You are currently viewing এটি সম্ভবত  গোটা মুসলিম উম্মার শেষ বিজয়।যে বিজয় আসন্ন।

এটি সম্ভবত গোটা মুসলিম উম্মার শেষ বিজয়।যে বিজয় আসন্ন।

এটি সম্ভবত গোটা মুসলিম উম্মার শেষ বিজয়।যে বিজয় আসন্ন।

এ বিজয় দুনিয়ায়, আমাদের পরবর্তী জেনারেশনের কাছে ইতিহাস হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।এ বিজয়ের পরে দুনিয়ায় আর কোন বিজয় নেই। তবে এ বিজয়ের পর পর উম্মতে মুহাম্মদীর জন্য থাকবে শ্রেষ্ঠ পুরস্কার যে পুরস্কার রহমতের বান্দারা পাবে জান্নাতে।

প্রিয় ভাইয়েরা আমরা খুব সম্ভবত, মুসলমানদের শেষ সোনালী বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে আছি। যে বিজয়ের ইতিহাস শুধুমাত্র জান্নাতীদের জন্য।আর এ ইতিহাস শোনাবেন , আখিরুজ্জামান এর উম্মতে মুহাম্মদীর শহিদ ও গাজীরা।আর ওই ইতিহাসের শ্রোতা হবে, হজরত আদম আলাইহিস সালাম থেকে শুরু করে প্রিয়নবী রাসূলে করীম সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর প্রিয় উম্মতেরা। যারা এই বিজয় দেখিনি।

সুতরাং সময় এসে গেছে সত্যের সন্ধানে হে প্রিয় ভাই।তুমি কি দেখছো না রাসূলের প্রতিশ্রুতি আমাদের বিজয়। যে বিজয়ের কথা রাসূলে করীম সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম বলেছেন।

হযরত আবু হুরায়রাহ(রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে রাসুলুল্লাহ(সঃ) বলেছেন “মহান আল্লাহ্ এই উম্মতের জন্য প্রতি শতাব্দীর শুরুতে একজন মুজাদ্দিদ পাঠাবেন যিনি ঐ সময়ে ইসলামের প্রকৃত শিক্ষাকে সঞ্চারিত করবেন”হারিয়ে যাওয়া দিনকে, আবার রি-নিউ করবেন। (সুনান আবু দাউদ ৫/১০০)

হযরত আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত রাসুল (সঃ) বলেছেন,
“এই পৃথিবীর যদি মাত্র একদিন বাকি থাকে আল্লাহ্ সেই দিনটিকে প্রলম্বিত করে দিবেন যতক্ষন না আমার বংশধরের থেকে একজন প্রেরিত হয়।”
(সুনান আবু দাউদ, ৫/৯২)

যুগে যুগে অনেক মুজাদ্দিদ এসেছেন!!ইতিহাস পর্যালোচনা করেন,রাসুলের সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম মৃত্যুর পর, পৃথিবী থেকে এভাবে পুরো খেলাফত উঠে যায় নি,যেটি হয়েছে ওসমানী খেলাফত পতনের পর। তাহলে কি দাঁড়ালো?পরিস্থিতি তখনকার থেকে সম্পুর্ন ভিন্ন। এখন অত্যাধুনিক প্রযুক্তির যুগ, এ যুগ সামাল দিতে অবশ্যই একজন শক্তিশালী মুজাদ্দিদ প্রয়োজন।যিনি হবেন কামেল মুজাদ্দিদ(ইমাম মাহদী) ইনশা আল্লাহ।দাঁড়ান আরেকটি চমকে দিই।

রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,“নবুওয়াত ব্যবস্থা তোমাদের মাঝে ততদিন থাকবে, যতদিন আল্লাহ তাআলা মঞ্জুর করেন। অতঃপর যখন ইচ্ছা, তখন তিনি তা উঠিয়ে নিবেন। তারপর (রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওফাতের পর) তোমাদের মাঝে নবুওয়াতের পদ্ধতিতে খেলাফত ব্যবস্থা কায়েম হবে এবং তা আল্লাহ তাআলা যতদিন ইচ্ছা ততদিন থাকবে (খুলাফায়ে রাশিদিন এর যুগ)। অতঃপর তিনি তা উঠিয়ে নিবেন।

তারপর হানাহানির রাজত্ব প্রতিষ্ঠিত হবে এবং তা আল্লাহ তাআলার যতদিন ইচ্ছা ততদিন থাকবে (রাজতন্ত্র)। অতঃপর আল্লাহর ইচ্ছায় তার বিলুপ্তি ঘটবে। তারপর জবর দখল তথা আধিপত্য বিস্তারের রাজত্ব কায়েম হবে এবং আল্লাহর ইচ্ছায় দুনিয়াতে কিছুকাল বিরাজমান থাকবে (নানা ভূখণ্ডে বর্তমান একনায়কতন্ত্র ও রকমারি বাদ ও তন্ত্রে প্রতিষ্ঠিত স্বৈর শাসকগণ) । তারপর যখন আল্লাহ ইচ্ছা করবেন, তখন এরও অবসান ঘটবে। অতঃপর নবুওয়াতের পদ্ধতিতে খেলাফত রাষ্ট্র-ব্যবস্থা কায়েম হবে। এ বলে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম চুপ রইলেন”(মুসনাদে আহমদঃ ৪/২৭৩)

অপর হাদিসে, হযরত আবু উবাইদা (রাঃ) এবং মু’আজ বিন জাবাল (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,“ইসলামের সূচনা হয়েছে নবুওয়াত ও রহমতের শাসনের মাধ্যমে। এরপর হবে খেলাফত ও রহমতের শাসন। এরপর হবে অত্যাচার লুটেরা বাদশাদের শাসন। এরপর হবে অহংকারী প্রভাবশালী বাদশাদের শাসন, তখন জমিনে অন্যায়, অবিচার, ফেতনা ফ্যাসাদ ছড়িয়ে পড়বে। সেকালের লোকেরা রেশম (সিল্ক), ব্যভিচার (পরকীয়ার পাশাপাশি বয়ফ্রেন্ড-গার্ল ফ্রেন্ডের নামে চলমান বহুল প্রচলিত সামাজিকভাবে স্বীকৃত উঠতি বয়সী অবিবাহিতদের জেনা) এবং মদকে হালাল করে ফেলবে। আল্লাহর সাথে সাক্ষাত পর্যন্ত এর মাধ্যমেই তাদেরকে রিজিক দেওয়া হবে এবং সাহায্য করা হবে”।(শুয়াইবুল ঈমান আল বায়হাকি, ৫/১৬)

হাদিসদ্বয় ক্রমান্বয়ে আলোচনা করলে :

প্রথমে নবুওয়াত
তারপর খেলাফত(খিলাফত আলা মিনহাজিন নবুওয়ত)
তারপর রাজতন্ত্র(খিলাফা+বাদশাহি)
তারপর স্বৈরতন্ত্র(কোথিত গন-তন্ত্র+ বাদশাহি)
*তারপর আবার খেলাফত(খিলাফত আলা মিনহাজিন নবুওয়ত)

আমরা আছি স্বৈরশাসকের যুগে। সামনে বিজয় কোন সন্দেহ নেই ইনশা আল্লাহ।

সাইদুল ইসলাম সজীব
(৭/৩/২০২২)

Leave a Reply