You are currently viewing প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি হত্যাকাণ্ড, কারা  আছে এর পিছনে!

প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি হত্যাকাণ্ড, কারা আছে এর পিছনে!

প্রিয় ভাই ও বোন!গত পর্বে আপনাদের সাথে কথা হচ্ছিল প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি হ/ত্যা কান্ড নিয়ে।

মিস্টার কেনেডি যে কারণে এই গুপ্তঘাতকদের রোষানলে পড়ছে সে বিষয় বিস্তার অনুসন্ধান করার পরে বুঝলাম। উনি একেবারে গুপ্তঘাতকদের ফ্রন্টলাইন আঘাত করতে চেয়েছে। অবশ্য উনি ছাড়াও আরো কয়েকজন মানুষ গুপ্ত সংগঠনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। সেটি গত পর্বে আমি আপনাদের কে বলেছিলাম!!এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে হলিউড মুভি নির্মাতা দ্যা গ্রে স্টেট মুডির ডিরেক্টর ডেভিড গ্রেডলি!! এনারা দুজনই ইলুমিনাতির মেরুদন্ডে আঘাত করেছিলেন স্ব স্ব স্থানে থেকে।

ডেভিড গ্রেডলি নামের এই ভদ্রলোক!! গুপ্ত ঘাতকদের সকল ষড়যন্ত্র,ব্যাংকিং ব্যবস্থা,ডলারের ষড়যন্ত্র, সহ নানাবিদ কার্যক্রম নিয়ে এই মুভিটি তৈরি করেছিল!! হতাশার বিষয় হচ্ছে গুপ্তঘাতকদের সম্পর্কে মুভিটি তৈরী করার দায়ে রহস্যজনক ভাবে খুন হন পরিচারলক ডেভিড গেগরী।মৃত্যুর দুদিন আগে তিনি সরাসরি বলে গিয়েছিলেন” আপনারা যদি মুভিটি দেখেন এটা কোনো বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী নয়। একটা বস্তবতা যা আপনারা শীঘ্রই দেখবেন একটা সংগঠণের পরিকল্পনাকে আমি ফাস করে দিয়েছি।যদিও ছবিটার ট্রেইলারই প্রকাশ করতে পেরেছে উক্ত সিনেমার পরিচানাকারী প্রতিষ্ঠাণ। উক্ত সিনেমাকে আর দেখানো হয় নি।

এছাড়াও এই এলিট শ্রেণীর ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ায় অস্ত্র ব্যবসার আগে ১৭শতকে আব্রহাম লিংকনকেও প্রাণদিতে হয়েছিলো! যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকানরা সরাসরি এই সংগঠণকে সমর্থন করে। মাঝে মধ্যে ডেমোক্রেটরা বিরোধিতা করে যার কারনে ডেমোক্রাটদের অস্বস্থিতে পড়তে হয়। নানা ধরণের নিন্দার মুখে পড়ে ডেমোক্রেটরা। ক্লিংটনের কথা মনে আছে???? যাকে পদত্যাগ করতে হয়েছিলো….ইনিও ডলারের নিয়ন্ত্রণ আমেরিকান ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের হাতে দিতে চেয়েছিলেন, যদিও তার প্রচেষ্টা কেনেডির মত ছিলো না তাই পরিণতিও ছিলো কম মারাত্মক!কিন্তু প্রেসিডেন্ট কেনেডি এই গুপ্ত ঘাতকদের সকল কার্যক্রমে হাত বসাতে চেয়েছে এবং নিয়ন্ত্রণ করতে ছেয়েছে তাদেরকে। আর যার রেজাল্ট সে পেয়েছে জীবন দিয়ে। কিন্তু কারা এই গুপ্ত ঘাতক?

প্রিয় ভাই ও বোন এরা আর অন্য কেউ নয়! এটা একটা সিক্রেট সোসাইটি। এরা বিশ্ব নিয়ন্ত্রণ করে৷। আজকের বিশ্ববাজারের অর্থনীতির মেরুদন্ড ডলার ছাপা হয় এটাও তাদের হাতেই। মার্কিন এবং সমগ্র বিশ্বের অর্থনীতি এই সোসাইটির হাতে। আর এই সোসাইটির নাম হচ্ছে ইলুমিনাতি!!

ইসরায়েল সৃষ্টি, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইন্ধন, , কট্টর ডানপন্থিদের বিভিন্ন দেশে উত্থানব্রিটিশ রাজতন্ত্রের ক্ষমতা সংকুচিত ক্যাথলিক, প্রোটেস্যান্ট গৃহযুদ্ধ, অর্থডক্স ক্যাথলিক ঝামেলা,অর্থনীতি, শিক্ষা-সংস্কৃতি, খাবার দাবার, জলবায়ু থেকে শুরু করে আমাদের চারপাশে অনেক কিছুই নিয়ন্ত্রণ করে এই গুপ্ত সংগঠন ইলুমিনাতি।

বলা হয়ে থাকে ইলুমিনাতিতে একপ্রজাতির মানুষ রূপি ক্রিচেচার আছে, সম্ভবত মিডিয়ার প্রোপাগান্ডা এলিয়েন কিংবা তার ছেয়ে ভয়ংকর কেউ।এলিয়েন বলতে আসলে কেউ নেই!এরা এক প্রকার খারাপ জিন যারা মুলত শয়তানের উপাসনা করে।। ইলুমিনাতির সদস্য বিশ্বের ধনী, প্রভাবশালি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।এ চাড়াও মার্কিন ১ ডলারে আপনারা ইলুমিনাতির চিহ্ন দেখবেন ত্রিভুজাকার পিরামিডের ওপর একটা চোখ।এটা একটা বড়ো নিদর্শন যে আমেরিকার মতো একটি রাষ্ট্রে ইলুমিনাতির কি পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ!

ইলুমিনাতির সব থেকে কাছের বন্ধু হলো ইহুদীরা।
ইলমিনাতিরা মূলত শয়তানের উপাসক। একারনে প্রোটেস্টান্ট, অর্থডস্ক ক্যাথলিক এবং মুসলিমদের সব থেকে বড় শত্রু মনে করে থাকে।

কথা হচ্ছে এই সোসাইটি এতই বিপজ্জনক তাহলে এদের নিয়ণ্ত্রণ করে না কেনো???

হুম অবশ্যই নিয়ন্ত্রণ করতে চেয়েছে!এবং তার খেসারত তাদেরকে দিতে হয়েছে জীবন দিয়ে!! এদের হাতে খুন হোন জন এফ কেনেডি তার আগে আব্রাহাম লিংকন, যিনি যুদ্ধ করেছিলেন কিছু ধনিক সমাজের বিরুদ্ধে, আর এই ধনীক সমাজ হলো পর্বর্তীতে নিষিদ্ধ হওয়া ইলুমিনাতি। যারা কিনা ১৯ শতকে আবার ফিরেনএসেছে আর এখনও বর্তমান..

এ কথা স্পষ্ট বলতে হবে এ গুপ্ত সংগঠনের শেকড় অনেক অনেক কল্পনার চাইতেও শক্তিশালী।তাহলে কি এদের বিরুদ্ধে কেউ দাঁড়াবে না?অবশ্যই একদিন এদের প্রতিহত করা হবে!কোন একদিন কোন এক সময়!! জালিমের সমাপ্তি সবার জানা!!

শেষ জামানা সমন্দে আরও জানতে সাবস্ক্রাইব করুন আমার ইউটিউব চ্যানেল!ইউটিউব সার্চ বক্সে গিয়ে লিখুন
Akhirujjaman

অথবা আমার পেইজে Akhirujjaman – আখিরুজ্জামান ফলো করে সংযুক্ত থাকুন!

Leave a Reply