচিত। এ নামগুলো এসেছে তাওরাত, জাবুর এবং ইঞ্জিল থেকে। যেমন- Sea of Chinneroth বা Chinnereth বা Water of Gennesar বা Lake of Gennesarethবা sea of Gennesareth বা the sea of Tiberias নাম উল্লেখ করা হয়েছে।। ইহুদী রিব্বী বা রাবাই বা ধর্মগুরু Talmud Yerushalmi এর লিখিত গ্রন্থে এটিকে yammah shel Teveryah নামেও উল্লেখ করা হয়েছে।

আরব অঞ্চলে এটিকে Baḥr al-Ṭabariya বা তাবারিয়া সাগর বলা হয়।

ইন্টারনেটে এটির পানির পানির স্তরের বিভিন্ন পরিসংখ্যান দেয়া আছে। কিন্তু ধারাবাহিক কোন তথ্য নেই। তবে ভিন্ন ভিন্ন উৎসে তথ্য থেকে জানা যায়, ২০১২ সাল থেকেই তাবারিয়ার পানির স্তর আশংকাজনকভাবে কমতে থাকে। ২০১৯ সালে ১০০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন স্তরে নামে। ২০২০ সালে বর্ষা মৌসুমে যদিও পানির স্তর কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও ঐতিহাসিকদের মতে তাবারিয়ার প্রায় ৯০ ভাগ পানি ব্যবহৃত হয়ে গেছে । তাছাড়া পুরো লেকটির বিভিন্ন জায়গায় ছোট আকারের কিছু চরও দেখতে পাওয়া যায়।

৩। লূত (আ) এর ছোট মেয়ে যুগার এর নামানুসারে কূপটির নামকরণ করা হয়। এটি Gihon Spring নামেও পরিচিত। ১৯৮৯ থেকে কূপটির নাম পরিবর্তন করে Lions Fountain রাখা হয় এবং এর চারপাশের এলাকায় মূসা (আ) এর স্মরণে একটি পার্ক তৈরি করা হয় যার নাম “Yemin Moshe” জেরুজালেমের “City of Devid” বা দাঊদ (আ)এর নগরীতে অবস্থিত।

এই কূপটির পানি দিয়ে অত্র এলাকার লোকজন কৃষি কাজ করতো। এই হাদীসে কূপটির পানি দিয়ে চাষাবাদ কিনা তা জানতে চাওয়া হয়েছে। এই কূপের পানি দিয়ে এখন আর কেউ চাষাবাদ করে না, কারণ দুটি , ১। কূপটিতে এখন আর নিয়মিত পানি আসে না, শুধু গ্রীষ্মকালে পানি আসে, ২। কূপটি পার্কের মধ্যে হওয়ায় এখন আর এর পানি বাইরে বহণযোগ্য নয়।

Leave a Reply