You are currently viewing সংস্কৃতি অঙ্গনে ইলুমিনাতি!!

সংস্কৃতি অঙ্গনে ইলুমিনাতি!!

জনাব, মিনারের “কারণে-অকারণে”,ডি জে সায়েমের “রাত নির্ঘুম” খুব রোমান্টিক গান তাইনা? মমতাজের “লোকাল বাস” উফফ সেই গান ভাই! কিন্তু এগুলো কি শুধুই গান,নাকি গানের আড়ালে অন্য কিছু ?

বলবো তবে তার আগে আপনাদের স্মরণ করিয়ে দিতে চাই ইলুমিনাতি-ফ্রিম্যাসন্স সিক্রেট সোসাইটি কি? আগেও আপনাদের বলেছি, আবারো বলছি ইলুমিনাতি-ফ্রিম্যাসন্স শুধু নাম মাত্র। এই চক্রটি বহু বছর ধরেই পৃথিবীতে আছে। এমনকি মুসা,দাউদ ও সুলাইমান (আ:) এ চক্রের সাথে যুদ্ধ করেছেন। এদের উদ্দেশ্য একটাই আর তা হল "New World Order"বা "One Order World"। যেখানে শুধুমাত্র একটাই রাজত্ব আর একটাই ধর্ম থাকবে। কথাটি শুনে হয়তো ভালো লাগতে পারে তবে সে রাজত্ব হবে দাজ্জালের। আর তাই তারা টিভি-মিডিয়া,গান-বাজনার মাধ্যমে আমাদের প্রস্তুত করে নিচ্ছে সেই New World Order এর জন্য। আগের পর্বে ইলুমিনাতি সম্পর্কে আপনাদের ধারণা দিয়েছিলাম আজ জানাবো বাংলাদেশে এর কর্মকান্ড কিভাবে চলছে।

প্রথমেই নজর দেই হালের জনপ্রিয় তরুণ মিউজিশিয়ান মিনারের “কারণে-অকারণে,নিষেধে বা বারণে” গানটির দিকে। গানের স্টার্টিং টা খুব মনোযোগ দিয়ে খেয়াল করুন। স্টার্টিং ভয়েস ” i, i, i, i’m….(illu…Mi…na…Ti)…..dao.. dao…. amay…(illu..Mi…na..Ti)”। what do you think about these secret voice?? এই থিমের আড়ালে তারা একটি হিডেন মেসেজ দিচ্ছে আপনাকে। যেটার সাথে ম্যাডোনার “illuminati” গানের স্টার্টিং এর মিল আছে।শুধুমাত্র ইলুমিনাতি নামই নয়,এই গানটির মধ্যে ‘Mark of the Beast(666)’ও রয়েছে। ভালোকরে লক্ষ্য করে দেখুন এই গানটিতে (i’m illuminati) শব্দটি প্রায় ১৮ বার ব্যবহৃত হয়েছে। শব্দটি ৬+৬ বার করে পুরো গানের মধ্যে ৩ বার রিপিট করা হয়েছে। গানের প্রথম ৫ সেকেন্ডে,গানের মাঝের ২:২৫ সেকেন্ডে এবং গানের শেষে ৪:৪৫ সেকেন্ডে। Book of Revelation বা বাইবেলে বলা হচ্ছে- “শয়তানের ছাপ বা Beast কে কিভাবে চিনতে হবে। তাহল “666” বা তিনটা ৬ পরপর রিপিট করবে।”

 এবার আসুন আরেক মোস্ট পপুলার সং যেটি এখন পর্যন্ত ইউটিউবে ১৭ মিলিয়নেরও অধিকবার দেখা হয়েছে সেই "লোকাল বাস" গানটি বিশ্লেষণ করি। ফোকসম্রাজ্ঞী মমতাজের এই গানটি ২০১৬ সালে গাংচিলের ব্যানারে কম্পোজ করা হয়েছিল। এই গানটির মধ্যেও লুকানো আছে অনেক sin symbols এবং একটি সিক্রেট মেসেজ। প্রথমে তাদের মেসেজটি দেখি যেটা তারা তরুণ প্রজন্মকে দেয়ার চেষ্টা করছে। গানটার অরিজিনাল ভিডিওর শুরু হয় একটা রিলেশনশিপকে কেন্দ্র করে। যেখানে ছেলেটি তার গার্লফ্রেন্ডকে বলছে তার মডেস্টি বা শালীনতাকে চেঞ্জ করতে। সোজা বাংলায় বেহায়া হতে। এই মেয়েটি যখন ভদ্র ছিল তখন তাকে কেউ পছন্দ করতো না,ইভেন তার বয়ফ্রেন্ডও না। কিন্তু সেই মেয়েটিই যখন তার শালীন পোশাক খুলে নাচানাচি করতে শুরু করলো তখন তার প্রেমিকসহ মিউজিশিয়ান,ডিরেক্টর সবাই তাকে প্রায়োরিটি দিতে শুরু করে। এইভাবেই তারা ট্রেন্ডের নাম করে করে আমাদের ঠেলে দিচ্ছে অশ্লীলতার দিকে। আর অশ্লীলতার অবাধ বিস্তারে ইলুমিনাতি সেলিব্রিটিদেরকেই বেছে নেয় কারণ তারা জানে তারকারা যা করে সাধারণ মানুষ বিশেষত ইয়ুথ জেনারেশন তাই অন্ধের মত গিলে খায়। এই জন্যই সুলতান সালাহউদ্দীন আইয়ুবী খ্রিস্টানদের চক্রান্ত সম্পর্কে বলেছিলেন,"যদি তারা কোন জাতিকে ধ্বংস করতে চায় তবে সেই জাতির যুবসমাজের মধ্যে অশ্লীলতা ছড়িয়ে দেয়।" এই ট্রেন্ডগুলো তারা শুধুমাত্র এইজন্যই চালু করে যাতে আমরা পথভ্রষ্ট হই। 

শয়তানের উপাসনাকারীদের মূল মূর্তিটির দিকে লক্ষ্য করুন যেটাকে ‘বাপহমেট’ বলা হয়।(দানবের ছবিটি) যেমন সাদা তেমন কালো,যেমন ভালো তেমনই মন্দ। দানবের পিছনের পাখা দুটিকে তারা মনে করে সুরক্ষা পাখা মনে করতো। এরা মনে করে ভালো মন্দ একই জিনিস। ভালো-মন্দের মধ্যে পার্থক্য না করার শিক্ষাই এরা আমাদের দিয়ে থাকে। অর্থাৎ যা খুশী তাই করে যাও,ভালো-খারাপ চিন্তা করো না (অনেকটা বিবেকের কথা না শুনে মনের মানে প্রবৃত্তির কথা শোনার মত)।

  আবার ফিরে আসি 'লোকাল বাসে'। ভিডিওর প্রথমেই আপনি পিরামিডের ইফেক্ট দেখতে পারবেন যেটা ইলুমিনাতিরা ব্যবহার করে। কারণ তারা মনে করে এটার উপর থেকে তাদের খোদা তাদের নজরে রাখছে। প্রাচীনকালে ফেরাউনরা যখন নিজেদের আল্লাহ দাবি করতো।তখন তারা সবার থেকে উপরে থাকতে চাইত। তাই এরকম বড় পিরামিড বানিয়েছিল যাতে তারা সবার উপর নজর রাখতে পারে। নমরুদও একই কাজ করেছিল। তাই সেই নমরুদের এক চোখ পিরামিডের উপরে লাগানো হয়। এটাই ইলুমিনাতির প্রতীক এক চোখ বিশিষ্ট পিরামিডের মূল রহস্য। আর তাই আপনি আমেরিকান ওয়ান ডলারে ইলুমিনাতি সাইন দেখতে পারবেন,সাথে লেখা আছে "In god we trust"। এরা আসলে কোন খোদার উপর বিশ্বাস করে বুঝতেই পারছেন। সেই ফেরাউন-নমরুদকে। আর তাই রাসূল (সা:) আমাদের বারবার সতর্ক করেছেন এই বলে যে,"তোমাদের আল্লাহ এক চোখের নয়।" এটা যেন আমরা সর্বদা স্মরণে রাখি। তাছাড়া দাজ্জাল নামক ফিতনা এক চোখের হবে তা আমরা সবাই জানি। এখন আপনারা হয়তো ভাবছেন,লোকাল বাস গানের কোথায় আছে 'এক চোখ'? ভিডিওতে খেয়াল করবেন কালো গেঞ্জি,গলায় চেইন আর চোখে কালো সানগ্লাস দেয়া একটি ছেলের পিছনে কালারফুল বাসের গায়ে একটি এক চোখ। (স্ক্রীনশটে দেখুন) আপনি সাধারণভাবে বুঝতে না পারলেও আপনার সাবকনসিয়াস মাইন্ডে এটা চলে যাবে। এখন হয়তো আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে,তাদের যদি এটা প্রচার করতেই হয় তাহলে দেয়ালে বা সবার অগোচরে কেন আঁকতে হবে? এটার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা হল আপনি সব কিছু দেখতে পারলেও সবটাই বুঝে উঠতে পারেন না। কোন ছবির দিকে তাকালে আপনি সেটার মাত্র ৩০ ভাগ দেখতে পান কিন্তু ৩০ ভাগই বুঝে উঠতে পারেন না। তবে সেটি আপনার আগোচরেই আপনার সাবকন্সিয়াস মাইন্ডে গিয়ে জমা হবে। আর এই সাইন যখন পরবর্তীতে কোন প্রিয় বা আইডল কেউ আমাদের সামনে করে দেখায় তখন আমাদের আকর্ষণ বেড়ে যায় এবং আমরা সেটা গ্রহণ করে ফেলি। গানটিতে মমতাজ ও বাকি নৃত্যশিল্পীদের হাতের মাঝের ২ আঙুল ভাঁজ করে বাকি ৩ আঙুল উঁচু করে "EL Diablo" মানে The Devil চিহ্নটি (বুশের হাতে দেখানো চিহ্ন) বানাতে দেখবেন কয়েকবার। যেটি ইলুমিনাতি-ফ্রিম্যাসন্সরা সবাই ব্যবহার করে। এটি হল লানতের চিহ্ন যেটি তারা প্রচুর পরিমাণে প্রচার করে থাকে। অদ্ভুত ব্যাপার হল মমতাজের আর কোন গানেই এইরকম sin symbols নেই। শুধুমাত্র এই গানেই এবং এই গানটির জন্যই নাকি তাকে এই সাইন শেখানো হয়েছে। ডি যে সায়েমের "রাত নির্ঘুম " গানেও এক চোখ বিশিষ্ট পিরামিড ব্যাকগ্রাউন্ড হিসেবে আছে। এবার আপনারাই চিন্তা করে দেখুন শুধু গানই শুনছেন নাকি নমরুদ-ফেরাউন-দাজ্জালকে 'আল্লাহ' হিসেবে মেনে নিচ্ছেন!! এইজন্যই এই ফিতনা থেকে রক্ষার জন্যই ইসলামে গান-বাজনা হারাম করা হয়েছে। কারণ অধিকাংশ গানেই শিরকি মনোভাব থাকে। সবশেষে আপনাদের জন্য বাংলাদেশে ইলুমিনাতির কিছু সদস্য,ইলুমিনাতির ফেসবুক পেজের স্ক্রীনশট দিচ্ছি। শেষ যামানার সবচেয়ে ভয়ংকর ফিতনা দাজ্জাল থেকে নিজে বাঁচুন,অন্যকে বাঁচান। পরবর্তীতে আপনাদের সামনে ইলুমিনাতির আরো অবাক আর ভয়ংকর গভীর ষড়যন্ত্রের তথ্য পেশ করবো ইনশাআল্লাহ।

This Post Has One Comment

  1. মুজাহিদ

    💞

Leave a Reply