You are currently viewing শতাব্দীর কামেল মোজাদ্দিদ ইমামুল মাহদি।

শতাব্দীর কামেল মোজাদ্দিদ ইমামুল মাহদি।

হে মুজাদ্দিদের মুজাদ্দিদ। আপনার অপেক্ষায় কোটি কোটি মাজলুম মুসলমান। ইনশা আল্লাহ আপনার আগমন কামেল মুজাদ্দিদ হিসেবেই ঘটবে এবং এ শতাব্দিতেই! আপনার ছত্রছায়ায় মুসলমানরা আবারও মসজিদুল আকশা সহ, হিন্দুস্থান থেকে পোরাসান, সমগ্র বিশ্ব জয় করবে বিয়িজনিল্লাহ।

মুসলমানদের অক্ষমতা এখন চোখে পড়ার মতো। সারা দুনিয়ায় চলছে জালেমের শাসন।তাইতো আমি আমার বাসায় বলি।ইনসাফ কে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। খুজতে গিয়ে দেখা গেল, ইনসাফের জানাজা হচ্ছে। আর ইমাম হচ্ছেন স্বয়ং জুলুম!

হ্যাঁ আমরা ঠিক এমন এক বিভীষিকাময় পরিস্থিতি পার করতেছে। চারদিকে দেখে মনে হয় মুমিনের দুনিয়া সংকচিত হয়ে এসেছে।সত্যবাদিরা দুর্বল হয়ে মিথ্যার কাছে হেরে যাচ্ছে।বড় কষ্ট হলো সত্য উপলব্ধি করার মত মানুষ এখন খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। জলন্ত সত্যকে মানুষ বানিয়ে ফেলতেছি ইমোশন।

ঠিক এমনটাই হওয়ার কথা ছিলো এই জামানায়।হাদিসের বাসায় আল্লাহর রাসুল বলেন। “দাজ্জালের আবির্ভাবের আগের ক’টি বছর হবে প্রতারণার বছর। এসময় সত্যবাদীকে মিথ্যাবাদী, মিথ্যুককে সত্যবাদী আখ্যা দেওয়া হবে। দুর্নীতিবাজকে আমানতদার, আমানতদারকে মনে করা হবে দুর্নীতিবাজ! আর মানুষের মধ্য থেকে ‘রুয়াইবিজা’রা কথা বলবে।জিজ্ঞেস করা হলো, ‘রুয়াইবিজা’ কী?’ রসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘অপরাধপ্রবণ লোকেরা জনসাধারণের বিষয়-আশয় নিয়ে কথা বলবে (অর্থাৎ, ফায়সালা দেবে)।”

📖 মুসনাদে আহমদ(খণ্ড-৩), হাদিস নং-১৩৩২

জ্বী সমাজ এখন রুয়াইবিজদের দখলে।আর এই কষ্ঠকাঠিন্য সময় পেরিয়ে আসবে বিজয়ের নিশানা।সামের ফিতনার সময়সীমা শেষের দিকে।ফোরাত নদী ও শুকিয়ে গেছে। আল্লাহর রাসুলের ওয়াদা ছিলো!মুসলমানদের উত্থান হবে চোখ খুলে তাকিয়ে দেখুন চারদিকে বিজয়ের সুবাতাস ছড়িয়ে পড়ছে।খোরাসান থেকে সোমালিয়া,কিংবা ইয়ামেন। পৃথিবীর প্রতিটি ভূখণ্ডে কালিমাতুল্লাহ শাহাদাতের পতাকা উত্তোলন হবে! সে সময় সমাগত।আর সেই স্বপ্নে আকাশ সমান স্বস্তি দেয় আল্লাহর হাবিবের একটি হাদিস ।

রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,“নবুওয়াত ব্যবস্থা তোমাদের মাঝে ততদিন থাকবে, যতদিন আল্লাহ তাআলা মঞ্জুর করেন। অতঃপর যখন ইচ্ছা, তখন তিনি তা উঠিয়ে নিবেন। তারপর (রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওফাতের পর) তোমাদের মাঝে নবুওয়াতের পদ্ধতিতে খেলাফত ব্যবস্থা কায়েম হবে এবং তা আল্লাহ তাআলা যতদিন ইচ্ছা ততদিন থাকবে (খুলাফায়ে রাশিদিন এর যুগ)। অতঃপর তিনি তা উঠিয়ে নিবেন।তারপর হানাহানির রাজত্ব প্রতিষ্ঠিত হবে এবং তা আল্লাহ তাআলার যতদিন ইচ্ছা ততদিন থাকবে (রাজতন্ত্র)। অতঃপর আল্লাহর ইচ্ছায় তার বিলুপ্তি ঘটবে। তারপর জবর দখল তথা আধিপত্য বিস্তারের রাজত্ব কায়েম হবে এবং আল্লাহর ইচ্ছায় দুনিয়াতে কিছুকাল বিরাজমান থাকবে (নানা ভূখণ্ডে বর্তমান একনায়কতন্ত্র ও রকমারি বাদ ও তন্ত্রে প্রতিষ্ঠিত স্বৈর শাসকগণ) । তারপর যখন আল্লাহ ইচ্ছা করবেন, তখন এরও অবসান ঘটবে। অতঃপর নবুওয়াতের পদ্ধতিতে খেলাফত রাষ্ট্র-ব্যবস্থা কায়েম হবে। এ বলে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম চুপ রইলেন”(মুসনাদে আহমদঃ ৪/২৭৩)

হাদিসের মান সহি।

হাদিসটি ক্রমান্বয়ে আলোচনা করলে :

প্রথমে নবুওয়াত
তারপর খেলাফত(খিলাফত আলা মিনহাজিন নবুওয়ত)
তারপর রাজতন্ত্র(খিলাফা+বাদশাহি)
তারপর স্বৈরতন্ত্র(কোথিত গন-তন্ত্র+ বাদশাহি)
*তারপর আবার খেলাফত(খিলাফত আলা মিনহাজিন নবুওয়ত)

আমরা আছি স্বৈরশাসকের যুগে। তার মানে ইমামুল মাহদির আগমন চাড়া খেলাফত কায়েম হবে না।আর আমরা জানি পৃথিবীর শেষ খেলাফত হবে ইমামুল মাহাদীর মাধ্যমে। সামনে বিজয় কোন সন্দেহ নেই ইনশা আল্লাহ।আঁদার দেখে তোরা করিসনেরে ভয়! আড়ালে যে তার সূর্য হাসে।

সাইদুল ইসলাম সজীব
০৯/১১/২০২৩

Leave a Reply