You are currently viewing বারমুডা ট্রায়াঙ্গল ও দাজ্জাল রহস্য পর্বঃ৬

বারমুডা ট্রায়াঙ্গল ও দাজ্জাল রহস্য পর্বঃ৬

বারমুডা ট্রায়াঙ্গল এর অবস্থান :

বারমুডা আটলান্টিক মহাসাগরের সর্বমোট ৩০০ টি দ্বীপ নিয়ে বিস্তৃত এলাকার নাম। যার মধ্যে বেশির ভাগই অনাবাদী। শুধুমাত্র ২০ টি দ্বীপের মধ্যে মানুষের অবস্থান পাওয়া যায়। আর যে এলাকাকে আশংকাজনক মনে করা হয়, তাকে বারমুডা ট্রায়াঙ্গল বলা হয়। এ এংগেলের আয়তন চারপাশ থেকে ১১৪০০০০ বর্গ কিলোমিটার। উত্তরে বারমুডার বিভিন্ন দ্বীপ, দক্ষিন-পূর্বে পোরটোরিকো এবং দক্ষিন-পশ্চিমে মার্কিন গনতান্ত্রিক সরকার শাসিত প্রসিদ্ধ ফ্লোরিডা শহর। অর্থাৎ এই এংগেলের মুল অবস্থান ফ্লোরিডায়। হ্যাঁ …..ফ্লোরিডা। (ফ্লোরিডার অর্থ হচ্ছে – ওই খোদার শহর যার অপেক্ষা করা হচ্ছে বা ওই খোদা যার অপেক্ষা করা হচ্ছে)।

প্রায় চারশত বছর পুর্ব থেকে ওই বিরান এলাকায় কোন মানুষ বসবাস করেনি। এমনকি জাহাজের ক্যাপ্টেন পর্যন্ত ভয়ে ওই এলাকা থেকে দুরে থাকে। ওখানে একটি কথা খুবই প্রসিদ্ধ যে, “ওখানকার পানির গভীরে ভয়ংকর সব শয়তানি রহস্য লুকায়িত রয়েছে “। এমনকি ওখানকার আকাশপথের ভ্রমনকারীরা এয়ারহোষ্টেসকে পর্যন্ত সর্বপ্রথম জিজ্ঞেস করে- আমাদের বিমান কি বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের উপর দিয়ে যাবে?? কোম্পানির জবাব যদিও নেতিবাচক হলেও বাস্তব তার বিপরীত।

বারমুডা ট্রায়াঙ্গল কি আসলেই ট্রায়াঙ্গলের আকৃতিতে?

বারমুডা ট্রায়াঙ্গল পুরো এরিয়াটাই সমুদ্রে। যা আটলান্টিক সাগরে অবস্থিত। সুতরাং চিন্তার বিষয়- চারিদিকে পানি আর পানি, এখানে এংগেল বা ত্রিভুজের আকৃতি কি করে সম্ভব??!! সুতরাং প্রথমেই জানতে হবে যে, এংগেল বাস্তব নয়; বরং এটি একটি বিশেষ এলাকার নাম যেখানে অবিশ্বাস্য সব ঘটনার জন্ম হয়। ওই এলাকাকে ট্রায়াঙ্গল হিসেবে সাধারণ নাম দেওয়া হয়েছে। এ নামের ব্যাপারে প্রসিদ্ধ আছে যে, ১৯৪৫ সালে ওই এলাকায় একসাথে কয়েকটি বিমান গায়েব হওয়ার পর এক প্রেস কনফারেন্সে সর্বপ্রথম এই নাম ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এটা খুবই রহস্যপূর্ণ যে, নামটি কেন ট্রায়াঙ্গল রাখা হল।

ওই দুর্ঘটনার পূর্বেও ওখানে বহু ঘটনার প্রমাণ পাওয়া যায়। কিন্তু তখন ওই এলাকাকে বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের পরিবর্তে শয়তানের দ্বীপ হিসেবে চেনা হত। “ক্রিস্টোফার কলম্বাস(১৪৫১-১৫০৬)” সামুদ্রিক ভ্রমণের সময় যখন ওই এলাকা দিয়ে যাচ্ছিল, তখন সেও ওখানে কিছু অচীন ও আশ্চর্য বিষয় প্রত্যক্ষ করেছিল। যেমনঃ আগুনের গোলা সমুদ্রের ভিতরে প্রবেশ করা, ওই সীমানায় প্রবেশ করলেই কোন প্রকার যুক্তিসঙ্গত কারন ছাড়াই কম্পাস খারাপ হয়ে যাওয়া ইত্যাদি।
কলম্বাসের আমেরিকা ভ্রমণের পাঁচ শতাব্দী পার হয়ে গেল। কিন্তু এ প্রশ্ন আজও বাকী রয়ে গেছে যে- ওখানকার পানির গভীরে বা পানির উপরিভাগে-আকাশপথে কি এমন রহস্যময় বিষয় গোপন রয়েছে, যার ব্যাখ্যা বর্তমান অত্যাধুনিক স্যাটেলাইটের যুগেও খুজে বের করা সম্ভব হচ্ছেনা? ১৮৫৪ সালের পূর্বে আরব বনিকেরাও ওই এলাকা দিয়ে আসা-যাওয়া করত, কিন্তু তাদের জাহাজ তো কখনো দুর্ঘটনা বা কোন অস্বাভাবিক রহস্যের কবলে পড়েনি। অথচ এরকম ঘটনা ওখানে ১৮৫৪ সালের পূর্বেও বহুবার ঘটেছে বলে প্রমাণ পাওয়া যায়।

চলবে,,,,,,,

Leave a Reply