বিশালাকৃতির সামুদ্রিক জাহাজসমূহ নিরব-নিস্তব্ধ সমুদ্র এলাকায় কোনপ্রকার ক্ষতি বা দুর্ঘটনা ছাড়াই আকস্মিক অদৃশ্য হয়ে যাওয়া। কখনো যাত্রীদের বেঁচে যাওয়া এবং শুধু জাহাজ গায়েব করে দেয়া। আবার কখনো জাহাজ নিরাপদে থাকা কিন্তু যাত্রী গায়েব হয়ে যাওয়া। পড়তে পড়তে নিশ্চয়ই এতক্ষণে মনের পর্দায় সেই ভয়ংকর স্থানটির নাম ভেসে উঠেছে?
জ্বী হ্যাঁ, সেই রহস্যময় বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল এর কথাই বলছি যেখানে যাওয়া মানেই গায়েব হয়ে যাওয়া!এখানে এসে গায়েব হয়ে যাওয়াটা এত দ্রুতগতিতে হয় যে জাহাজের ক্যাপ্টেন কিংবা বিমানের পাইলটদের জরুরী সংকেত বা সংবাদ প্রেরণেরও সময় হয় না। এর থেকে আরো আশ্চর্যের বিষয় এই যে,গায়েব হয়ে যাওয়া জাহাজ,বিমান,যাত্রীদেরও খোঁজ পাওয়া যায় না।
যদিও কতিপয় গবেষকের পক্ষ থেকে এর উত্তর এভাবে দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে যে, ওখানকার সমুদ্রের গভীরে এমন সব মারাত্মক তুফান আর দ্রুত বাতাস সৃষ্টি হয় যার ফলে জাহাজ ভেংগে টুকরো টুকরো হয়ে যায় এবং পানির বিশালাকৃতির ঢেউ এগুলোকে বহুদূর ভেসে নিয়ে যায়।
কিন্তু এ ব্যাখ্যা এজন্যই মানুষ মেনে নিতে অস্বীকার করে।যে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এযুগে যেখানে বিজ্ঞানীরা সমুদ্রের সুগভীর এলাকায় পৌছে সেখানকার মৎস্য ও পানির অন্যান্য প্রাণিদের উপর গবেষণার জন্য তাদের দেহের সাথে অত্যাধুনিক ক্যামেরা ফিট করে প্রাণিদের সার্বিক মতিগতি নজরে রাখছে সেই তারাই কেন এই বারমুডা ট্রায়াঙ্গল এর রহস্য ভেদ করতে পারছে না?
এটাও স্মরণ রাখার বিষয় যে, অদ্যাবধি ওখানে অদৃশ্য হওয়া সকল বিমান, সামুদ্রিক জাহাজ আর পাইলট-ক্যাপ্টেন-যাত্রীরা ছিল যুগের অত্যাধুনিক আর সুদক্ষ সব মানুষ। পাশাপাশি অদৃশ্য হবার সময় ওখানকার আবহাওয়াবস্থাও ছিল খুবই স্বাভাবিক। সুতরাং ঋতু খারাপ হওয়ারও কোন ব্যাখ্যা এখানে করা ঠিক না।
এসব বিমান আর জাহাজগুলির সাথে হেডকোয়ার্টারের যোগাযোগও হঠাৎ এমনভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল যে মনে হচ্ছিল কে যেন রেডিও সিগনাল জাম করে দিয়েছে।
অধিকাংশ গবেষকই এ ব্যাপারে একমত যে, শয়তানী সমুদ্র এবং বারমুডার ট্রাইএংগেলে এমনসব রহস্যময় এবং ভয়ানক বস্তু রয়েছে যা, আমাদের স্বাভাবিক বিষয়াবলী থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন এবং অস্বাভাবিক প্রকৃতির। বারমুডার ট্রাইএংগেল এবং শয়তানী সমুদ্র আশেপাশের মানুষের জন্য এমন ভীতিকর এলাকা হিসেবে পরিচিত, যা মানুষের জন্য জ্ঞানের চাহিদাকে আরও বাড়িয়ে দেয়। কতিপয় মুসলিম গবেষকের ধারনা, শয়তানী সমুদ্র ও বারমুডা ট্রাইএংগেলের ভিতরে দাজ্জাল গোপন আস্তানা করেছে, যেখান থেকে সে দুনিয়ার সার্বিক পরিস্থিতি কন্ট্রোল করছে।
কিন্তু বাস্তবে এই স্থানটা আসলে কি? এবং একজন মুসলমান হিসেবে এ বিষয়গুলিকে কোন দৃষ্টিতে দেখা উচিত?? দুনিয়ার সামনে এ মুহূর্তে যা কিছু এ সম্পর্কে বলা হচ্ছে, এর সবই কি বানোয়াট নাকি বাস্তব??!! যদি বাস্তবই হয়ে থাকে, তাহলে সমুদ্রের ঐ পানির ভিতরে এমন কি আছে যা আজ পর্যন্ত হাজারো মানুষকে গিলে ফেলেছে, অজস্র সামুদ্রিক জাহাজ তাতে গায়েব হয়েছে, কারো কাছে এর কোন জ্ঞান নেই??!!
তাহলে কি ইবলিসের সাথে ঐ এলাকার কোন সম্পর্ক আছে??!! নাকি কানা দাজ্জাল ঐ এলাকায় বিদ্যমান??!! লিখবো বিস্তারিত আসা করি পাঠকগণের সাড়া পাবো।
চলবে ইনশাআল্লাহ,,,,,,
বইঃবারমুডা ট্রায়াঙ্গল,ফেতরার বজ্রধনী, কিতাবুল ফেতানের সমন্বয়ে। আমার এ গবেষণা।
Very informative
very usefull blog, যাজাকাল্লাহু খাইরান ।