You are currently viewing দাজ্জালের পবিত্র ভূমি  ও দাউদ (আঃ) এর সিংহাসন। ও গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা।

দাজ্জালের পবিত্র ভূমি ও দাউদ (আঃ) এর সিংহাসন। ও গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা।

আল্লাহ বনী ইস্রাইলকে জানিয়ে দিলেন যে তিনি তাদের কাছে এক নবী পাঠাবেন যিনি দাউদ আঃ এর সিংহাসন থেকে পৃথিবী শাসন করবেন।
ইজরাইল তথা জেরুজালেম হল দাউদ আঃ এর সেই সিংহাসন।

ঈসা আঃ এর আগমনের পর বনী ইসরাইল তাঁর উপর ঈমান তো আনলো না ই বরং তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে তাঁকে শেষ পর্যন্ত হত্যা করতে উদ্যত হল।
তখন আল্লাহ এমন এক সত্ত্বাকে সৃষ্টি করলেন যার কাজ হবে ঈসা আঃ এর নকল করা।
এই সত্ত্বার নাম হল দাজ্জাল, যার অর্থ মিথ্যাবাদী বা প্রতারক।

ঈসা আঃ এর কাজ যেমন জেরুজালেম থেকে সারা পৃথিবী শাসন করা, তেমনি দাজ্জালের কাজ হল জেরুজালেম থেকে সারা পৃথিবী শাসন করার ভান করা।

ইহুদিরা সত্য মাসিহ ঈসা আঃ কে প্রত্যাখ্যান করে যেই মাসিহের আশায় দিন গুনছে সে আর কেউ নয়,
ভণ্ড মাসিহ দাজ্জাল।
ইহুদি।।।দের বিশ্বাস তাদের প্রতিশ্রুত মাসিহ ফিরে
আসলে ইহুদিদের স্বর্ণযুগ ফিরে আসবে ও
ইহুদিরা সারা পৃথিবীর উপর কর্তৃত্ব করবে।

দাজ্জাল যদি নিজেকে ঈসা আঃ হিসেবে প্রমাণ করতে চায় তবে তাকে ৪টি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ অতিক্রম করতে হবেঃ—
** জেরুজালেম জয় করা ও অইহুদি শাসন থেকে মুক্ত করা।
** সারা পৃথিবীর ইহুদিদেরকে পবিত্র ভূমি ইসরাইলে ফিরিয়ে আনা।
** ইজরাইল রাষ্ট্র গঠন করা ও ইহুদিদেরকে বোঝান এটাই সেই দাউদ আঃ এর পবিত্র ইজরাইল।
** ইজরাইলকে বিশ্ব নিয়ন্ত্রক রাষ্ট্র বা
Ruling State of the World এ পরিণত করা।

উপরে বর্ণিত ৪টি ধাপের মধ্যে ৩টিই সে অর্জন করে ফেলেছে।
জেরুজালেম ছিল ইসলামী খিলাফত শাসনের অধীনে। ১৯২৪ সালে ইসলামী খিলাফতকে উচ্ছেদ করে নির্মূল করা হয়।

১৯৪৮ সালে ব্রিটেন ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে ও ১৯৬৭ সালে ইসরাইলি সেনাবাহিনী জেরুজালেম দখল করে নেয়।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সারা পৃথিবী থেকে ইহুদিরা পবিত্র ভূমি ইসরাইলে ফিরে আসতে শুরু করে এই বিশ্বাস নিয়ে যে এটাই সেই দাউদ আঃ এর পবিত্র ইজরাইল।
দাজ্জালের পরবর্তী কাজ হল আমেরিকান ডলারের পতন ঘটানো ও তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূত্রপাত করা।

যার মধ্য দিয়ে পৃথিবীর Ruling State আমেরিকার পতন হবে ও ইসরাইল হবে
The Ruling State of the World.

তখন দাজ্জাল একজন মানুষ রুপে আবির্ভূত হবে ও দাবি করবে “আমিই হলাম সেই প্রতিশ্রুত মাসিহ।”
কেউ তাকে মেনে না নিলে সে তখন তার দাবির স্বপক্ষে সব ধরনের প্রমাণই পেশ করতে সক্ষম হবে।
তার ধোঁকা মুমিন ব্যক্তি ছাড়া কেউ বুঝতে পারবে না।

কথা গুলো আশ্চর্য মনে হচ্ছে তাই না? চিন্তার জগৎকে প্রসারিত করুন তাহলে বুঝতে পারবে।

Leave a Reply