You are currently viewing ফ্রি মেসনারীর পরিচয় ও ইলুমিনাতির মূলভিত্তি!

ফ্রি মেসনারীর পরিচয় ও ইলুমিনাতির মূলভিত্তি!

ফ্রি মেসনারীর পরিচয়!
ইলুমিনটির মূলভিত্তি!

জাতীয়তাবাদের পর যে বিষয়টিতে আসক্ত হয়ে আরব বিশ্বের নেতৃস্থানীয়রা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে এবং যার ছোয়াতে সমগ্র মুসলিম বিশ্বকে গ্রাস করছে তা হল الماسونية তথা ফ্রিমেসনবাদ। যারা ফ্রিমেসনবাদের সাথে সম্পৃক্ত তাদেরকে মাসুনিয়াহ বা ফ্রিম্যান্স বলা হয়। ফ্রিমেন্স মানে হল স্বাধীন নির্মাতা যেই নামের উৎপত্তিস্থল এসেছে শয়তানের কাব্বালিক ব্যবিলনের জাদুবিদ্যা চর্চাকারী মিশরের পিরামিড নির্মাতাদের থেকে যাদের পূর্বসূরীরা আদ জাতির মত বিশাল বিশাল অবকাঠামো নির্মাণ করত। বিশেষত যারা প্যাগান ধর্মের জ্যোতিশাস্ত্র চর্চা করত ও বর্তমান ইলুমিনটির সাথে তারা সম্পর্ক স্থাপন করে যারা বেফহমিড তথা ইবলিশের পুজা করে ও দাজ্জালী একচোখকে প্রমোট করে। বর্তমান ইলুমিনটি বলতে যা আলোকিত বুঝানো হয় তা কিসের জন্য আলোকিত এবং তাদের সাথে যে ফ্রিমেসনবাদের মূলভিত্তি জড়িত চলুন সেদিকে ঘুরে আসা যাক।আধুনিক ইলুমিনটি হল ফ্রিমেসনের আপডেট ভার্সন যেমনিভাবে উসমানীয়রা ছিল সেলজুকের আপডেট ভার্সন।

ফ্রিমেসনবাদীরা শীঘ্রই মসজিদুল আকসা ধ্বংস করে তাতে সোলেমান মন্দির তৈরী করবে। তাই তাদের প্রতীক হল একটি গোল চিহ্ন যার ভিতরে রয়েছে একটি ছয়কোনা বিশিষ্ট তারা। এ তারার ভিতরে ইংরেজী A অক্ষর। যা ইহুদীদের সর্বশেষ রাজা গ্যাকিনের প্রতি ইংগিত যাকে নবুখযনসসর বন্দী করেছিল।

ছবিঃ সংগৃহীত


আর ফ্রিমেসন একটি খাঁটি ইহুদী সংগঠন। আর এর সকল প্রতীক ও গোপন অক্ষর ও ইহুদীবাদ সম্পর্কীয়। খ্রোকাস তার বই ইহুদী মানসিকতায় উল্লেখ করেছে যে, পৃথিবী আজ জীবন মৃত্যুর লড়াইয়ের সম্মুখীন। ইহুদীবাদী ফ্রীমেসনবাদ সারা বিশ্বের জন্য মৃত্যুর পরিণতি সৃষ্টি করছে।”

ফ্রীমেসনবাদ যা গোপন প্রতারণার মাধ্যমে পৃথিবীতে ইহুদীবাদ প্রতিষ্ঠার জন্য নিবেদিত, এর ইতিহাস সম্পর্কে কেউ কেউ বলেছেন যে, এর সূচনা হয় ঈসা আঃ এর যুগে। তবে আধুনিক ফ্রিমেসনবাদের কার্যক্রম পরিচালনা হয়ে আসছে ১৭৭৬সাল থেকে। এর প্রধান কার্যলয় লন্ডনে।

তারা আমাদের মুসলমানদের কেবলা কাবার মতই মর্যাদা দেয়। ফ্রীমেসনবাদের লক্ষ্য,উদ্দেশ্যের চতুর্থ, পঞ্চম, নবম ও এগারতম ধারায় উল্লেখ আছে যে, ফ্রীমেসনবাদ আমাদের অন্ধ সেবা করে যাচ্ছে। শীঘ্রই আমরা অইহুদী পৃথিবীকে গোপন ফ্রীমেসনবাদী সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান সমূহের মাধ্যমে ধ্বংস করব। অতঃপর সে সব সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানসমূহ ধ্বংস করব যা জন্মগতভাবে ইহুদীদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত নয়। যখন কোন গাধা ইহুদী ব্যতীত পৃথিবীর সকল লোককে তারা গাধা বলে অভিহিত করে মারা যাবে তখন আমরা অন্য গাধার উপর সওয়ার হব। আমরা আল্লাহর নির্বাচিত জাতি। আমাদের গোপন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানসমূহের ব্যপারে কিছুই জানে না তাদেরকে আমরা আমাদের সংগঠনে প্রবেশ করাতে সক্ষম হয়েছি। শিগগিরই আমরা আন্তর্জাতিক ও দেশীয় পুলিশদেরকে আমাদের ফ্রিমেসনবাদী প্রতিষ্ঠান সমূহে প্রবেশ করাবো, যাতে তাদেরকে আমাদের সেবায় নিয়োজিত করতে পারি এবং রাতে তারা আমাদের পক্ষে গোয়েন্দাগীরি করে। “

এ হচ্ছে নির্ভেজাল ইহুদীবাদী প্রতিষ্ঠান ফ্রীমেসনবাদের পরিকল্পনা। এ ফ্রিমেসনবাদ পরিচালিত দুটি আর্ন্তজাতিক প্রতিষ্ঠান হল লায়ন্স ক্লাব ঔ রোটারী ক্লাব। দেশের প্রভাবশালী লোকদেরকে এসব ক্লাবের সদস্য করা হয়।

ফ্রীমেসনবাদের তিনটি স্তর আছে।
১.প্রাথমিক স্তর। প্রাথমিক স্তরে ৩৩টি পদ রয়েছে যাকে ৩৩টি ডিগ্রিতে প্রকাশ করা হয়। যে ৩৩ডিগ্রি পদ অর্জন করে তার গলায় একটা রশি থাকে এবং চোখে পট্টি বেঁধে ফ্রিমেসনবাদের একটি লাল অন্ধকার কক্ষে প্রবেশ করানো হয়। যেখানে রয়েছে মানুষের অনেক মাথার খুলি। সেখানে তাকে নানারকমের অশ্লীল কাজে লিপ্ত করতে বাধ্য করা হয়।
অতঃপর তাকে সিংহাসনে অধিষ্ঠিত তিনজনের সামনে এনে এ শপথ করানো হয় যে, সে ফ্রি মেসনবাদের কাজে আন্তরিক হবে যদিও তাকে তার ছেলে,স্ত্রী ও নিকটাত্মীয়ের বিরোধিতা করতে হয়। আর তার কাছ থেকে এই ওয়াদা নেওয়া হয় যে, যদি সে ফ্রিমেসনবাদের গোপন বিষয়গুলো প্রকাশ করে তবে তাকে হত্যা করা হবে। এব্যপারে এত কাড়াকাড়ি করার কারণ হচ্ছে কেউ ফ্রিমেসনবাদের এ ব্যপারটি প্রকাশ করে ফেললে আরব পত্রিকাগুলো তা ফলাও করে প্রচার করবে। যাইহোক ফ্রিমেসনবাদের সদস্য পদের কথার দিকে ফিরে যাই। যদি কেউ প্রথম স্তরের ৩৩টি ধাপ অতিক্রম করে তখন তাকে উস্তাদে আযম মত মহান শিক্ষক উপাধিতে ভূষিত করা হয়।ফ্রিমেসনবাদের জন্য আগে জন্মগত ইহুদী ছাড়া কাউকে গ্রহণ করা হত না। এখন এ কাড়াকাড়ি আর নেই। তবে শর্ত থাকে যে তাকে ইহুদীদের জন্য বড় কোন অর্থনৈতিক ফায়দা লুটিয়ে দিতে হবে।

কেউ যখন প্রথম ৩৩টি পদ অতিক্রম করে মহান শিক্ষক উপাধিতে ভূষিত হয়ে দ্বিতীয় স্তরে অতিক্রম করতে যায় তখন তাকে ফ্রিমেসনবাদের গোপন কথাগুলো বলে দেওয়া হয়। দ্বিতীয় স্তরে পদার্পণ করার পর তার কাছে আবার অংগীকার নেওয়া হয়। আগের মত তার উভয় চোখ পট্টি বেঁধে তাকে ফ্রিমেসনবাদের মূল ব্যক্তিদের সামনে নিয়ে আসা হয় এবং এই চোখ বাঁধা অবস্থায় তাকে প্রশ্ন করা হয়। তুমি কে? সে উত্তরে বলে, “আমি একজন অন্ধকার জগতের লোক। আমি আলোর সন্ধান করছি। আমি জেনেছি আপনারা সোলেমানী কাঠামো তৈরী করবেন। তাই আপনাদেরকে সহায়তা করতে এসেছি। এ সময় তাকে বলা হয় আমরা জন্মগত ইহুদী ছাড়া এ কাজে অন্য কাউকে গ্রহণ করি না। সে তখন বলে,” আমি আপনাদের একজন এবং আপনাদের আত্মীয়।” অতঃপর আতর চোখ খুলে দেওয়া হয় এবং তাকে দুটি মূর্তির সামনে আনা হয়। এ দুটির একটি মুসা আঃ এর আরেকটা হারুন আলাইহি ওয়াসাল্লামের। তাকে বলা হয়, “এ দুজন হল মুসা আঃ ও হারুন আঃ। তুমি কি এ দুজন ছাড়া অন্য কাউকে বিশ্বাস কর? তখন সে বলে, না। অতঃপর তাকে অন্যান্য নবীদেরকে লানত করতে বলা হয় (নাউযুবিল্লাহ) ।

এরপর তাকে তাওরাতের কাছে নিয়ে আসা হয় এবং বলা হয় এটা হচ্ছে তাওরাত (বিকৃত) । তুমি কি এ ছাড়া অন্য কোন কিতাবকে বিশ্বাস কর? সে বলে না। অতঃপর তাকে অন্যান্য আসমানী কিতাবসমূহকে গালমন্দ করতে বলা হয়।
ফ্রীমেসনবাদের তৃতীয় স্তরকে বলা হয় মহাজাগতিক বন্ধন। এটা কতিপয় ইহুদী শয়তানের সমষ্টি। তাদেরকে হাকীম(প্রজ্ঞাবান) নামে অভিহিত করা হয়। এরা রাত-দিন মানবতাকে কিভাবে ধ্বংস করা যায়, সে ব্যপারে পরিকল্পনা তৈরীতে ব্যস্ত থাকে। এরা বাস করে নিউইয়র্কে। ফ্রীমেসনবাদ সম্প্রসারিত হলে আদিস আবাবা ও সুইজারল্যান্ডে এদের দুটি শাখা খোলা হয়।
এ হচ্ছে ফ্রিমেসনবাদের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস যা আমাদেরকে ইসলামী মূল্যবোধ থেকে দূরে সরিয়ে আমাদের সমাজকে ধ্বংস করছে। আমাদের সমাজের একটি অংশ এখনও এ ফ্রিমেসনবাদের বলী হচ্ছে।

Leave a Reply