You are currently viewing তিবরিয়া হ্রদ শুকিয়ে যাচ্ছে। দাজ্জালের অাবির্ভাব নিকটবর্তী।

তিবরিয়া হ্রদ শুকিয়ে যাচ্ছে। দাজ্জালের অাবির্ভাব নিকটবর্তী।

সি অব গ্যালিলি বা তিবরিয়া হ্রদ দাজ্জালের অাত্মপ্রকাশের সময় নির্ধারণের মাপকাঠি।
‘তিবরিয়া উপসাগর’ শুকিয়ে যাওয়ার অর্থ দাজ্জালের মানুষ রুপে অাত্মপ্রকাশের সময়। সহিহ মুসলিমের ৭২৭৬ নং হাদিস।
দাজ্জাল সংক্রান্ত তামিম দারির হাদিসে দাজ্জালের আগমনের যেসব আলামতের কথা উল্লেখিত হয়েছে,
তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, ‘তিবরিয়া উপসাগর’, ‘বাইসানের খেজুর বাগান’ এবং ‘আল-জুগার ঝর্ণা’।
ইসরইলের সর্ববৃহৎ উষ্ণপানির লেক হচ্ছে ‘সি অব গ্যালিলি’, আরবিতে , ‘বাহরিয়ায়ে তিবরিয়া’। ৫৩ কিলোমিটার পরিধির এই হ্রদটি লম্বায় ২১ কিলোমিটার এবং প্রস্থে প্রায় ১৩ কিলোমিটার। সর্বোচ্চ গভীরতা ৪৩ মিটার । সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৭০৫ ফুট নিচে এই হ্রদ। সুমিষ্ট পানি এর প্রধান বৈশিষ্ট্য। এটি উত্তর-দক্ষিণে বিস্তৃত।


ইসরাঈল জাবালুশ-শায়খ থেকে নেমে আসা তিবরিয়া উপসাগরের গতি ঘুরিয়ে নিজের দিকে নিয়ে গেছে।
ইসরাইল পানির বেশির ভাগ চাহিদা পূরণ হয় তাবরিয়া দরিয়ার মাধ্যমে।
এখান থেকে বছরে প্রায় ৪০ কোটি কিউবিক লিটার পানি পুরো ইসরঈলে সরবরাহ করা হয়। এছাড়া ইসরাইল মিনারেল ওয়াটারের (সুপেয় পানি) বিরাট উৎস এই তাবরিয়া উপসাগর।
এ অঞ্চলের মুসলমানদেরকে পানি থেকে বঞ্চিত করার জন্যে নিজের চাহিদা পূরণের পর ইসরঈল অবশিষ্ট পানি মরুভূমিতে নিয়ে ফেলছে। এতে তিবরিয়া উপসাগরও শুকিয়ে যাওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
ওয়ার্ল্ড ওয়াটার স্ট্যাটিসস্টিকসের পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, ইসরাইল বর্তমান ওয়াটার প্লান চালু থাকলে ২০২০ সালের মধ্যে সি অব গ্যালিলি বা তাবরিয়া উপসাগর শুকিয়ে যেতে পারে।
তিবরিয়া হ্রদের পানি ক্রিটিকাল পয়েন্ট এর নিচে নেমে গেছে। অার বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা নাই। এছাড়া হ্রদটির মাঝে অনেক চর জেগেছে।
এছাড়া বাইসামের খেজুর বাগানগুলোতেও এখন অার ফল ধরছে না । সুতরাং, এ অবস্থায় বলা যায় দাজ্জালের অাগমনের খুব বেশী দেরী নেই। এখনও যারা মনে করে কিয়ামত হাজার বছর পরে হবে তাদের জন্য এক বালতি সমবেদনা।

Leave a Reply